'রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য সুশাসন আবশ্যক' কথাটি কে বলেছেন?
A
ম্যাককরনী
B
মিশেল ক্যামডেসাস
C
এম ডব্লিউ পামফ্রে
D
কফি আনান
উত্তরের বিবরণ
সুশাসন উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য, যেমন উল্লেখ করেছেন মিশেল ক্যামডেসাস: "রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য সুশাসন আবশ্যক।"
কফি আনানের বক্তব্য অনুযায়ী:
-
"সুশাসন মানবাধিকারের ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা নিশ্চিত করে, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে এবং জনপ্রশাসনের স্বচ্ছতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।"
এম ডব্লিউ পামফ্রে বলেন:
-
"মূল্যবোধ হলো ব্যক্তি বা সামাজিক দলের অভিপ্রেত ব্যবহারের সুবিন্যস্ত প্রকাশ।"
ম্যাককরনী অনুযায়ী:
-
"সুশাসন বোঝায় রাষ্ট্র ও সুশীল সমাজের, সরকার ও শান্তিপ্রিয় জনগণের, শাসক ও শাসিতের মধ্যে সমন্বিত সম্পর্ক।"

0
Updated: 16 hours ago
সুশাসনের মানদণ্ড কোনটি?
Created: 6 days ago
A
জবাবদিহিতা
B
জনস্বার্থ
C
উন্নয়ন
D
জনগণের সম্মতি ও সন্তুষ্টি
সুশাসন হলো একটি দেশের শাসনব্যবস্থার দক্ষতা, স্বচ্ছতা এবং কার্যকারিতার প্রতীক। এটি সমাজে ন্যায়পরায়ণতা, জবাবদিহিতা এবং জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করে। সুশাসনের মূল লক্ষ্য হলো সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও প্রশাসনিক কার্যক্রমকে এমনভাবে পরিচালনা করা যাতে জনগণ তার অধিকার ও সুযোগসমূহ সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে।
-
সুশাসন শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Good Governance।
-
Good Governance মানে হলো নির্ভুল, দক্ষ এবং কার্যকরী শাসন, যা জনগণের কল্যাণ ও দেশের স্থায়ী উন্নয়ন নিশ্চিত করে।
-
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বারবার এই শব্দটি ব্যবহার করেছেন, যা সুশাসনের আন্তর্জাতিক স্বীকৃত গুরুত্ব প্রমাণ করে।
-
সুশাসনের ধারণাটি বহুমাত্রিক অর্থাৎ এটি একাধিক দিক থেকে পর্যালোচনা করা যায়, যেমন রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক দিক।
-
সুশাসন ধারণাটি আপেক্ষিক, কারণ এটি বিভিন্ন দেশের সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী ভিন্নভাবে প্রকাশ পেতে পারে।
-
এই ধারণাটির উদ্ভাবক হলো বিশ্বব্যাংক, যা প্রথমবার ১৯৯০-এর দশকে উন্নয়নশীল দেশে কার্যকরী শাসনের গুরুত্ব তুলে ধরেছে।
-
সুশাসনের মূল মানদণ্ড হলো জনগণের সম্মতি ও সন্তুষ্টি, অর্থাৎ জনগণ সরকারের কার্যক্রম এবং নীতিমালা নিয়ে সন্তুষ্ট এবং এতে অংশগ্রহণ করতে পারে।
সুশাসন শুধুমাত্র আইন প্রয়োগ বা প্রশাসনিক দক্ষতার প্রশ্ন নয়; এটি নাগরিক অধিকার রক্ষা, স্বচ্ছতা নিশ্চিত এবং দেশের দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন পরিচালনার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

0
Updated: 6 days ago
রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত-
Created: 16 hours ago
A
গণমাধ্যম
B
সেনাবাহিনী
C
বিচার বিভাগ
D
শিক্ষক সমাজ
সুশাসন ও গণমাধ্যম
-
গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে ধরা হয়।
-
বর্তমান সমাজে সুশাসন ও গণমাধ্যম পরস্পরের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত।
-
গণমাধ্যম একমাত্র ব্যবস্থা যা সুশাসনের নিয়ামকগুলোকে জনমত সৃষ্টির মাধ্যমে সুসংহত করতে পারে।
-
শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ গণমাধ্যমের অনুপস্থিতি সুশাসনের অন্তরায় হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
স্বাধীন সংবাদ মাধ্যম এবং স্বাধীন বিচার বিভাগ ছাড়া সুশাসন প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার রক্ষা ও প্রশাসনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
-
গণতান্ত্রিক সমাজে দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও আইনশৃঙ্খলা লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের জোরালো ভূমিকা তা প্রতিহত করতে সাহায্য করে।

0
Updated: 16 hours ago
আধুনিক গণতন্ত্রের জনক কে?
Created: 16 hours ago
A
জন মিল
B
জন লক
C
প্লেটো
D
আব্রাহাম লিংকন
গণতন্ত্র হলো জনগণের শাসন, যেখানে সার্বভৌম ক্ষমতা জনগণের হাতে থাকে। এটি আধুনিক যুগের সবচেয়ে জনপ্রিয় সরকারী ব্যবস্থা।
জন লক আধুনিক গণতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবশালী চিন্তাবিদ:
-
ইংরেজ দার্শনিক, অর্থনীতিবিদ এবং আলোকিত যুগের অন্যতম চিন্তাবিদ।
-
জন্ম: ১৬৩২ সালের ২৯ আগস্ট, ব্রিস্টল।
-
জ্ঞানতত্ত্বে (Epistemology) তিনি অভিজ্ঞতাবাদ (Empiricism) প্রয়োগ করেছেন এবং দার্শনিক চিন্তাধারায় মৌলিক প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন।
-
রাজনীতি সংক্রান্ত লিখিত গ্রন্থগুলো আধুনিক রাজনৈতিক দর্শনের গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
-
অসংখ্য দার্শনিক ও রাষ্ট্রচিন্তাবিদের উপর তার প্রভাব বিস্তৃত।
উল্লেখযোগ্য:
-
গণতন্ত্রের প্রাচীন জনক অ্যারিস্টটল।
-
ক্লিসথেনিসকে বলা হয় ‘এথেনীয় গণতন্ত্রের জনক’।

0
Updated: 16 hours ago