সম্প্রতি, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ায়র মধ্যে কয়টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে? [আগস্ট, ২০২৫]
A
৩টি
B
৫টি
C
৭টি
D
৯টি
উত্তরের বিবরণ
২০২৫ সালের ১২ আগস্ট মালয়েশিয়ার পুত্রজায়ায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম-এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়।
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত পাঁচটি সমঝোতা স্মারক হলো:
-
প্রথম সমঝোতা স্মারকটি ছিল প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিষয়ক।
-
দ্বিতীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয় তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ, এলএনজি অবকাঠামো, পেট্রোলিয়াম পণ্য ও সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো ক্ষেত্রে সহযোগিতা নিয়ে।
-
তৃতীয় সমঝোতা স্মারকটি হয় মালয়েশিয়ার ইনস্টিটিউট অফ স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (ISIS) এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (BIISS)-এর মধ্যে।
-
চতুর্থ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয় মিমোস সার্ভিসেস এসডিএন বিহাদ এবং বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (BMCCI)-এর মধ্যে প্রযুক্তি ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা বিষয়ে।
-
পঞ্চম সমঝোতা স্মারকটি হয় মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (NCCIM) এবং বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (FBCCI)-এর মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ নিয়ে।
এছাড়া, বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার সঙ্গে তিনটি ‘নোট অব এক্সচেঞ্জ’ সই করেছে, যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করবে।
-
প্রথম নোট বিনিময় হয় উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা নিয়ে।
-
দ্বিতীয় নোট বিনিময় হয় কূটনীতিক প্রশিক্ষণ বিষয়ে।
-
তৃতীয় নোটটি স্বাক্ষরিত হয় হালাল ইকোসিস্টেমে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে।

0
Updated: 17 hours ago
গ্রিনপিস কোন ঘটনার বিরোধিতা করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?
Created: 1 day ago
A
পরমাণু পরীক্ষা
B
চেরনোবিল দুর্ঘটনা
C
জলবায়ু পরিবর্তন
D
ফুকুশিমা দুর্ঘটনা
গ্রিনপিস হলো একটি আন্তর্জাতিক পরিবেশবাদী সংস্থা, যা মার্কিন পরমাণু পরীক্ষার বিরোধিতায় প্রতিষ্ঠিত হয়।
গ্রিনপিস:
-
প্রতিষ্ঠিত: ১৯৭১ সালে, ব্রিটিশ কলাম্বিয়াতে।
-
উদ্দেশ্য: আলাস্কার আমচিটকা দ্বীপে মার্কিন পরমাণু পরীক্ষার বিরোধিতা করা।
-
প্রতিষ্ঠাতারা: বব হান্টার, ডেভিড ম্যাকটেগার্ট, ডরোথি স্টোয়ি, আরভিং স্টোয়ি প্রমুখ।
-
সদর দপ্তর: নেদারল্যান্ডস, আমস্টারডাম।

0
Updated: 1 day ago
‘জে–৩৬’কোন প্রজন্মের তৈরি যুদ্ধ বিমান?
Created: 20 hours ago
A
পঞ্চম প্রজন্মের
B
তৃতীয় প্রজন্মের
C
ষষ্ঠ প্রজন্মের
D
চতুর্থ প্রজন্মের
জে‑৩৬ হলো চীনের দাবি করা নতুন ষষ্ঠ প্রজন্মের স্টেলথ যুদ্ধবিমান, যা রাডার-বাতিলকরণ ও দীর্ঘ‑পাল্লার আক্রমণে সক্ষমতা নিয়ে বিমানবাহিনীর শক্তি বাড়াতে ভুমিকা রাখবে।
-
মডেল: জে‑৩৬, চীনের ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান।
-
স্টেলথ ক্ষমতা: রাডারের চোখ ফাঁকি দেওয়ার সক্ষম স্টেলথ প্রযুক্তি রয়েছে।
-
ভূমিকা: দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ চালানোর উদ্দেশ্যে — বি‑২১ রাইডারের মতো ভূমিকা পালনের জন্য তৈরি।
-
ভারবহন: বিমানটি প্রায় ৪৫,০০০ কেজি পর্যন্ত ভার বহন করতে সক্ষম।
-
লক্ষ্য ধরণ: আকাশ, মাটি এবং বিমানবাহী রণতরির বিরুদ্ধে আক্রমণ পরিচালনা করতে সক্ষম।
-
রাডার ও সেন্সর: অত্যাধুনিক রাডার প্রযুক্তি রয়েছে, যা অন্যান্য স্টেলথ বিমানের সনাক্তকরণে সহায়ক বলেও বলা হয়েছে।
-
নেটওয়ার্কিং: ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন সহ এটি একটি নেটওয়ার্কভিত্তিক বাহিনী তৈরিতে সহায়তা করবে।
-
প্রভাব: চীনের সামরিক-আকাশসামরিক ক্ষমতা বাড়াতে জে‑৩৬ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

0
Updated: 20 hours ago
'হিজবুল্লাহ' কোন দেশভিত্তিক সামরিক সংগঠন?
Created: 1 week ago
A
সিরিয়া
B
লেবানন
C
জর্ডান
D
লিবিয়া
হিজবুল্লাহ হলো লেবাননের শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত একটি শক্তিশালী সামরিক ও রাজনৈতিক সংগঠন, যা গৃহযুদ্ধ ও বিদেশি আগ্রাসনের প্রেক্ষাপটে উত্থিত হয়েছে। এটি লেবাননে রাজনৈতিক প্রভাব রাখার পাশাপাশি কার্যত “রাষ্ট্রের ভেতরে আলাদা রাষ্ট্র” হিসেবে পরিচিত।
-
হিজবুল্লাহ: লেবাননের শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত সামরিক ও রাজনৈতিক সংগঠন।
-
প্রতিষ্ঠা: ১৯৮৫ সালে প্রকাশ্যে আত্মপ্রকাশ; পেছনের প্রেক্ষাপট ১৯৮২ সালের ইসরাইলি আগ্রাসন ও লেবাননের গৃহযুদ্ধ।
-
নৈতিক ও রাজনৈতিক দর্শন: ইসলামিক জাতীয়তাবাদী, ইহুদিবাদ বিরোধী এবং পশ্চিমা সংস্কৃতি বিরোধী।
-
সামরিক শক্তি: লেবাননে একটি শক্তিশালী গেরিলা গ্রুপের জন্ম দেয়।
-
রাজনৈতিক প্রভাব: লেবানন সরকারে প্রতিনিধিত্ব করে এবং দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
বৃহৎ সংঘাত: ২০০৬ সালে ইসরাইলের সঙ্গে বড় ধরনের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।

0
Updated: 1 week ago