নিচের কোন চুক্তিটি যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে অনুমোদিত হয়নি?
A
এবিএম চুক্তি (ABM)
B
সল্ট-১ চুক্তি (SALT-1)
C
সল্ট-২ চুক্তি (SALT-2)
D
স্টার্ট-২ চুক্তি (START-2)
উত্তরের বিবরণ
SALT
- SALT-এর পূর্ণরূপ: Strategic Arms Limitation Talks।
- আলোচ্য বিষয়: কৌশলগত অস্ত্র সীমাবদ্ধতা।
- এই আলোচনা শুরু হয়েছিল ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকিতে।
- আলোচনার সময়: ১৯৬৯ সাল।
- পক্ষ: যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন।
- দুইটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যা SALT-I ও SALT-II নামে পরিচিত।
- SALT-I চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল: ২৬ মে, ১৯৭২ সালে।
- SALT-II চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল: ১৮ জুন, ১৯৭৯ সালে।
উল্লেখ্য,
- ১৮ জুন, ১৯৭৯ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ও সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট লিওনিদ ব্রেজনভের মধ্যে স্বাক্ষরিত SALT-2 চুক্তিটি মার্কিন সিনেটে অনুমোদন লাভ করেনি।
- ১৯৭৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন কর্তৃক আফগানিস্তান সৈন্য প্রেরণ করলে তার প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট SALT-2 চুক্তিটি অনুমোদন করে নি।
অন্যদিকে,
- ABM Treaty (Anti Ballistic Missile ) ১৯৭২ সালের ৩ আগস্ট মার্কিন সিনেটে অনুমোদিত হয়।
- SALT-I (Strategic Arms Limitation Talks) ৩০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭২ মার্কিন সিনেটে অনুমোদন লাভ করে।
- START-2 (Strategic Arms Reduction Traty) চুক্তি মার্কিন সিনেটে অনুমোদিত হয় ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৭ সালে।
উৎস: Arms Control Association ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 month ago
ইসরাইল-প্যালেস্টাইন 'রোডম্যাপ' কর্মসূচির উদ্দেশ্য কি?
Created: 1 month ago
A
সহিংসতা বন্ধ করে ২০০৫ সালের মধ্যে স্বাধীন প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা
B
দুটি রাষ্ট্রের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন
C
দুটি রাষ্ট্রের মধ্যে অবাধ বাণিজ্য স্থাপন
D
দুটি রাষ্ট্রের মধ্যে সীমানা চিহ্নিতকরণ
নিকারাগুয়ার ‘কন্ট্রা’ বিদ্রোহীরা
নিকারাগুয়ার একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী ছিল ‘কন্ট্রা’, যারা দেশটির তৎকালীন বামপন্থি সরকারকে উৎখাতের উদ্দেশ্যে আন্দোলন চালায়। এই বিদ্রোহীদের পেছনে সরাসরি সমর্থন জুগিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন শান্তি প্রক্রিয়া ও ‘অসলো চুক্তি’:
১৯৯৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে এক ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তিতে উপনীত হয় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন।
যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের মধ্যস্থতায় এই সমঝোতায় পৌঁছান ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাত ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ইতজাক রাবিন। চুক্তিটি ‘অসলো চুক্তি’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। এতে ফিলিস্তিনিদের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন পিএলও পার্টির নেতা ইয়াসির আরাফাত।
চুক্তির মূল উদ্দেশ্য ছিল দীর্ঘদিনের সংঘাত বন্ধ করে শান্তিপূর্ণ উপায়ে দুই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে যাওয়া। যদিও হামাসসহ বেশ কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী তখন থেকেই এই চুক্তির বিরোধিতা করে আসছে।
পরবর্তীতে, ফিলিস্তিনে একটি নির্বাচিত সরকার গঠনের পরিকল্পনা করা হয়, যারা পশ্চিম তীর ও গাজা অঞ্চল মিলিয়ে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। ফিলিস্তিনিদের পক্ষ থেকে বারবার দাবি জানানো হয়েছে যে, তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী হতে হবে পূর্ব জেরুসালেম।
অসলো চুক্তির ধারাবাহিকতায় ১৯৯৫, ১৯৯৮ ও ১৯৯৯ সালে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে একাধিক দফায় আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্প ডেভিডে প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনের উদ্যোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী এহুদ বারাক ও ইয়াসির আরাফাতের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের নতুন এক আন্দোলন শুরু হয়, যা ‘দ্বিতীয় ইন্তিফাদা’ নামে পরিচিত। এই সহিংস পরিস্থিতি ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থায়ী ছিল।
২০০৩ সালে, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘের যৌথ উদ্যোগে একটি ‘রোডম্যাপ’ ঘোষণা করা হয়। এর লক্ষ্য ছিল, সহিংসতা বন্ধ করে ২০০৫ সালের মধ্যে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পথ সুগম করা।
তথ্যসূত্র:
১. বিবিসি বাংলা (প্রকাশিত: ৯ অক্টোবর ২০২৩)
২. ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট (.gov)

0
Updated: 1 month ago
The New START treaty was signed between which two countries?
Created: 2 days ago
A
USA & China
B
USA & Russia
C
Russia & France
D
USA & UK
নিউ স্টার্ট চুক্তি (New START Treaty):
-
নিউ স্টার্ট চুক্তি ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা।
-
২০০৯ সালের ৫ ডিসেম্বর স্টার্ট-১ (START I) চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ওবামা প্রশাসন ও রাশিয়ার পুতিন সরকার নতুন চুক্তির জন্য আলোচনা শুরু করে।
-
এর ধারাবাহিকতায় ২০১০ সালের ৮ এপ্রিল চেক প্রজাতন্ত্রের প্রাগ শহরে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং রাশিয়ার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ নিউ স্টার্ট চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
-
এটি ২০১১ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হয়। এর প্রাথমিক মেয়াদ ছিল ১০ বছর, অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত।
-
পরবর্তীতে মেয়াদ বাড়ানো হলেও, ২০২৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আনুষ্ঠানিকভাবে নিউ স্টার্ট চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দেন।

0
Updated: 2 days ago
কোন চুক্তিতে পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধ হওয়ার কথা বলা হয়েছে?
Created: 2 months ago
A
ন্যাটো (NATO)
B
সিটিবিটি (CTBT)
C
এনপিটি (NPT)
D
সল্ট (SALT)
CTBT (Comprehensive Nuclear Test Ban Treaty) একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক চুক্তি, যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্বব্যাপী সামরিক ও বেসামরিক সকল প্রকার পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষাকে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা।
এই চুক্তিটি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের মাধ্যমে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর এবং স্বাক্ষরের জন্য উন্মুক্ত হয় ২৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৬। এ পর্যন্ত ১৮৭টি দেশ এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে এবং ১৭৮টি দেশ তা অনুমোদন করেছে।
বাংলাদেশ এই চুক্তিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে। বাংলাদেশ ২৪ অক্টোবর, ১৯৯৬ সালে CTBT-তে স্বাক্ষর করে এবং ৮ মার্চ, ২০০০ সালে ৫৪তম দেশ হিসেবে এর অনুমোদন প্রদান করে। স্বাক্ষরের সময় বাংলাদেশ ছিল ১২৯তম দেশ।
CTBTO (Comprehensive Nuclear-Test-Ban Treaty Organization) হলো সেই সংস্থা যা CTBT বাস্তবায়ন তদারকি করে। এই সংস্থা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার ওপর নজরদারি এবং পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে। CTBTO-এর প্রধান কার্যালয় অবস্থিত অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায়।
অন্যদিকে, ১৯৬৩ সালের ৫ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে মস্কোতে স্বাক্ষরিত হয় একটি ঐতিহাসিক চুক্তি, যার মাধ্যমে বায়ুমণ্ডল, মহাকাশ ও পানির নিচে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক চুক্তি ও সংস্থা:
-
NPT (Non-Proliferation of Nuclear Weapons): পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি।
-
NATO (North Atlantic Treaty Organization): উত্তর আটলান্টিক চুক্তির ভিত্তিতে গঠিত একটি আন্তঃসরকারি সামরিক জোট।
-
SALT (Strategic Arms Limitation Talks): যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে কৌশলগত অস্ত্র সীমিত করার আলোচনাপ্রক্রিয়া।
তথ্যসূত্র: Arms Control Association।

0
Updated: 2 months ago