নিচের কোন চুক্তিটি যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে অনুমোদিত হয়নি?
A
এবিএম চুক্তি (ABM)
B
সল্ট-১ চুক্তি (SALT-1)
C
সল্ট-২ চুক্তি (SALT-2)
D
স্টার্ট-২ চুক্তি (START-2)
উত্তরের বিবরণ
SALT
- SALT-এর পূর্ণরূপ: Strategic Arms Limitation Talks।
- আলোচ্য বিষয়: কৌশলগত অস্ত্র সীমাবদ্ধতা।
- এই আলোচনা শুরু হয়েছিল ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকিতে।
- আলোচনার সময়: ১৯৬৯ সাল।
- পক্ষ: যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন।
- দুইটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যা SALT-I ও SALT-II নামে পরিচিত।
- SALT-I চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল: ২৬ মে, ১৯৭২ সালে।
- SALT-II চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল: ১৮ জুন, ১৯৭৯ সালে।
উল্লেখ্য,
- ১৮ জুন, ১৯৭৯ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ও সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট লিওনিদ ব্রেজনভের মধ্যে স্বাক্ষরিত SALT-2 চুক্তিটি মার্কিন সিনেটে অনুমোদন লাভ করেনি।
- ১৯৭৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন কর্তৃক আফগানিস্তান সৈন্য প্রেরণ করলে তার প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট SALT-2 চুক্তিটি অনুমোদন করে নি।
অন্যদিকে,
- ABM Treaty (Anti Ballistic Missile ) ১৯৭২ সালের ৩ আগস্ট মার্কিন সিনেটে অনুমোদিত হয়।
- SALT-I (Strategic Arms Limitation Talks) ৩০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭২ মার্কিন সিনেটে অনুমোদন লাভ করে।
- START-2 (Strategic Arms Reduction Traty) চুক্তি মার্কিন সিনেটে অনুমোদিত হয় ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৭ সালে।
উৎস: Arms Control Association ওয়েবসাইট।
0
Updated: 3 months ago
ব্রাসেলস চুক্তি কবে স্বাক্ষরিত হয়?
Created: 1 month ago
A
২৫ আগস্ট, ১৯৪৮
B
C
৪ এপ্রিল, ১৯৪৯
D
১২ মার্চ, ১৯৪৭
ব্রাসেলস চুক্তি (Brussels Treaty), ১৯৪৮
-
পরিচিতি: পশ্চিম ইউরোপীয় দেশগুলো—ব্রিটেন, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস এবং লুক্সেমবার্গ—দ্বারা স্বাক্ষরিত একটি নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা চুক্তি।
-
স্বাক্ষর তারিখ: ১৭ মার্চ, ১৯৪৮, বেলজিয়ামের ব্রাসেলস
-
কার্যকর হওয়ার তারিখ: ২৫ আগস্ট, ১৯৪৮
-
উদ্দেশ্য:
-
সম্মিলিত প্রতিরক্ষা জোট গঠন
-
দেশগুলোর মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি
-
পশ্চিম ইউরোপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা
-
-
গুরুত্ব:
-
পরবর্তীতে পশ্চিম ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটো (NATO) গঠনের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে
-
শীতল যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে পশ্চিম ইউরোপীয় দেশগুলোর সমন্বিত প্রতিরক্ষা নীতি প্রতিষ্ঠা করে
-
0
Updated: 1 month ago
সম্প্রতি, কোন দেশ আর্মেনিয়া-আজারবাইজান শান্তিচুক্তির মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেছে? [সেপ্টেম্বর, ২০২৫]
Created: 1 month ago
A
রাশিয়া
B
তুরস্ক
C
ইরান
D
যুক্তরাষ্ট্র
আর্মেনিয়া-আজারবাইজান শান্তিচুক্তি ২০২৫ সালের ৮ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হোয়াইট হাউসে স্বাক্ষরিত হয়। এ চুক্তি দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলের দীর্ঘদিনের সংঘাত নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
-
তারিখ ও স্থান: ৮ আগস্ট, ২০২৫, হোয়াইট হাউস (যুক্তরাষ্ট্র)
-
অংশগ্রহণকারী নেতা: আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ ও আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান
-
আয়োজনের ভূমিকা: যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় অনুষ্ঠিত হয়
-
ফলাফল: কয়েক দশকের সংঘাতের অবসান এবং দীর্ঘস্থায়ী মিত্রতার ভিত্তি তৈরি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
-
অতিরিক্ত চুক্তি: শান্তিচুক্তির পাশাপাশি করিডোর ও বাণিজ্য ইস্যুতেও যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশের সাথে পৃথক চুক্তি স্বাক্ষর করে
উল্লেখযোগ্য প্রেক্ষাপট:
-
আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান কয়েক দশক ধরে নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে বিবাদে লিপ্ত।
-
অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের অংশ হলেও, ১৯৯৪ সালের যুদ্ধে আর্মেনিয়ার সমর্থিত জাতিগত আর্মেনীয় বাহিনী এর নিয়ন্ত্রণ নেয়।
-
পরবর্তী সময়ে একাধিকবার রক্তক্ষয়ী সংঘাত ঘটে দুই দেশের মধ্যে।
-
সর্বশেষ ২০২৩ সালে আজারবাইজান পুনরায় এই অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে।
0
Updated: 1 month ago
নানকিং চুক্তি কত সালে স্বাক্ষরিত হয়?
Created: 3 weeks ago
A
১৮১৫ সালে
B
১৮৩৯ সালে
C
১৮৪২ সালে
D
১৮৫৭ সালে
নানকিং চুক্তি হলো একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি, যা চীনকে ১৮৪২ সালে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয়। এটি স্বাক্ষরিত হয় প্রথম আফিম যুদ্ধের পর, যা চীনে আফিমের চোরাচালানকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হয়েছিল। চীনা শাসকরা ১৮৩৯ সালে আফিম আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও ব্রিটিশরা আফিম আমদানি অব্যাহত রাখে, যা চীন ও ব্রিটেনের মধ্যে যুদ্ধের কারণ হয়। যুদ্ধে চীনা পক্ষ পরাজিত হয় এবং ব্রিটিশদের শর্ত মেনে নিতে বাধ্য হয়, যার অংশ হিসেবে নানকিং চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
• নানকিং চুক্তি চীনের জন্য প্রথম আধুনিক "অসমতুল্য চুক্তি" বা Unequal Treaty হিসেবে পরিচিত।
• চুক্তির অধীনে চীনের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর ব্রিটিশদের জন্য খুলে দেওয়া হয় (যেমন: গুয়াংঝু, ফুজিয়ান, সাংহাই) বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে।
• ব্রিটেন চীনের কাছ থেকে বিশাল প্রতিপূরণ (Indemnity) দাবি করে।
• চীনের হংকং দ্বীপ ব্রিটেনের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।
• নানকিং চুক্তি চীনের সার্বভৌমত্ব ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতার উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে এবং পরবর্তীতে আরও অসমতুল্য চুক্তির পথ প্রশস্ত করে।
0
Updated: 3 weeks ago