সুশাসনের মূলভিত্তি-
A
গণতন্ত্র
B
আমলাতন্ত্র
C
আইনের শাসন
D
মূল্যবোধ
উত্তরের বিবরণ
সুশাসন বা good governance হলো একটি শাসনব্যবস্থা যা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এটি শুধুমাত্র আইন মেনে চলা নয়, বরং জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়।
-
সুশাসনের ধারণা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সঙ্গে মিলিত।
-
সুশাসনের মূল ভিত্তি হলো আইনের শাসন (rule of law)।
-
কার্যকর জনগণের অংশগ্রহণ সুশাসনের অন্যতম মূল বিষয়।
-
শাসন প্রক্রিয়ায় জনগণের অংশগ্রহণ শুধুমাত্র গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সম্ভব।
-
এছাড়া স্বচ্ছতা (transparency), জবাবদিহিতা (accountability) প্রভৃতি মূল্যবোধও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।

0
Updated: 13 hours ago
সুশাসন প্রত্যয়টির উদ্ভাবক কে?
Created: 15 hours ago
A
ইউরোপীয় ইউনিয়ন
B
আই, এল, ও
C
বিশ্বব্যাংক
D
জাতিসংঘ
সুশাসন (Good Governance) বলতে এমন একটি শাসনব্যবস্থাকে বোঝানো হয় যা কার্যকরী, দক্ষ ও নির্ভুল। এটি সম্প্রতি পৌরনীতিতে সংযোজিত একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা এবং ইংরেজিতে এর প্রতিশব্দ ‘Good Governance’।
সুশাসনের ধারণাটি বহুমাত্রিক এবং এর মূল লক্ষ্য হলো দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক সম্পদ যথাযথভাবে ব্যবস্থাপনা করে উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
-
সুশাসনের উদ্ভাবক হল বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংক প্রথমবার ১৯৮৯ সালে এই প্রত্যয়টি ব্যবহার করে।
-
বিশ্বব্যাংকের সংজ্ঞা অনুযায়ী, “সুশাসন হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক সম্পদ ব্যবস্থাপনার জন্য ক্ষমতা প্রয়োগ করা হয়”।
-
১৯৯২ সালে প্রকাশিত ‘Governance and Development’ রিপোর্টে (শাসন প্রক্রিয়া ও উন্নয়ন) সুশাসনের ধারণা আরও স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা হয়।
-
বিশ্বব্যাংকের মতে, অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে উন্নয়নহীনতার মূল কারণ হলো সুশাসনের অভাব।
-
২০০০ সালে বিশ্বব্যাংক সুশাসনের চারটি স্তম্ভ ঘোষণা করে:
(i) দায়িত্বশীলতা (Accountability)
(ii) স্বচ্ছতা (Transparency)
(iii) আইনী কাঠামো (Rule of Law)
(iv) অংশগ্রহণ (Participation) -
এক কথায়, জনগণ, রাষ্ট্র ও প্রশাসনের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও সমন্বয়ই হলো সুশাসন।
-
UNDP এই ধারণাটিকে আরও সমৃদ্ধ করেছে এবং সুশাসনের গুরুত্ব বিশ্বব্যাপী প্রচার করেছে.

0
Updated: 15 hours ago
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে সুশাসনের কোন দিকটির উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে?
Created: 13 hours ago
A
সামাজিক দিক
B
অর্থনৈতিক দিক
C
মূল্যবোধের দিক
D
গণতান্ত্রিক দিক
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (MDG) হল Millennium Development Goals, যা মূলত বিশ্বব্যাপী চরম দারিদ্র্য ও অন্যান্য সামাজিক সমস্যা দূর করার উদ্দেশ্যে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে নির্ধারিত লক্ষ্যসমূহ। এই লক্ষ্যগুলো প্রধানত তৃতীয় বিশ্বের জনগণের জীবনমান উন্নয়নের জন্য তৈরি করা হয়েছে।
-
২০০০ সালের ৬-৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সহস্রাব্দ উন্নয়ন সম্মেলন (UN Millennium Summit) অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ৮টি লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য ১৫ বছরের সময়সীমা ঠিক করা হয়।
-
লক্ষ্যগুলো মূলত সমাজের সুশাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, লিঙ্গ সমতা এবং পরিবেশগত স্থায়িত্ব নিশ্চিত করার উপর কেন্দ্রিত।
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (MDG) সমূহ:
-
চরম দারিদ্র্য ও ক্ষুধা নির্মূল করা।
-
সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা।
-
লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিতকরণ শিক্ষার মাধ্যমে।
-
শিশু মৃত্যুহার হ্রাস করা।
-
মাতৃস্বাস্থ্যের উন্নয়ন।
-
এইচআইভি/এইডস, ম্যালেরিয়া এবং অন্যান্য মারাত্মক রোগ প্রতিরোধ করা।
-
পরিবেশগত স্থায়িত্ব নিশ্চিত করা।
-
উন্নয়নের জন্য একটি গ্লোবাল পার্টনারশিপ বা বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা।
এছাড়া, MDG অর্জনে সুশাসনের সামাজিক দিক এবং ন্যায়পরায়ণতা নিশ্চিত করা বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

0
Updated: 13 hours ago