কোন দেশের মহিলারা সর্বপ্রথম ভোটাধিকার লাভ করে?
A
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
B
নিউজিল্যান্ড
C
বাহামা
D
সুইজারল্যান্ড
উত্তরের বিবরণ
নারীর ভোটাধিকার: এক ঐতিহাসিক অগ্রযাত্রা
বিশ্বে সর্বপ্রথম নারীদের ভোটাধিকার প্রদানের ক্ষেত্রে পথিকৃত ভূমিকা পালন করে নিউজিল্যান্ড। ১৮৯৩ সালে দেশটির নারীরা আইনগতভাবে ভোট প্রয়োগের অধিকার অর্জন করেন, যা ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়।
এরপর একে একে আরও কয়েকটি দেশ নারী ভোটাধিকারের ক্ষেত্রে অগ্রসর হয়:
-
১৯০২ সালে অস্ট্রেলিয়ার নারীরা ভোটাধিকার লাভ করেন।
-
১৯০৬ সালে ফিনল্যান্ড এই অধিকার প্রদান করে তাদের নারীদের।
-
১৯১৫ সালে ডেনমার্কের নারীরা ভোটাধিকার পান।
-
১৯১৮ সালে যুক্তরাজ্যের নারীরা এই অধিকার লাভ করেন।
-
আর ১৯২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নারীরাও ভোটাধিকার অর্জন করেন।
মুসলিম দেশগুলোর ক্ষেত্রে:
-
১৯১৮ সালে কিরগিজস্তানের নারীরা প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার লাভ করেন, যা মুসলিম বিশ্বে এক ঐতিহাসিক ঘটনা।
-
১৯৩০ সালে তুরস্কের নারীরা এবং ১৯৪৯ সালে সিরিয়ার নারীরা (আরব বিশ্বের মধ্যে প্রথম) ভোটাধিকার লাভ করেন।
দক্ষিণ এশিয়ার প্রেক্ষাপটে:
-
পাকিস্তানের নারীরা ১৯৪৭ সালে,
-
ভারতের নারীরা ১৯৫০ সালে এবং
-
বাংলাদেশের নারীরা ১৯৭২ সালে ভোটাধিকার লাভ করেন।
তথ্যসূত্র: নিউজিল্যান্ডের Ministry for Women-এর ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 month ago
কে লৌহমানবী বলে পরিচিত?
Created: 1 month ago
A
ইন্দিরা গান্ধী
B
বেগম খালেদা জিয়া
C
আংসান সুকী
D
মার্গারেট থ্যাচার
মার্গারেট থ্যাচার: 'আয়রন লেডি' হিসেবে পরিচিত এক নেত্রী
মার্গারেট থ্যাচার ছিলেন যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইতিহাস গড়েন এবং ১৯৭৯ সালের মে মাসে নির্বাচনের মাধ্যমে পশ্চিম ইউরোপে প্রথম কোনো নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
থ্যাচার ছিলেন একমাত্র ব্রিটিশ নেতা যিনি ১৯০০-এর দশকে পরপর তিনবার সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হন। তাঁর নেতৃত্বে তিনি ১৯৭৯ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত টানা ১১ বছর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ করেন।
তাঁর কঠোর নীতিমালা ও দৃঢ় নেতৃত্বগুণের জন্য তিনি "আয়রন লেডি" বা "লৌহমানবী" নামে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পান।
যদিও তিনি ছিলেন বিংশ শতকের দীর্ঘতম সময় ক্ষমতায় থাকা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, শেষদিকে নিজ দল কনজারভেটিভ পার্টির ভেতর থেকে আসা চাপের মুখে তাকে পদত্যাগ করতে হয়।
অবসর গ্রহণের পর তিনি "থ্যাচার ফাউন্ডেশন" প্রতিষ্ঠা করেন, যার মূল লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্রের বিস্তার ও প্রচার।
তথ্যসূত্র: Britannica

0
Updated: 1 month ago
নিউজিল্যান্ডের আদিবাসীদের কি বলা হয়?
Created: 1 month ago
A
কুর্দি
B
তাতার
C
রেড ইন্ডিয়ান
D
মাউরি
মাউরি
নিউজিল্যান্ডের প্রাচীন ও মূল অধিবাসীদের মাউরি নামে অভিহিত করা হয়। এরা সেখানকার আদিবাসী জাতিগোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত।
অন্যান্য জাতিগোষ্ঠী:
-
কুর্দি: পশ্চিম এশিয়ার পার্বত্য অঞ্চল, বিশেষ করে কুর্দিস্তানে বসবাসকারী একটি ইরানি জাতিগোষ্ঠী। কুর্দিরা মূলত দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্ক, উত্তর ইরাক, উত্তর-পশ্চিম ইরান ও উত্তর সিরিয়ার কিছু অংশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
-
জুলু: আফ্রিকার দক্ষিণ অংশে বসবাসকারী অন্যতম বৃহৎ জাতিগোষ্ঠী হলো জুলু। এই উপজাতি দক্ষিণ আফ্রিকার সাংস্কৃতিক ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
তাতার: তাতাররা একটি তুর্কিভাষী জাতিগোষ্ঠী, যারা ইউরোপ এবং এশিয়া জুড়ে বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাস করে থাকে। ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে এদের রয়েছে গভীর প্রভাব।
-
রেড ইন্ডিয়ান: উত্তর আমেরিকার আদি অধিবাসীদের সাধারণভাবে রেড ইন্ডিয়ান নামে চিহ্নিত করা হয়, যদিও এটি এখন অনেক ক্ষেত্রেই বর্ণনা করার আধুনিক ও গ্রহণযোগ্য উপায় নয়। মূলত এরা বিভিন্ন আদিবাসী গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত।
-
আফ্রিদি: আফ্রিদি হলো পাশতুন জাতিগোষ্ঠীর অন্তর্গত একটি উপগোষ্ঠী। এদের প্রধান আবাসস্থল পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী অঞ্চল হলেও কিছু আফ্রিদি আফগানিস্তানেও বসবাস করে।
তথ্যসূত্র: Britannica

0
Updated: 1 month ago
প্রথম ক্লোন শিশু 'ইভ'-এর জন্ম তারিখ কত?
Created: 1 month ago
A
নভেম্বর ২০, ২০০২
B
ডিসেম্বর ২৬, ২০০২
C
জানুয়ারি ৭, ২০০৩
D
মার্চ ২৩, ২০০৩
বিশ্বের প্রথম ক্লোন মানব শিশু: ‘ইভ’
সম্পূর্ণ অযৌন প্রক্রিয়ায় এক জীব থেকে অন্য জীবের হুবহু অনুরূপ জীব তৈরি করার পদ্ধতিকে বলা হয় ক্লোনিং।
এই ক্লোনিং পদ্ধতির ইতিহাসে এক অনন্য মাইলফলক তৈরি হয় ২০০২ সালের ২৬ ডিসেম্বর, যখন বিশ্বের প্রথম ক্লোন মানব শিশু জন্মগ্রহণ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।
এই শিশুটির নাম রাখা হয় ‘ইভ’। সে ছিল একটি কন্যাশিশু। ‘ইভ’-এর জন্মের মাধ্যমে মানব ক্লোনিং নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনার ঝড় উঠে। এই যুগান্তকারী ক্লোনিং প্রক্রিয়াটি সফলভাবে সম্পন্ন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানব গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্লোনেইড (Clonaid)।
এই ক্লোন মানব শিশুর জন্মে গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব দেন ক্লোনেইডের প্রধান বিজ্ঞানী ব্রিজিট বোইসেলিয়া। তাঁর দিকনির্দেশনায় ও তত্ত্বাবধানে এই ঐতিহাসিক সাফল্য অর্জিত হয়।
তথ্যসূত্র: The Guardian, ২৭ ডিসেম্বর ২০০২

0
Updated: 1 month ago