QWERTY লেআউট হলো একটি কীবোর্ড বিন্যাস যা মূলত টাইপরাইটার ব্যবহারের জন্য নকশা করা হয়েছিল এবং এটি ১৯শ শতকে তৈরি হয়। বর্তমানে এই লেআউট সারা বিশ্বে কম্পিউটার ও মোবাইল কীবোর্ডে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত। তবে এর অক্ষর বিন্যাস বর্ণানুক্রমে সাজানো নয়; বরং এমনভাবে সাজানো হয়েছে যাতে টাইপ করার সময় যান্ত্রিক টাইপরাইটারের চাবিগুলো একে অপরের সাথে আটকে না যায়। অর্থাৎ, এটি বর্ণানুক্রমিক নয়, বরং ব্যবহারিক সুবিধার কথা বিবেচনা করে সাজানো। তাই প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে “এটি বর্ণানুক্রমে সাজানো” কথাটি সত্য নয়। সঠিক উত্তর হলো ঘ) এটি বর্ণানুক্রমে সাজানো।
নিউমারিক কী:
-
(০–৯) পর্যন্ত সংখ্যা এবং যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ ইত্যাদি চিহ্নযুক্ত কীসমূহকে নিউমেরিক কী বলা হয়।
-
QWERTY কী-বোর্ডে মোট ১৭টি নিউমেরিক কী থাকে, যা সাধারণত ডান পাশে আলাদা ব্লকে অবস্থিত থাকে।
মডিফায়ার কী:
-
Shift, Option, Command, Control, Alt ইত্যাদি কীগুলোকে মডিফায়ার কী (Modifier Key) বলা হয়।
-
এগুলো একা কাজ করে না; বরং অন্যান্য কী-এর সাথে ব্যবহার করে বিশেষ ধরনের কমান্ড বা নির্দেশনা সম্পাদন করে।
নেভিগেশন কী:
-
এই কীগুলোর মাধ্যমে কার্সরকে সরানো, ডকুমেন্টের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত বা পাঠ্য সম্পাদনা করা যায়।
-
উদাহরণ: Arrow keys, Home, End, Delete, Insert, Page Up, Page Down ইত্যাদি।
ফাংশন কী:
-
কীবোর্ডের উপরের সারিতে F1 থেকে F12 পর্যন্ত মোট ১২টি কী থাকে, যেগুলোকে ফাংশন কী বলা হয়।
-
এদের কাজ বিভিন্ন প্রোগ্রামে ভিন্ন হতে পারে।
-
F1 সাধারণত কোনো প্রোগ্রামের Help মেনু চালু করে।
-
F5 ওয়েব ব্রাউজার বা ডকুমেন্ট রিফ্রেশ করতে ব্যবহৃত হয়।
-
Alt + F4 চাপলে সক্রিয় উইন্ডো বন্ধ হয়ে যায়।
-