রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অতিপ্রাকৃত গল্প কোনটি?
A
একরাত্রি
B
নষ্টনীড়
C
ক্ষুধিত পাষাণ
D
মধ্যবর্তিনী
উত্তরের বিবরণ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও তাঁর ছোটগল্পসমূহ
বাংলা ছোটগল্পের পিতামহ হিসেবে পরিচিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। মোট ১১৯টি ছোটগল্প রচনা করেছেন তিনি। তার প্রথম ছোটগল্প ‘ভিখারিনী’ ১৮৭৪ সালে ‘ভারতী’ পত্রিকায় প্রকাশ পায়। মাত্র ষোলো বছর বয়সে এই প্রকাশনার মাধ্যমে তিনি ছোটগল্পকার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।
রবীন্দ্রনাথের পাঁচটি প্রধান গল্পগ্রন্থ রয়েছে, যেগুলোর নাম হলো:
-
গল্পগুচ্ছ
-
লিপিকা
-
সে
-
তিন সঙ্গী
-
গল্পসল্প
তিনি সমাজের বিভিন্ন সমস্যাকে উপস্থাপন করেছেন তার কিছু গল্পে, যেমন:
-
দেনাপাওনা
-
রামকানাইয়ের নির্বুদ্ধিতা
-
যজ্ঞেশ্বরের যজ্ঞ
-
অনধিকার প্রবেশ
অপরদিকে, চারটি অতিপ্রাকৃতিক গল্পও তার সাহিত্যকর্মে অন্তর্ভুক্ত, যেমন:
-
ক্ষুধিত পাষাণ
-
নিশীতে
-
মণিহারা
-
কঙ্কাল
রবীন্দ্রনাথ আধুনিক মনস্তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে কিছু গল্প লিখেছেন, যেগুলো হলো:
-
রবিবার
-
শেষকথা
-
ল্যাবরেটরি
এছাড়া, তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ছোটগল্পের মধ্যে রয়েছে—নষ্টনীড়, শাস্তি, একরাত্রি, মধ্যবর্তিনী, দৃষ্টিদান, সমাপ্তি, পোস্টমাস্টার, হৈমন্তী, ছুটি ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।
0
Updated: 3 months ago
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর রচিত কোন গ্রন্থটি সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে উৎসর্গ?
Created: 1 month ago
A
খেয়া
B
বিশ্বপরিচয়
C
পরিশেষ
D
ঘরে বাইরে
‘বিশ্বপরিচয়’ প্রবন্ধ
-
‘বিশ্বপরিচয়’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি বিজ্ঞানবিষয়ক গ্রন্থ।
-
গ্রন্থটি রবীন্দ্রনাথের ভাষারীতি ও বিজ্ঞানচিন্তার এক মূল্যবান নিদর্শন।
-
এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৩৭ সালে।
-
রবীন্দ্রনাথ এই গ্রন্থটি উৎসর্গ করেছিলেন বিখ্যাত বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে।
রবীন্দ্রনাথের অন্যান্য গ্রন্থের উৎসর্গপত্র
-
‘খেয়া’ কাব্যগ্রন্থ উৎসর্গ করা হয়েছিল জগদীশ বসুকে।
-
‘পরিশেষ’ কাব্যগ্রন্থ উৎসর্গ করেছিলেন অতুলপ্রসাদ সেনকে।
-
‘ঘরে বাইরে’ উপন্যাস উৎসর্গ করেছিলেন প্রমথ চৌধুরীকে।
উৎস: ‘বিশ্বপরিচয়’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
0
Updated: 1 month ago
'হৈমন্তী' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি-
Created: 1 month ago
A
ছোটগল্প
B
উপন্যাস
C
প্রবন্ধ
D
কাব্যগ্রন্থ
‘হৈমন্তী’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ছোটগল্প, যা সমাজের নানান সমস্যার দিকে আলোকপাত করে। গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হলো হৈমন্তী, যার ডাকনাম ছিল শিশির, এবং তাঁর স্বামীর নাম অপু। গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয় মাসিক সবুজপত্র পত্রিকায়।
-
গল্পের উল্লেখযোগ্য চরিত্র:
-
হৈমন্তী (শিশির)
-
গৌরীশংকর
-
অপু
-
বনমালী
-
-
গল্পের কিছু বিখ্যাত উক্তি:
-
“জ্যৈষ্ঠের খররোদ্রই তো জ্যৈষ্ঠের অশ্রুশূণ্য রোদন।”
-
“আমি পাইলাম ইহাকে পাইলাম।”
-
“সে আমার সম্পত্তি নয়, সে আমার সম্পদ।”
-
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যান্য সামাজিক গল্প:
-
দেনাপাওনা
-
দান প্রতিদান
-
হৈমন্তি
-
ছুটি
-
পোস্টমাস্টার
-
কাবুলিওয়ালা
-
0
Updated: 1 month ago
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূর্বপুরুষের আদিবসতি কোথায় ছিল?
Created: 2 months ago
A
খুলনার পিঠাভোগ
B
যশোরের কেশবপুর
C
ছোটনাগপুর মালভূমি
D
কুষ্টিয়ার শিলাইদহ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও তাঁর পিতৃপুরুষের আবাসভূমি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শুধু কবি নন, তিনি ছিলেন সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ, সমাজ-সংস্কারক এবং এমনকি চিত্রশিল্পীও। তাঁর জন্ম ১৮৬১ সালের ৭ মে (১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ) কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে।
কবির পিতৃপুরুষের আবাসভূমি ছিল খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার ঘাটভোগ ইউনিয়নের পিঠাভোগ গ্রামে। জানা যায়, দ্বীননাথ কুশারীর অষ্টম পুরুষ তারানাথ কুশারী ভৈরব নদীর তীরে এই গ্রামে স্থায়ীভাবে বসতি গড়ে তোলেন।
রবীন্দ্রনাথ ছিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের চতুর্দশ সন্তান। তাঁর পিতামহ ছিলেন ধনাঢ্য প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। ১৮৮৩ সালের ৯ ডিসেম্বর তিনি বেণীমাধব রায়চৌধুরীর কন্যা মৃণালিনী দেবীকে বিয়ে করেন।
বিশ্বকবির খ্যাতি শুধু বাংলায় সীমাবদ্ধ ছিল না। তিনি এশিয়ার মধ্যে প্রথম ব্যক্তি যিনি সাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে ‘নাইট’ উপাধি দিলেও ১৯১৯ সালের জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন।
অবশেষে ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট (২২ শ্রাবণ ১৩৪৮) জোড়াসাঁকোর নিজ বাড়িতেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
উৎস: বাংলাপিডিয়া; প্রথমআলো (৭ মে, ২০১৭)।
0
Updated: 2 months ago