A
লক্ষ্মণ সেন
B
ইলিয়াস শাহ
C
আকবর
D
বিজয় সেন
উত্তরের বিবরণ
⊕ বাংলা নববর্ষ:
- পহেলা বৈশাখ বাংলা সনের প্রথম দিন।
- এ দিনটি বাংলা নববর্ষ হিসেবে পালিত হয়।
- এটি বাঙালি জাতির একটি সর্বজনীন লোক উৎসব।
- এক সময় নববর্ষ পালিত হতো আর্তব উৎসব বা - ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে।
- তখন এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কৃষির, কারণ কৃষিকাজ ছিল ঋতু নির্ভর।
- এই কৃষি কাজের সুবিধার্থেই মুঘল সম্রাট আকবর — ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দে বাংলা সন প্রবর্তন করেন।
- হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌরসনকে ভিত্তি করে বাংলা সন প্রবর্তিত হয়।
- নতুন সনটি প্রথমে 'ফসলি সন' নামে পরিচিত ছিল যা পরে 'বঙ্গাব্দ' নামে পরিচিত হয়।
উৎস: বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 months ago
কঙ্গোকে বিদেশি শাসন থেকে মুক্ত করার লড়াইয়ে চিরস্থায়ী নাম-
Created: 2 months ago
A
কাশাভুবু
B
প্যাট্রিক লুমুম্বা
C
শোম্বে
D
মবুতু
• কঙ্গোকে বিদেশী শাসন থেকে মুক্ত করার লড়াইয়ের চিরস্থায়ী নাম — প্যাট্রিক লুমুম্বা।
• গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র:
- গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র আফ্রিকা মহাদেশের একটি রাষ্ট্র।
- পূর্বে এটি জায়ারে নামে পরিচিত ছিল।
- কঙ্গোর রাজধানী কিনসাসা এবং সরকারী ভাষা ফরাসি।
- বেলজিয়াম থেকে ১৯৬০ সালে স্বাধীনতা লাভ করে।
• প্যাট্রিস লুমুম্বা (1925-1961):
- কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের — প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ।
- একজন আফ্রিকান জাতীয়তাবাদী নেতা।
- মাত্র ৩৫ বছরের একটি জীবন পেয়েছিলেন প্যাট্রিস লুমুম্বা।
- ক্ষণস্থায়ী সে জীবন উৎসর্গিত হয়েছিল জন্মভূমির স্বাধীনতার লড়াইয়ে।
উৎসঃ www.history.com, Britannica.com.

0
Updated: 2 months ago
১৯৮৮ সালের সিউল অলিম্পিকে বাংলাদেশের কোন ভাস্করের শিল্পকর্ম প্রদর্শনীতে স্থান পায়?
Created: 2 months ago
A
শামীম সিকদার
B
সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালেদ
C
হামিদুজ্জামান খান
D
আবদুস সুলতান
• ১৯৮৮ সালের সিউল অলিম্পিকে বাংলাদেশের হামিদুজ্জামান খান ভাস্করের শিল্পকর্ম প্রদর্শনীতে স্থান পায়।
---------------------
• হামিদুজ্জামান খান:
- একজন বাংলাদেশী ভাস্কর।
- তিনি ১৯৮১ সালে বঙ্গভবনে 'পাখি পরিবার',
- ১৯৮৭ সালে বাংলা একাডেমিতে 'মুক্তিযোদ্ধা',
- ১৯৮৮ সালে আশুগঞ্জ জিয়া সারকারখানায় 'জাগ্রত বাংলা'এবং
- ১৯৮৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল অলিম্পিক পার্কে 'স্টেপস' (সিঁড়ি) নির্মাণ করেন- হামিদুজ্জামান খান।
- "His piece titled ‘Steps’ has found a permanent place in the Seoul Olympic Park in Korea."
• অলিম্পিকে বাংলাদেশ:
- ১৯৮০ সালেই মস্কো অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের।
- কিন্তু শেষ মুহূর্তে গেমস বয়কট করে।
- ১৯৮৪ সালে লস্ অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিক গেমসে মার্চ পাস্টে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে মাঠে নামে।
- ১৯৮৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদরা অংশ নেন।
- এরপর নিয়মিত অলিম্পিক গেমসে লাল-সবুজের পতাকা উড়ছে।
- এখন পর্যন্ত কোনো আসরেই পদক জেতা হয়নি বাংলাদেশের।
উৎস: Bengal Foundation, বাংলাদেশ প্রতিদিন, ২৮ অক্টোবর, ২০১৯।

0
Updated: 2 months ago
কোন শাসকের সময় থেকে সমগ্র বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চল পরিচিত হয়ে ওঠে বাঙ্গালাহ নামে?
Created: 2 months ago
A
ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ
B
শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ্
C
জালালুদ্দিন মুহাম্মদ আকবর
D
ঈসা খান
সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহের শাসনামল থেকেই সমগ্র বাংলা ভাষাভাষী এলাকা ‘বাঙ্গালাহ’ নামে পরিচিত হতে শুরু করে।
🔹 সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ:
যদিও বাংলার স্বাধীন সুলতানি যুগের সূচনা করেছিলেন ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ, প্রকৃতপক্ষে এই যুগের সুদৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করেন সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ।
তিনিই প্রথম দুই বাংলাকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি সামগ্রিক ভূখণ্ড হিসেবে ‘বাঙ্গালাহ’ নামে পরিচিত করান।
🔹 বাঙালি জাতিসত্তার উন্মেষ:
তাঁর রাজত্বকালে বাংলার মানুষ একক জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং "বাঙালি" পরিচয়ে পরিচিত হতে থাকে।
এই কারণে ঐতিহাসিকগণ তাঁকে ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রবর্তক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
🔹 শাসনকাল ও কৃতিত্ব:
ইলিয়াস শাহ দীর্ঘ ১৬ বছর বাংলার সিংহাসনে অধিষ্ঠিত ছিলেন এবং ১৩৫৮ খ্রিস্টাব্দে পরলোকগমন করেন।
🔹 সাম্রাজ্য সম্প্রসারণ:
১৩৫২ খ্রিস্টাব্দে তিনি সোনারগাঁও-এর শাসক ও ফখরুদ্দিন মুবারক শাহের পুত্র ইখতিয়ারউদ্দিন গাজী শাহকে পরাজিত করে পূর্ব বাংলায় তার কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেন।
পরে লখনৌতি, সাতগাঁও ও সোনারগাঁও অধিকার করে পুরো বাংলার একচ্ছত্র অধিপতি হয়ে ওঠেন — যা আগে কোনো মুসলিম শাসকের পক্ষে সম্ভব হয়নি।
🔹 ঐতিহাসিক স্বীকৃতি:
ইতিহাসবিদ শামস-ই-সিরাজ আফীফ তাঁকে “শাহ-ই-বাঙ্গালাহ” ও “সুলতান-ই-বাঙ্গালাহ” উপাধিতে ভূষিত করেন — যা তাঁর অগ্রগামী নেতৃত্বের প্রমাণ বহন করে।
উৎস: ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি (২য় পত্র), এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 months ago