কোনটি বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে উপনিবেশবাদের নিগড় থেকে মুক্ত হয়?
A
হংকং
B
শ্রীলংকা
C
ম্যাকাউ
D
বাংলাদেশ
উত্তরের বিবরণ
ম্যাকাও
-
ম্যাকাও চীনের একটি বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হিসেবে পরিচিত।
-
এটি আগে পর্তুগালের উপনিবেশ ছিল।
-
চীন সাগরে অবস্থিত এই দ্বীপটি এশিয়ায় ইউরোপীয় উপনিবেশের মধ্যে সর্বশেষটি ছিল।
⇒ দ্বৈত অর্থনীতি:
-
চীনের ‘এক দেশ, দুই নীতি’ নীতির আওতায় হংকং ও ম্যাকাও অঞ্চলগুলোকে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
-
১৯৯৭ সালের ১ জুলাই ব্রিটিশ শাসন থেকে হংকং এবং ১৯৯৯ সালের ২০ ডিসেম্বর পর্তুগালের শাসন থেকে ম্যাকাও ৫০ বছরের জন্য চীনের অধীনে আসে।
-
হংকং-এর অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতেই এই “এক দেশ, দুই নীতি” নীতি গৃহীত হয়েছে।
-
ম্যাকাও হলো ২০শ শতাব্দীর শেষ দিকে উপনিবেশবাদের অবসান ঘটিয়ে স্বাধীনতা লাভ করা সর্বশেষ অঞ্চল।
উৎস: i) Britannica
ii) World Atlas

0
Updated: 1 month ago
জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্য:
Created: 2 weeks ago
A
জাপান, জার্মানি, ফ্রান্স, ব্রিটেন, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র
B
ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, চীন
C
যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ব্রিটেন, ব্রাজিল, চীন, নাইজেরিয়া
D
উত্তর কোরিয়া, পাকিস্তান, ভারত, ইসলায়েল, চীন
জাতিসংঘ ও নিরাপত্তা পরিষদ
জাতিসংঘ (United Nations, UN)
-
বিশ্বের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক সংস্থা।
-
এটি পূর্বের জাতিপুঞ্জ (League of Nations) এর উত্তরসূরী।
-
সনদ স্বাক্ষর: ২৬ জুন ১৯৪৫, স্থান: সানফ্রান্সিসকো, যুক্তরাষ্ট্র।
-
প্রতিষ্ঠা: ২৪ অক্টোবর ১৯৪৫।
-
প্রাথমিক সদস্য সংখ্যা: ৫১টি, বর্তমান সদস্য: ১৯৩টি।
-
সর্বশেষ যোগ হওয়া দেশ: দক্ষিণ সুদান।
-
সদর দপ্তর: ম্যানহাটন, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র।
-
বর্তমান মহাসচিব: আন্তোনিও গুতেরেস।
-
দাপ্তরিক ভাষা: ৬টি (ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ, চীনা, রুশ, স্প্যানিশ, আরবি)।
-
কার্যকরী ভাষা: ২টি (ইংরেজি ও ফ্রেঞ্চ)।
-
স্থায়ী পর্যবেক্ষক: ২টি (ভ্যাটিকান সিটি, ফিলিস্তিন)।
জাতিসংঘের প্রধান ৬টি অঙ্গসংস্থা:
-
সাধারণ পরিষদ (General Assembly)
-
নিরাপত্তা পরিষদ (Security Council)
-
অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ (Economic and Social Council)
-
আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (International Court of Justice)
-
তত্ত্বাবধায়ক পরিষদ (Trusteeship Council)
-
সচিবালয় (Secretariat)
নিরাপত্তা পরিষদ (UN Security Council)
-
মোট ১৫ সদস্য নিয়ে গঠিত।
-
স্থায়ী সদস্য: ৫টি দেশ, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয়ী পরাশক্তি:
-
চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র।
-
এ পাঁচ দেশকে একত্রে P-৫ বলা হয়।
-
-
নিরাপত্তা পরিষদ নতুন সদস্যের জন্য সাধারণ পরিষদকে সুপারিশ করে।
-
মহাসচিব ও আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারক নিয়োগেও নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশ প্রয়োজন।
-
মহাসচিব নির্বাচিত হন নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশ এবং সাধারণ পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে।
-
নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য সম্পর্কিত নিয়ম জাতিসংঘ সনদ, ২৩ নং অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে।
অস্থায়ী সদস্য:
-
নির্বাচিত হয় ২ বছরের জন্য।
-
বর্তমান দশটি অস্থায়ী সদস্য:
-
২০২৪: ইকুয়েডর, জাপান, মাল্টা, মোজাম্বিক, সুইজারল্যান্ড
-
২০২৫: আলজেরিয়া, গায়ানা, কোরিয়া, সিয়েরা লিওন, স্লোভেনিয়া
-
উৎস: UN Security Council ওয়েবসাইট।

0
Updated: 2 weeks ago
ব্রিটিশ কৃষি বিপ্লব কখন সংঘটিত হয়েছিল?
Created: 4 days ago
A
ঊনবিংশ শতাব্দীতে
B
অষ্টাদশ শতাব্দীতে
C
ষোড়শ শতাব্দীতে
D
চতুর্দশ শতাব্দীতে
ব্রিটিশ কৃষি বিপ্লব ছিল শিল্প বিপ্লবের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ পূর্বশর্ত, যা কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি কারখানায় শ্রমিক হিসেবে নিয়োগের জন্য পর্যাপ্ত জনশক্তি নিশ্চিত করেছিল।
অষ্টাদশ শতাব্দীতে ব্রিটেনে এই বিপ্লব ঘটে এবং এটি দেশের কৃষি ব্যবস্থা ও গ্রামীণ সমাজে মূলগত পরিবর্তন আনে। ব্রিটেনের কৃষি বিপ্লবের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো ছিল:
-
বৃহদায়তন ও সুসংহত কৃষি ব্যবস্থা: বিপ্লবটি বৃহৎ আকারের কৃষি ব্যবস্থার জন্ম দেয়, যা আরও সংগঠিত ও কার্যকরী ছিল।
-
চারণভূমি ও পশুপালনের উন্নয়ন: সাধারণের ব্যবহারযোগ্য উর্বর চারণভূমিতে কৃষির প্রসার ঘটে এবং পশুপালন আরও ঘনিষ্ঠভাবে পরিচালিত হতে থাকে।
-
গ্রামীণ সমাজে পরিবর্তন: স্বনির্ভর কৃষকরা ক্রমে কৃষি শ্রমিকে পরিণত হন, এবং তাদের জীবনযাত্রার মান নির্ভর করতে শুরু করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের উপর। আবহাওয়ার ওপর নির্ভরশীলতার দিন শেষ হয়।
-
উৎপাদনশীলতার বৃদ্ধি: কৃষি বিপ্লবের ফলে কৃষি উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যায়, যা দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে সহায়ক হয়।

0
Updated: 4 days ago
জাতিসংঘ কোন সালে মানবাধিকার সংক্রান্ত বৈশ্বিক ঘোষণার ঐতিহাসিক নথিটি গ্রহণ করে?
Created: 1 week ago
A
১৯৪৮
B
১৯৫৬
C
১৯৪৫
D
২০০০
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন ও সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা
-
১৯৪৬ সালে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন গঠিত হয়।
-
কমিশন একটি বিশেষ কমিটি গঠন করে, যার কাজ ছিল মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণার খসড়া তৈরি করা।
-
এই খসড়া ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে গৃহীত হয়।
-
ঘোষণায় মোট ৩০টি অনুচ্ছেদ অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
-
পরবর্তীতে, প্রতি বছর ১০ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার মূল বক্তব্য
-
মানুষ জন্মগতভাবে স্বাধীন এবং অধিকারের দিক থেকে সমান।
-
বর্ণ, ধর্ম, লিঙ্গ, ভাষা, জাতীয়তা, ধনী-গরিব, রাজনৈতিক মতামত বা সামাজিক অবস্থান— কোনো কিছুর ভিত্তিতে মানবাধিকার ভোগে বৈষম্য করা যাবে না।
-
সবার জন্য সমানভাবে অধিকার ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।
উৎস: জাতিসংঘের ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 week ago