প্রিন্টারকে আউটপুট ডিভাইস হিসেবে গণ্য করা হয়, কারণ এর প্রধান কাজ হলো কম্পিউটারের প্রক্রিয়াজাত তথ্যকে কাগজে মুদ্রণ করে ব্যবহারকারীর কাছে উপস্থাপন করা। কম্পিউটার যে তথ্য মনিটরে প্রদর্শন করে, সেটিকে স্থায়ীভাবে দৃশ্যমান করার জন্য প্রিন্টার ব্যবহৃত হয়। এটি কোনো তথ্য কম্পিউটারে প্রবেশ করায় না, তাই ইনপুট ডিভাইস নয়। একইভাবে এটি ডেটা সংরক্ষণ করে না, তাই স্টোরেজ ডিভাইসও নয়। তাছাড়া প্রিন্টার কোনো প্রক্রিয়াকরণ কার্য সম্পন্ন করে না, ফলে এটি প্রসেসিং ডিভাইস হিসেবেও বিবেচিত হয় না। সুতরাং প্রিন্টারকে আউটপুট ডিভাইস হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা সঠিক।
পেরিফেরাল ডিভাইস সম্পর্কিত তথ্য:
-
কম্পিউটারের সঙ্গে সংযুক্ত যেসব ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস থাকে, তাদের সম্মিলিতভাবে কম্পিউটার পেরিফেরালস বলা হয়।
-
তথ্য প্রবাহের দিক অনুসারে পেরিফেরাল ডিভাইস সাধারণত তিন ভাগে বিভক্ত—
১. ইনপুট পেরিফেরালস
২. আউটপুট পেরিফেরালস
৩. ইনপুট ও আউটপুট পেরিফেরালস
ইনপুট পেরিফেরালস:
-
যে হার্ডওয়্যার বা ডিভাইস ব্যবহারকারীর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে কম্পিউটারে প্রেরণ করে, সেগুলো ইনপুট পেরিফেরাল নামে পরিচিত।
-
উদাহরণ: কীবোর্ড, মাউস, স্ক্যানার, ওএমআর, জয়স্টিক, ডিজিটাইজার, লাইটপেন, বারকোড রিডার ইত্যাদি।
আউটপুট পেরিফেরালস:
-
কম্পিউটার ইনপুট ডেটা প্রক্রিয়াকরণের পর ফলাফল যে ডিভাইসের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর সামনে উপস্থাপন করে, তাকে আউটপুট পেরিফেরাল বলা হয়।
-
উদাহরণ: মনিটর, প্রিন্টার, প্লটার, স্পিকার, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ইত্যাদি।
ইনপুট ও আউটপুট পেরিফেরালস:
-
কিছু ডিভাইস একসঙ্গে ইনপুট ও আউটপুট উভয় কাজই করতে সক্ষম, এগুলোকে ইনপুট-আউটপুট পেরিফেরাল বলা হয়।
-
উদাহরণ: হার্ডডিস্ক, সিডি/ডিভিডি, পেনড্রাইভ, টাচস্ক্রিন ইত্যাদি।