মীর মশাররফ হোসেনের নাটক কোনটি?
A
নটির পূজা
B
বেহুলা গীতাভিনয়
C
নবীন তপস্বিনী
D
কৃষ্ণকুমারী
উত্তরের বিবরণ
‘বেহুলা গীতাভিনয়’ নাটকটি মীর মশাররফ হোসেন রচিত একটি গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যকর্ম।
অপরদিকে,
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘নটীর পূজা’ নাটকটি বৌদ্ধধর্মীয় গ্রন্থ থেকে অনুপ্রাণিত।
-
‘নবীন তপস্বিনী’ নাটকটির রচয়িতা হলেন দীনবন্ধু মিত্র।
-
বাংলা সাহিত্যের প্রথম সফল ট্রাজেডি নাটক ‘কৃষ্ণকুমারী’ রচনা করেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
মীর মশাররফ হোসেনের জীবন ও সাহিত্য
মীর মশাররফ হোসেন ছিলেন ঔপন্যাসিক, নাট্যকার এবং প্রাবন্ধিক। তিনি ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়ার লাহিনীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলা সাহিত্যে প্রথম মুসলিম ঔপন্যাসিক হিসেবে তাঁকে বিবেচনা করা হয়।
তাঁর সাহিত্যগুরু ছিলেন কাঙাল হরিনাথ, যিনি ‘গ্রামবার্তা’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। মশাররফের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ‘রত্নাবতী’। ছাত্রজীবনে তিনি ‘সংবাদ প্রভাকর’ ও ‘কুমারখালির গ্রামবার্তা’ পত্রিকার মফঃস্বল সংবাদদাতার কাজ শুরু করেন। পাশাপাশি ‘আজিজননেহার’ এবং ‘হিতকরী’ নামে দুটি পত্রিকার সম্পাদনাও করেন। তিনি উনিশ শতকের বাঙালি মুসলিম সাহিত্যিকদের পথপ্রদর্শক এবং বঙ্কিমচন্দ্র যুগের একজন প্রধান গদ্যকার।
মীর মশাররফ হোসেনের প্রধান সাহিত্যকর্মসমূহ
নাটক:
-
বসন্তকুমারী
-
জমীদার দর্পণ
-
বেহুলা গীতাভিনয়
প্রহসন:
-
টালা অভিনয়
-
এর উপায় কি
-
ফাঁস কাগজ
-
ভাই ভাই এইতো চাই
উপন্যাস:
-
বিষাদ-সিন্ধু
আত্মজীবনীমূলক রচনা:
-
উদাসীন পথিকের মনের কথা
-
গাজী মিয়াঁর বস্তানী
-
আমার জীবনী
-
কুলসুম জীবনী ইত্যাদি
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর), বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 3 months ago
কোনটি ঐতিহাসিক নাটক?
Created: 5 months ago
A
শর্মিষ্ঠা
B
রাজসিংহ
C
পলাশীর যুদ্ধ
D
রক্তাক্ত প্রান্তর
নাটক ‘রক্তাক্ত প্রান্তর’
-
মুনীর চৌধুরী রচিত ‘রক্তাক্ত প্রান্তর’ নাটকটির ভিত্তি রয়েছে মহাকবি কায়কোবাদের ‘মহাশ্মশান’ গ্রন্থের কাহিনির ওপর।
-
এটি মুনীর চৌধুরীর প্রথম পূর্ণাঙ্গ মৌলিক নাটক।
-
নাটকটি পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ (১৭৬১)কে কেন্দ্র করে তিন অঙ্কে রচিত।
-
‘রক্তাক্ত প্রান্তর’ একটি ঐতিহাসিক নাটক নয়, বরং ইতিহাস-আশ্রিত নাটক।
-
নাটকের একটি বিখ্যাত উক্তি হলো:
‘মানুষ মরে গেলে পচে যায়। বেঁচে থাকলে বদলায়।’
যা নবাব সুজাউদ্দৌলা বলেন।
উল্লেখযোগ্য চরিত্রসমূহ:
ইব্রাহিম কার্দি, জোহরা, হিরণবালা ইত্যাদি।
অন্যদিকে,
-
‘পলাশির যুদ্ধ’ নবীনচন্দ্র সেনের একটি ঐতিহাসিক আখ্যান কাব্য।
-
‘শর্মিষ্ঠা’ বাংলা সাহিত্যের প্রথম সফল নাটক, রচনা করেছেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
-
‘রাজসিংহ’ (১৮৮২) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একটি উপন্যাস, যা তিনি একমাত্র ঐতিহাসিক উপন্যাস হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
মুনীর চৌধুরী সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
-
মুনীর চৌধুরী একজন বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক ও বাগ্মী ছিলেন।
-
তিনি ১৯২৫ সালের ২৭ নভেম্বর মানিকগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন।
-
শিক্ষা ও কর্মজীবনে তিনি বামপন্থী রাজনীতি ও প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
মুনীর চৌধুরীর নাটকসমূহ:
মৌলিক নাটক:
-
রক্তাক্ত প্রান্তর
-
চিঠি
-
কবর
-
দণ্ডকারণ্য
অনুবাদ নাটক:
-
কেউ কিছু বলতে পারে না
-
রূপার কৌটা
-
মুখরা রমণী বশীকরণ
উৎস:
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 5 months ago
'নীল দর্পণ' নাটক কত সালে প্রকাশিত হয়?
Created: 5 months ago
A
১৮৬০ সালে
B
১৮৬৩ সালে
C
১৮৬৪ সালে
D
১৮৬৬ সালে
‘নীল-দর্পণ’ (১৮৬০) দীনবন্ধু মিত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নাটক ও রচনা। এটি ১৮৬০ সালে প্রকাশ পায়। নাটকের মূল বিষয় ছিল তৎকালীন নীলচাষি কৃষক ও নীলকর শাসকদের অবিচার এবং শাসক শ্রেণীর পক্ষপাতমূলক আচরণ।
এই নাটক তৎকালীন সমাজে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল এবং কৃষকদের নীল বিদ্রোহে প্রেরণা যুগিয়েছিল।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত ‘A Native’ ছদ্মনামে এর ইংরেজি অনুবাদ করেন, যার শিরোনাম ছিল ‘Nil Darpan or The Indigo Planting Mirror’ (১৮৬১)। এই অনুবাদ প্রকাশের কারণে পাদ্রি জেমস লং আদালত থেকে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হন। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ‘নীল-দর্পণ’কে মার্কিন ‘Uncle Tom’s Cabin’ নাটকের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।
১৮৬০ সালে ‘কস্যচিৎ পথিকস্য’ ছদ্মনামে নাটকটি প্রথম ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয় এবং ১৮৭২ সালের ৭ ডিসেম্বর ‘নীল-দর্পণ’ দিয়েই শুরু হয় সাধারণ রঙ্গালয়ের অভিনয়।
দীনবন্ধু মিত্রের অন্যান্য নাটকগুলো হলো:
-
নবীন তপস্বিনী,
-
লীলাবতী,
-
কমলে কামিনী।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর ও বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 5 months ago
‘জোহরা’ মুনীর চৌধুরী রচিত কোন নাটকের চরিত্র?
Created: 3 weeks ago
A
দণ্ডকারণ্য
B
চিঠি
C
রক্তাক্ত প্রান্তর
D
কবর
বাংলা নাট্যসাহিত্যে মুনীর চৌধুরী ছিলেন এক বিশিষ্ট নাট্যকার, যিনি বাস্তবতা, ইতিহাস ও মানবচেতনার সমন্বয়ে নাট্যরচনা করেছেন। তাঁর প্রথম পূর্ণাঙ্গ নাটক ‘রক্তাক্ত প্রান্তর’ ইতিহাসনির্ভর হলেও এতে মানবজীবনের পরিবর্তন ও সংগ্রামের গভীর দার্শনিক তাৎপর্য ফুটে উঠেছে।
মূল তথ্যসমূহ:
-
‘রক্তাক্ত প্রান্তর’ মুনীর চৌধুরী রচিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ মৌলিক নাটক।
-
নাটকটি রচিত হয়েছে মহাকবি কায়কোবাদের ‘মহাশ্মশান’ গ্রন্থের কাহিনির অবলম্বনে।
-
এটি পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধের (১৭৬১) ঘটনাকে কেন্দ্র করে রচিত তিন অঙ্ক বিশিষ্ট নাটক।
-
যদিও এতে ঐতিহাসিক পটভূমি ব্যবহৃত হয়েছে, এটি ঐতিহাসিক নাটক নয়, বরং ইতিহাস-আশ্রিত নাটক।
-
নাটকের জনপ্রিয় সংলাপ—“মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়।”
উক্তিটি নাটকের চরিত্র নবাব সুজাউদ্দৌলা-র মুখে বলা হয়েছে। -
নাটকের উল্লেখযোগ্য চরিত্রসমূহ: ইব্রাহিম কার্দি, জোহরা, হিরণবালা প্রমুখ।
মুনীর চৌধুরী সম্পর্কে তথ্য:
-
মুনীর চৌধুরী ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক ও বাগ্মী।
-
তিনি ১৯২৫ সালের ২৭ নভেম্বর মানিকগঞ্জ শহরে জন্মগ্রহণ করেন।
-
তিনি শিক্ষা ও পেশাগত জীবনে বামপন্থী রাজনীতি ও প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
মুনীর চৌধুরীর অন্যান্য মৌলিক নাটক:
-
রক্তাক্ত প্রান্তর
-
চিঠি
-
কবর
-
দণ্ডকারণ্য
0
Updated: 3 weeks ago