দীনবন্ধু মিত্রের প্রহসন কোনটি?
A
বুড় শালিকের ঘাড়ে রোঁ
B
বিয়ে পাগলা বুড়ো
C
কিঞ্চিত জলযোগ
D
কল্কি অবতার
উত্তরের বিবরণ
বিয়ে পাগলা বুড়ো
‘বিয়ে পাগলা বুড়ো’ হচ্ছে দীনবন্ধু মিত্রের রচিত একটি প্রহসন নাটক, যা হাস্যরসাত্মক ধারার। বাংলা সাহিত্যে এটি একটি জনপ্রিয় নাটক। বিখ্যাত সাহিত্যিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় উল্লেখ করেছেন যে, এই নাটকটি কোনো জীবিত ব্যক্তির চরিত্রকে লক্ষ্য করে রচিত হয়েছে।
১৮৭২ সালে প্রথমবার এই নাটক মঞ্চস্থ হয়। নাটকের প্রধান চরিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছেন—নসিরাম, রতা, রাজীব, রাজমণি, কেশব ও বৈকুণ্ঠ।
অন্যদিকে,
-
মাইকেল মধুসূদন দত্তের রচনা ‘বুড় শালিকের ঘাড়ে রোঁ’ ও
-
জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘কিঞ্চিৎ জলযোগ’
-
এবং দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ‘কল্কি অবতার’— এগুলোও উল্লেখযোগ্য প্রহসন নাটক।
দীনবন্ধু মিত্র সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচয়
দীনবন্ধু মিত্র (১৮৩০–১৮৭৩) ছিলেন একজন প্রতিভাবান নাট্যকার। তিনি নদীয়া জেলার চৌবেড়িয়া গ্রামে এক দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং পিতৃদত্ত নাম ছিল গন্ধর্বনারায়ণ।
কলেজ জীবনে তিনি ঈশ্বর গুপ্তের প্রভাবে ‘সংবাদ প্রভাকর’, ‘সাধুরঞ্জন’সহ বিভিন্ন পত্রিকায় কবিতা প্রকাশ শুরু করেন, তবে নাটক ও প্রহসনে তার খ্যাতি সর্বাধিক।
তার উল্লেখযোগ্য রচনা সমূহ:
-
‘নীলদর্পণ’ (১৮৬০) — যা তার শ্রেষ্ঠ নাটক হিসেবে বিবেচিত, এতে সমকালের নীলচাষিদের শোষণ ও শাসকদের পক্ষপাতিত্বের চিত্রায়ন করা হয়েছে। এই নাটক সমাজে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল এবং কৃষকদের বিদ্রোহকে উৎসাহিত করেছিল।
-
‘নবীন তপস্বিনী’ (১৮৬৩) — এই নাটকে দুটি ভিন্ন গল্পের মিশ্রণ রয়েছে, যদিও পুরোপুরি সমন্বিত নয়।
-
‘বিয়ে পাগলা বুড়ো’ (১৮৬৬) — বাস্তব ঘটনার অনুপ্রেরণায় রচিত একটি প্রহসন।
-
‘লীলাবতী’ (১৮৬৭) — নাটকটি ততটা সাফল্য পায়নি।
-
‘কমলে কামিনী’ (১৮৮৩) — তার শেষ রচনা, যা রোমান্টিক নাটক হিসেবে স্বীকৃত।
সূত্র
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহাবুবুল আলম
-
বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 3 months ago
সমাজের প্রাচীনপন্থীদের ব্যঙ্গ করে দীনবন্ধু মিত্র রচিত প্রহসন কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ
B
টালা অভিনয়
C
বিয়ে পাগলা বুড়ো
D
এর উপায় কি
‘বিয়ে পাগলা বুড়ো’ প্রহসন
-
এটি দীনবন্ধু মিত্র কর্তৃক রচিত এবং সমাজের প্রাচীনপন্থীদের ব্যঙ্গ করার উদ্দেশ্যে তৈরি।
-
নাটকটি ১৮৬৬ সালে রচিত এবং ১৮৭২ সালে প্রথম মঞ্চস্থ হয়।
-
প্রহসনের বিষয়বস্তু হলো, বিবাহবাতিকগ্রস্ত এক বৃদ্ধের নকল বিয়ের আয়োজন কিভাবে স্কুলের অপরিপক্ক ছেলেরা নাস্তানাবুদ করে দেয়।
দীনবন্ধু মিত্রের উল্লেখযোগ্য প্রহসনসমূহ
-
বিয়ে পাগলা বুড়ো
-
সধবার একাদশী
-
জামাই বরিক
অন্য প্রহসনকারীদের উদাহরণ
-
‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’ – মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রহসন
-
‘টালা অভিনয়’ ও ‘এর উপায় কি’ – মীর মশাররফ হোসেনের প্রহসন
0
Updated: 3 weeks ago
দীনবন্ধু মিত্র রচিত প্রহসন কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
এর উপায় কি
B
একেই কি বলে সভ্যতা
C
সধবার একাদশী
D
টালা অভিনয়
‘সধবার একাদশী’ দীনবন্ধু মিত্রের রচিত এক ব্যঙ্গাত্মক প্রহসন, যেখানে তৎকালীন সমাজের কৃত্রিম সভ্যতা, নৈতিক অবক্ষয় ও ইয়ংবেঙ্গল দলের উচ্ছৃঙ্খল আচরণ তীক্ষ্ণ ব্যঙ্গের মাধ্যমে উপস্থাপিত হয়েছে। এটি উনিশ শতকের বাংলা নাট্যসাহিত্যে সামাজিক ব্যঙ্গরসের এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন।
-
‘সধবার একাদশী’ প্রহসনটি ১৮৬৬ সালে দীনবন্ধু মিত্র রচিত ও প্রকাশিত হয়।
-
এই প্রহসনে লেখক ইয়ংবেঙ্গল দলের উচ্ছৃঙ্খলতা, নীতিহীনতা ও পশ্চিমা অনুকরণের অন্ধ প্রবণতাকে তীব্রভাবে ব্যঙ্গ করেছেন।
-
এটি মূলত মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘একেই কি বলে সভ্যতা’ প্রহসনের অনুসরণে রচিত, তবে এতে দীনবন্ধু মিত্র তাঁর নিজস্ব রসবোধ ও বাস্তব অভিজ্ঞতার সংমিশ্রণ ঘটিয়েছেন।
-
প্রহসনের ভাষায় কিছুটা গ্রাম্যতা ও রুচিবিকল্পতা থাকলেও এর সমাজসচেতনতা ও বাস্তবধর্মী ব্যঙ্গ একে অত্যন্ত মূল্যবান রচনায় পরিণত করেছে।
-
উল্লেখযোগ্য চরিত্র: নিমচাঁদ, কেনারাম, সৌদামিনী, গিন্নী, কাঞ্চন ইত্যাদি।
-
নাটকের ঘটনাপ্রবাহে দেখা যায়, ইয়ংবেঙ্গল দলের সদস্যরা পাশ্চাত্য সভ্যতার নামে মদ্যপান, নারীনির্যাতন ও নৈতিক অবক্ষয়ে লিপ্ত, যা লেখক ‘সভ্যতার বিকৃতি’ হিসেবে ব্যঙ্গাত্মকভাবে উপস্থাপন করেছেন।
-
এই প্রহসনটি দীনবন্ধু মিত্রের সামাজিক বাস্তবতা অনুধাবন ও সাহিত্যিক সাহসিকতার নিদর্শন, যা বাংলা নাট্যসাহিত্যে ব্যঙ্গরসের ধারাকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।
দীনবন্ধু মিত্র সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য:
-
তিনি ছিলেন বাংলা নাট্যসাহিত্যের এক প্রবর্তক নাট্যকার, যিনি সমাজসংস্কার ও বাস্তবধর্মী নাট্যরচনার জন্য বিশেষভাবে স্মরণীয়।
-
তাঁর ‘নীল দর্পণ’ নাটক বাংলা নাটকের ইতিহাসে মাইলফলক, যেখানে নীলচাষিদের দুর্দশা বাস্তবচিত্রে উঠে এসেছে।
-
প্রসিদ্ধ প্রহসনসমূহ: সধবার একাদশী, বিয়ে পাগলা বুড়ো, জামাই বারিক।
-
প্রসিদ্ধ নাটকসমূহ: নীল দর্পণ, নবীন তপস্বিনী, লীলাবতী, কমলে কামিনী।
তুলনামূলক তথ্য:
-
মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রহসন: ‘একেই কি বলে সভ্যতা’ — যেখানে সমাজের ভণ্ড সভ্যতার প্রতি ব্যঙ্গ প্রকাশ পায়।
-
মীর মশাররফ হোসেনের প্রহসন: ‘এর উপায় কি?’ ও ‘টালা অভিনয়’ — যেখানে সমাজের কুসংস্কার, ভণ্ডামি ও ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে তীক্ষ্ণ রসাত্মক প্রতিবাদ দেখা যায়।
‘সধবার একাদশী’ সেই সময়কার সমাজে সভ্যতার নামে গ্লানি ও ভণ্ডামির এক বাস্তব চিত্র, যা আজও মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের প্রেক্ষাপটে প্রাসঙ্গিক ও চিন্তাজাগানিয়া।
0
Updated: 2 weeks ago
'নিমচাঁদ, কেনারাম' - কোন সাহিত্যকর্মের চরিত্র?
Created: 3 weeks ago
A
নবীন তপস্বিন
B
কমলে কামিনী
C
নীল দর্পন
D
সধবার একাদশী
‘সধবার একাদশী’ নাটক:
রচয়িতা: দীনবন্ধু মিত্র
-
প্রকাশিত: ১৮৬৬ খ্রিষ্টাব্দ
-
এটি উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগের সামাজিক নাটক, যেখানে যুবকদের জীবনে সুরাপান ও বেশ্যাবৃত্তির ফলে সৃষ্ট বিপর্যয়ের কাহিনী উপস্থাপন করা হয়েছে।
-
নাটকের উল্লেখযোগ্য চরিত্র: নিমচাঁদ, কেনারাম, সৌদামিনী, গিন্নী, কাঞ্চন ইত্যাদি।
দীনবন্ধু মিত্র:
-
জন্ম: ১৮৩০ খ্রিষ্টাব্দ
-
সাহিত্যজীবনের শুরু কবিতা দিয়ে হলেও নাট্যকার হিসেবে তিনি বেশি খ্যাত।
-
তিনি ইংরেজি শিক্ষিত নব্য যুবকদের মদ্যপান ও বারবণিতা ব্যঙ্গ করেছেন, বিশেষ করে ‘সধবার একাদশী’ নাটকে।
-
মৃত্যু: ১লা নভেম্বর, ১৮৭৩
উল্লেখযোগ্য নাটকসমূহ: নীল দর্পন, নবীন তপস্বিন, কমলে কামিনী
0
Updated: 3 weeks ago