কোন পরিষদের সুপারিশক্রমে জাতিসংঘে নতুন সদস্য গ্রহণ করা হয়?
A
অছি পরিষদ
B
সাধারণ পরিষদ
C
নিরাপত্তা পরিষদ
D
অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ
উত্তরের বিবরণ
জাতিসংঘের ছয়টি প্রধান অঙ্গসংস্থা
জাতিসংঘের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এর ছয়টি প্রধান অঙ্গসংস্থা রয়েছে। এরা হলো:
-
সাধারণ পরিষদ (General Assembly)
-
নিরাপত্তা পরিষদ (Security Council)
-
অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ (Economic and Social Council)
-
আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (International Court of Justice)
-
অছি পরিষদ (Trusteeship Council)
-
জাতিসংঘ সচিবালয় (Secretariat)
নিরাপত্তা পরিষদ (UN Security Council)
-
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ মোট ১৫ সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত।
-
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিজয়ী পাঁচটি পরাশক্তি এই পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে রয়েছে।
-
এই পাঁচটি দেশ হচ্ছে: চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র।
-
একত্রে এদের ‘পি-৫ (P-5)’ নামে ডাকা হয়।
-
নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশের ভিত্তিতেই সাধারণ পরিষদ নতুন সদস্য রাষ্ট্রকে জাতিসংঘে অন্তর্ভুক্ত করে।
-
মহাসচিব নিয়োগ এবং আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের বিচারক নির্বাচনের ক্ষেত্রেও নিরাপত্তা পরিষদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
মহাসচিব নির্বাচন হয় নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশে এবং সাধারণ পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোটে।
-
জাতিসংঘ সনদের ২৩ নম্বর অনুচ্ছেদে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের সম্পর্কে বিশদভাবে উল্লেখ রয়েছে।
অস্থায়ী সদস্য
-
নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যরা নির্বাচিত হন দুই বছরের মেয়াদে।
-
বর্তমানে পরিষদের দশটি অস্থায়ী সদস্য দেশ হলো:
-
২০২৪ সালের মেয়াদে: ইকুয়েডর, জাপান, মাল্টা, মোজাম্বিক, সুইজারল্যান্ড।
-
২০২৫ সালের মেয়াদে: আলজেরিয়া, গায়ানা, দক্ষিণ কোরিয়া, সিয়েরা লিওন, স্লোভেনিয়া।
উৎস: UN Security Council (আধিকারিক ওয়েবসাইট)
-

0
Updated: 1 month ago
১৯৮৯ থেকে ওজনস্তর বিষয়ক মন্ট্রিল প্রটোকল কতবার সংশোধন করা হয়?
Created: 3 weeks ago
A
৫
B
৮
C
৪
D
৭
মন্ট্রিয়াল প্রটোকল সংশোধনী (Amendments)
মন্ট্রিয়াল প্রটোকল ১৯৮৭ সালে কানাডার মন্ট্রিয়াল শহরে গৃহীত হয়। এর মূল লক্ষ্য হলো ওজোনস্তর ক্ষয়কারী পদার্থের (Ozone Depleting Substances) উৎপাদন ও ব্যবহার ধাপে ধাপে কমানো এবং পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তর রক্ষা করা।
পরবর্তীতে হাইড্রোফ্লোরোক্রোবন (HFCs) নিয়ন্ত্রণের জন্যও প্রটোকল সম্প্রসারিত হয়েছে।
প্রটোকলের আওতায় পার্টিরা প্রতি বছর মিলিত হয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, যার মধ্যে রয়েছে প্রটোকল “adjust” বা “amend” করা। এখন পর্যন্ত মোট ছয়টি সংশোধনী/Amendment করা হয়েছে। তবে, কিছু উৎসে কয়েকটি সংশোধনী তালিকাভুক্ত না থাকায় সংখ্যার মধ্যে সামান্য পার্থক্য দেখা যায়।
সংখ্যা ও সংশোধনীর তালিকা (Sources অনুযায়ী):
-
United Nations Environment Programme (UNEP) অনুসারে: প্রটোকল ৬ বার সংশোধন করা হয়েছে, তবে Amendments-এর তালিকায় মাত্র ৫টি উল্লেখ আছে:
-
London (1990)
-
Copenhagen (1992)
-
Montreal (1997)
-
Beijing (1999)
-
Kigali (2016)
(উৎস: UNEP – Montreal Protocol Amendments)
-
-
Australian Government – Department of Agriculture, Water and the Environment অনুযায়ী: ৬টি Amendment-এর তালিকা দেওয়া হয়েছে:
-
London (1990)
-
Copenhagen (1992)
-
Vienna (1995)
-
Montreal (1997)
-
Beijing (1999)
-
Kigali (2016)
(উৎস: Australia Environment)
-
যেহেতু উৎসগুলোর মধ্যে তালিকাভুক্ত সংশোধনীর সংখ্যা ভিন্ন, তাই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় ৫ বা ৬ দুটোই যৌক্তিক হতে পারে। অধিকাংশ পরীক্ষামূলক প্রশ্নে ৫টি Amendmentকে গ্রহণ করা হয়, কারণ তা UNEP-এর অফিসিয়াল Amendments List অনুযায়ী।

0
Updated: 3 weeks ago
নয়া আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার প্রস্তাব জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের কোন বিশেষ অধিবেশন গৃহীত হয়?
Created: 2 months ago
A
দ্বিতীয়
B
তৃতীয়
C
পঞ্চম
D
ষষ্ঠ
নয়া আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা (NIEO): একটি ন্যায্য বৈশ্বিক অর্থনীতির স্বপ্ন
নয়া আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বা New International Economic Order (NIEO) ছিল ১৯৭০-এর দশকে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক ধারণা, যার মূল লক্ষ্য ছিল উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশগুলোর অর্থনৈতিক বৈষম্য কমানো এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতে তাদের জন্য একটি সমতাভিত্তিক অবস্থান নিশ্চিত করা।
NIEO-এর পটভূমি ও উদ্দেশ্য:
১৯৭০-এর দশকে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় উন্নয়নশীল দেশগুলো বৈষম্যের শিকার হচ্ছিল। ধনী এবং শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোর প্রভাবমুক্ত হয়ে এই দেশগুলো তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষার জন্য একটি নতুন কাঠামোর প্রয়োজন অনুভব করে। এর প্রেক্ষিতেই NIEO-এর ধারণা জন্ম নেয়। এর মূল উদ্দেশ্যগুলো ছিল:
-
উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বৈশ্বিক সম্পদ ও প্রযুক্তি বণ্টনে ন্যায্যতা নিশ্চিত করা
-
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে উন্নয়নশীল দেশের পণ্যের প্রবেশাধিকার সহজ করা
-
ঋণ ও সাহায্যের ক্ষেত্রে উন্নততর শর্ত প্রদান
-
আন্তর্জাতিক আর্থিক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর গঠনমূলক সংস্কার সাধন
NIEO-এর আনুষ্ঠানিক গ্রহণ:
-
১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬ষ্ঠ বিশেষ অধিবেশনে NIEO প্রস্তাবটি গৃহীত হয়।
-
এই অধিবেশনের লক্ষ্য ছিল উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনৈতিক সমস্যা নিরসন ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক কাঠামোয় তাদের অবস্থান শক্তিশালী করা।
-
জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো এই প্রস্তাবের মাধ্যমে একটি ন্যায্য, ভারসাম্যপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক কাঠামো গঠনের আহ্বান জানায়।
বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ:
যদিও NIEO একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী উদ্যোগ ছিল, তবুও উন্নত দেশগুলোর প্রতিরোধ, রাজনৈতিক বিরোধ, এবং অর্থনৈতিক আধিপত্য ধরে রাখার প্রবণতার কারণে এটি সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। এর ফলে NIEO বর্তমানে একটি সক্রিয় ব্যবস্থা হিসেবে বিদ্যমান নেই।
বর্তমান প্রাসঙ্গিকতা:
আজকের বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে NIEO-এর ধারণা এবং নীতিমালাগুলো এখনও আলোচনার বিষয়। নৈতিকতা, ন্যায্যতা ও বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের মূলনীতি হিসেবে এটি অনেক আন্তর্জাতিক আলোচনা ও নীতিনির্ধারণে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে।
উপসংহার:
নয়া আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ছিল একটি যুগান্তকারী চিন্তাধারা, যা উন্নয়নশীল বিশ্বের অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে তৈরি হয়েছিল। যদিও এটি বাস্তবে সম্পূর্ণরূপে রূপায়িত হয়নি, তবুও এর মূল আদর্শ ও লক্ষ্যগুলো আজও একটি ন্যায্য ও সমতাভিত্তিক বৈশ্বিক অর্থনৈতিক শৃঙ্খলার পথনির্দেশক হিসেবে বিবেচিত হয়।
তথ্যসূত্র: জাতিসংঘের সরকারি ওয়েবসাইট।

0
Updated: 2 months ago
২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনের পর যৌথ ঘোষণার স্বাক্ষর প্রদানে কোন দেশ বিরত ছিল?
Created: 1 week ago
A
যুক্তরাষ্ট্র
B
ফ্রান্স
C
জার্মানি
D
ইতালি
২০১৮ সালে কানাডার কুইবেক অঙ্গরাজ্যের লা মালাবে অনুষ্ঠিত জি-৭ এর ৪৪তম শীর্ষ সম্মেলনের যৌথ ঘোষণায় যুক্তরাষ্ট্র স্বাক্ষর করতে অনড় ছিল।
জি-৭ (G-7) সংক্রান্ত তথ্য:
-
পূর্ণরূপ: Group of Seven।
-
এটি বিশ্বের শিল্পোন্নত ৭টি দেশের একটি আন্তঃরাষ্ট্রীয় জোট।
-
প্রতিষ্ঠিত: ১৫ নভেম্বর ১৯৭৫, ফ্রান্সের প্রস্তাবিত উদ্যোগে।
-
বর্তমান সদস্য দেশ: যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান ও কানাডা।
-
এদের মধ্যে একমাত্র এশীয় দেশ: জাপান।
-
আগে G-7 এর সদস্য সংখ্যা ৮টি ছিল, কিন্তু ২০১৪ সালে রাশিয়ার সদস্যপদ স্থগিত হওয়ায় বর্তমানে এটি G-7 নামে পরিচিত।
৫০তম জি-৭ শীর্ষ সম্মেলন (২০২৪, ইতালি):
-
আলোচনার প্রধান বিষয়বস্তু ছিল: ইউক্রেনকে সহায়তা, গাজায় যুদ্ধবিরতি, অভিবাসন নীতি, আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), এবং চীনের বাণিজ্য নীতি।
-
এছাড়া আফ্রিকা এবং ভূমধ্যসাগর অঞ্চলের নিরাপত্তা বিষয়ক বিষয়ও আলোচিত হয়েছে।
-
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সহ অন্যান্য দেশগুলোর (জাপান, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, কানাডা, যুক্তরাজ্য) রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানেরা সবুজ প্রযুক্তি ও ন্যায্য ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন।
-
সম্মেলনে রাশিয়ার সামরিক সম্প্রসারণ নীতির প্রতি চীনের সমর্থন বিষয়ক আলোচনা ও হয়েছে।
উৎস: G-7 ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 week ago