আদর্শ আমলাতন্ত্রের উদ্ভাবক-
A
কার্ল মার্কস
B
ম্যাক্স ওয়েবার
C
উইলিয়াম হেগেল
D
টমাস হবস
উত্তরের বিবরণ
আমলাতন্ত্র (ইংরেজিতে Bureaucracy) হলো একটি সংস্থা, যা সরকারী বা ব্যক্তিগত মালিকানাধীন বিভিন্ন নীতিনির্ধারক বিভাগ বা ইউনিট নিয়ে গঠিত। এটি প্রতিষ্ঠানকে সুশৃঙ্খল ও কার্যকরভাবে পরিচালিত করতে সহায়ক।
-
জার্মান সমাজবিজ্ঞানী ম্যাক্স ওয়েবার প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে আমলাতন্ত্র অধ্যয়ন করেছেন।
-
তাই ম্যাক্স ওয়েবারকে আদর্শ আমলাতন্ত্রের উদ্ভাবক বলা হয়।
আমলাতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য:
-
টাস্ক স্পেশালাইজেশন (কাজের বিশেষীকরণ)
-
নিয়ম এবং প্রয়োজনীয়তা
-
অনুক্রমিক কর্তৃপক্ষ
-
কর্মজীবন অভিযোজন

0
Updated: 16 hours ago
নৈতিক শক্তির প্রধান উপাদান হলো-
Created: 16 hours ago
A
বিবেকের দংশন
B
সততা ও নিষ্ঠা
C
কল্যাণ সাধন
D
বিবেক ও মূল্যবোধ
নৈতিকতা
-
সংজ্ঞা: নৈতিকতা হলো মানুষের আচরণকে সঠিক ও ভুলের মধ্যে বিচার করার মানদণ্ড।
-
রক্ষাকবচ: নৈতিকতার রক্ষাকবচ হলো বিবেকের দংশন।
-
মূল লক্ষ্য: মানুষের কল্যাণ সাধন।
-
নিয়ন্ত্রক: নৈতিকতার নিয়ন্ত্রক হলো বিবেক ও মূল্যবোধ।
-
শিক্ষা: নৈতিক শিক্ষা প্রাথমিকভাবে পরিবারে শুরু হয়।
-
প্রধান উপাদান: সততা ও নিষ্ঠা।
উল্লেখ্য:
-
নৈতিকতার ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Morality।
-
নীতিবিদ ম্যুর বলেন: “শুভর প্রতি অনুরাগ ও অশুভর প্রতি বিরাগই হচ্ছে নৈতিকতা।”

0
Updated: 16 hours ago
UNCAC-এর লক্ষ্য কী?
Created: 16 hours ago
A
শিক্ষা প্রসার
B
রাষ্ট্রের উন্নয়ন
C
দুর্নীতি প্রতিরোধ
D
কৃষি উন্নয়ন
মেরিডা কনভেনশন (আনুষ্ঠানিক নাম: United Nations Convention Against Corruption – UNCAC) হলো জাতিসংঘের দুর্নীতি বিরোধী একমাত্র বাধ্যতামূলক আন্তর্জাতিক চুক্তি, যা দুর্নীতি প্রতিরোধ ও স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গৃহীত।
-
লক্ষ্য: দুর্নীতি প্রতিরোধ, অপরাধীকরণ, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, সম্পদ পুনরুদ্ধার এবং কারিগরি সহায়তা প্রদান।
-
সাধারণ পরিষদে অনুমোদন: ৩১ অক্টোবর, ২০০৩
-
স্বাক্ষরকাল: ৯–১১ ডিসেম্বর, ২০০৩
-
স্বাক্ষরস্থল: মেরিডা, ইউকাটান, মেক্সিকো
-
কার্যকর হওয়ার তারিখ: ১৪ ডিসেম্বর, ২০০৫
-
বর্তমান স্বাক্ষরকারী দেশ: ১৯১টি
-
বাংলাদেশের স্বাক্ষর ও অনুমোদন: ২০০৭ সালে

0
Updated: 16 hours ago
কোনটিকে সুশাসনের প্রাণ বলা হয়?
Created: 6 days ago
A
স্বচ্ছতা
B
দায়িত্বশীলতা
C
দক্ষতা
D
গণতন্ত্র
গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা, দায়িত্বশীলতা ও দক্ষতা সুশাসনের মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত। এগুলোই একটি কার্যকর ও জনগণমুখী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মূল চাবিকাঠি।
-
গণতন্ত্র (Democracy): গণতন্ত্র হলো সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রাণ। সুশাসন নিশ্চিত করতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিকল্প নেই। এটি জনগণের অংশগ্রহণ, মতপ্রকাশ ও সমানাধিকার নিশ্চিত করে।
-
স্বচ্ছতা (Transparency): স্বচ্ছতার অর্থ হলো পরিষ্কার, স্পষ্ট ও নির্ভুল ব্যবস্থা। দ্ব্যর্থহীনতা স্বচ্ছতার প্রধান লক্ষণ। যখন শাসন ব্যবস্থার আইন, নীতি বা সিদ্ধান্ত স্পষ্ট ও পরিস্কার হয় এবং এর একাধিক ব্যাখ্যার সুযোগ থাকে না, তখন তা জনগণের জন্য সহজবোধ্য হয়। স্বচ্ছ নীতি ও সিদ্ধান্ত সুশাসন প্রতিষ্ঠার পথে সহায়ক।
-
দায়িত্বশীলতা (Responsibility): সুশাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো দায়িত্বশীলতা। এর অর্থ হলো সরকার ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার কর্মকাণ্ডের প্রতি দায়বদ্ধ থাকা। সরকারের শাসন বিভাগের নীতি-সিদ্ধান্ত ও কার্যক্রমের জন্য আইন বিভাগের কাছে দায়বদ্ধ থাকা এবং পরোক্ষভাবে জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থাকা দায়িত্বশীলতার অংশ।
-
দক্ষতা (Efficiency): দক্ষতা বলতে প্রাপ্ত সম্পদ ও উপকরণের সুষ্ঠু ব্যবহার করে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জনকে বোঝায়। অবাধ তথ্য সরবরাহ, প্রশিক্ষণ, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জ্ঞান, দুর্নীতি বিরোধী মনোভাব, কর্তব্যনিষ্ঠা, নিয়ম মেনে চলা, সততা ও কাজে আগ্রহ দক্ষতা বৃদ্ধির মূল উপাদান। এই সব নিশ্চিত করলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সহজ হয়।

0
Updated: 6 days ago