প্রকৃতিতে কত ধরনের মৌলিক বল আছে?
A
৪
B
৩
C
২
D
৫
উত্তরের বিবরণ
বল হলো এমন একটি শারীরিক প্রক্রিয়া যা:
-
স্থির বস্তুকে গতিশীল করতে চায় বা গতিশীল বস্তুর গতিতে পরিবর্তন ঘটায়।
-
সবসময় জোড়ায় জোড়ায় ক্রিয়া করে।
-
প্রকৃতিতে চার ধরনের মৌলিক বল বিদ্যমান: মহাকর্ষ বল, তড়িৎ চৌম্বক বা বিদ্যুৎ-চৌম্বকীয় বল, দুর্বল নিউক্লীয় বল, সবল নিউক্লীয় বল।
১. মহাকর্ষ বল:
-
সকল বস্তু তাদের ভরের কারণে একে অপরকে আকর্ষণ করে।
-
উদাহরণ: গ্যালাক্সির নক্ষত্র ঘুরপাক খায়, সূর্যের চারপাশে পৃথিবী ঘোরে, পৃথিবীর চারপাশে চাঁদ ঘোরে।
-
পৃথিবীর মহাকর্ষ বলকে মধ্যাকর্ষণ বল বলা হয়।
-
এটি আমাদেরকে পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে টেনে রাখে, যার ফলে আমরা ওজনের অনুভূতি পাই।
-
যেকোনো ভরবিশিষ্ট বস্তু অন্য বস্তুকে মহাকর্ষ বল প্রয়োগ করে।
২. তড়িৎ চৌম্বক বা বিদ্যুৎ-চৌম্বকীয় বল:
-
দুটি আহিত কণা তাদের আধানের কারণে একে অপরের ওপর আকর্ষণ বা বিকর্ষণ প্রয়োগ করে।
৩. দুর্বল নিউক্লীয় বল:
-
নাম অনুসারে এটি দুর্বল, কারণ এটি তড়িৎ চৌম্বকীয় বলের তুলনায় দুর্বল, তবে মহাকর্ষ বলের তুলনায় কম নয়।
-
এটি খুবই অল্প দূরত্বে (≈ 10⁻¹⁸ m) কার্যকর হয়।
-
মহাকর্ষ এবং তড়িৎ চৌম্বকীয় বল যেকোনো দূরত্ব থেকে কাজ করতে পারে, কিন্তু দুর্বল নিউক্লীয় বলের প্রভাব সীমিত।
৪. সবল নিউক্লীয় বল:
-
এটি সৃষ্টিজগতের সবচেয়ে শক্তিশালী বল।
-
তড়িৎ চৌম্বকীয় বলের চেয়ে ≈100 গুণ শক্তিশালী, তবে কার্যকর হয় খুব অল্প দূরত্বে (≈ 10⁻¹⁵ m)।
-
সূর্য থেকে প্রাপ্ত আলো ও তাপ এই বলের কারণে তৈরি হয়।

0
Updated: 20 hours ago
জগদীশচন্দ্র বসু রেডিও সংকেত শনাক্তকরণের কাজে কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করেছিলেন?
Created: 3 weeks ago
A
ট্রানজিস্টর
B
অর্ধপরিবাহী জাংশন
C
ক্যাপাসিটার
D
ভ্যাকুয়াম টিউব
জগদীশচন্দ্র বসু (১৮৬৫–১৯৩৭) ছিলেন একজন প্রখ্যাত ভারতীয় বিজ্ঞানী, যিনি পদার্থবিজ্ঞান এবং উদ্ভিদ শারীরিতত্ত্ব উভয় ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করেছিলেন। তিনি বৈদ্যুতিক তরঙ্গ প্রেরণ ও শনাক্তকরণ এবং উদ্ভিদের উদ্দীপনার প্রতি প্রতিক্রিয়া নিয়ে যুগান্তকারী কাজ করেছেন।
-
শিক্ষা ও ক্যারিয়ার:
-
১৮৮৫ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে পদার্থবিজ্ঞানে অধ্যাপনা শুরু করেন।
-
গবেষণার ক্ষেত্রে বিনা তারে দূরবর্তী সংকেত প্রেরণ ও শনাক্তকরণে গুরুত্বপূর্ণ pioneering কাজ সম্পন্ন করেন।
-
-
বৈজ্ঞানিক অবদান (Physics & Radio Waves):
-
১৮৯৫ সালে প্রথমবারের মতো দূরবর্তী স্থানে বিনা তারে রেডিও তরঙ্গ প্রেরণ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেন।
-
৫ মিলিমিটার পর্যায়ে তরঙ্গদৈর্ঘ্য পরিমাপের পদ্ধতি আবিষ্কার করেন।
-
অর্ধপরিবাহী জাংশন ব্যবহার করে রেডিও সংকেত শনাক্তের কাজ করেন।
-
তাঁর আবিষ্কারগুলো ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যবহার না করে সর্বজনীনভাবে উন্মুক্ত রাখেন।
-
-
জীববিজ্ঞান ও উদ্ভিদ শারীরিতত্ত্ব:
-
উদ্ভিদের বৃদ্ধি পরিমাপের জন্য ক্রেস্কোগ্রাফ আবিষ্কার।
-
উদ্ভিদ কিভাবে বিভিন্ন উদ্দীপনায় সাড়া দেয় তা ব্যাখ্যা করেন।
-
উদ্দীপকের প্রতি উদ্ভিদের প্রতিক্রিয়া রাসায়নিক নয়, বৈদ্যুতিক প্রকৃতির।
-
-
উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: ‘Response in the Living and Non-living’।
-
১৯১৭ সালে কলকাতায় বসু মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন উদ্ভিদ-শারীরিতত্ত্ব গবেষণার জন্য।
-
-
মৃত্যু:
-
২৩ নভেম্বর ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি পরলোকে গমন করেন।
-
সংক্ষেপে:
জগদীশচন্দ্র বসু ছিলেন পদার্থবিজ্ঞান ও উদ্ভিদ শারীরিতত্ত্বের পথপ্রদর্শক, যিনি বৈদ্যুতিক তরঙ্গ এবং উদ্ভিদের প্রতিক্রিয়া নিয়ে যুগান্তকারী অবদান রেখেছেন।

0
Updated: 3 weeks ago
হিগস কণা (Higgs Boson) আবিষ্কারের জন্য কোন যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে?
Created: 3 weeks ago
A
লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার
B
স্পিৎজার স্পেস টেলিস্কোপ
C
হাবল স্পেস টেলিস্কোপ
D
কেপলার স্পেস অবজারভেটরি
লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার (LHC) বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী পার্টিকল অ্যাক্সিলারেটর, যা সুইজারল্যান্ড ও ফ্রান্সের সীমান্তে অবস্থিত CERN-এ স্থাপন করা হয়েছে। ২০১২ সালে এখানেই হিগস বোসনের অস্তিত্ব নিশ্চিত করা হয়, যা পদার্থবিজ্ঞানের স্ট্যান্ডার্ড মডেল এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
হিগস বোসন:
- হিগস বোসন এর স্পিন 0, তবে এর ভর আছে।
- হিগস বোসন বুঝতে হলে হিগস ক্ষেত্র সম্বন্ধে জানতে হবে।
- হিগস ক্ষেত্র একটি তাত্ত্বিক বলক্ষেত্র যা সর্বত্র ছড়িয়ে আছে।
- এই ক্ষেত্রের কাজ হলো মৌলিক কণাগুলোকে ভর প্রদান করা।
- যখন কোনো ভরহীন কণা হিগস ক্ষেত্রে প্রবেশ করে তখন তা ধীরে ধীরে ভর লাভ করে। ফলে তার চলার গতি ধীর হয়ে যায়।
- হিগস বোসনের মাধ্যমে ভর কণাতে স্থানান্ডরিত হয়।
- এই হিগস বোসন কণাই ঈশ্বর কণা ( God's Particle) নামে পরিচিত।

0
Updated: 3 weeks ago
আলোর ফ্লাক্সের একক কী?
Created: 3 weeks ago
A
লুমেন
B
ক্যান্ডেলা
C
লাক্স
D
স্টেরিডিয়ান
আলোর ফ্লাক্স:
- কোন আলোর উৎস থেকে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রফলের মধ্য দিয়ে, যে পরিমাণ আলোক শক্তি নির্গত হয় বা প্রবেশ করে, তাকে আলোর প্রবাহ বা আলোর ফ্লাক্স বলে।
- আলোর ফ্লাক্স পরিমাপের একক লুমেন।
- এক ক্যান্ডেলা দীপন ক্ষমতার কোন আলোক উৎস থেকে এক স্টেরেডিয়ান ঘনকোণে যে পরিমাণ আলোক ফ্লাক্স নির্গত হয় তাকে এক লুমেন (1 lm) বলে।
অন্যদিকে,
- দীপন মাত্রা পরিমাপের একক লাক্স। কোন পৃষ্ঠের প্রতি বর্গ মিটার ক্ষেত্রে এক লুমেন আলোক ফ্লাক্স যে দীপন মাত্রা সৃষ্টি করে তাকে এক লাক্স (1 lux) বলে।
- ক্যান্ডেলা হলো আলোর শক্তির পরিমাপের একক, যা নির্দিষ্ট দিক থেকে আলোর উজ্জ্বলতার পরিমাপ করে।
- স্টেরিডিয়ান হলো দিকের পরিমাপের একক যা আলোর উৎসের দিকে এককীয় দিকের কোণ প্রতিনিধিত্ব করে।

0
Updated: 3 weeks ago