মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোন প্রেসিডেন্ট ১২ বছর ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিলেন?
A
হ্যারি এস ট্রুম্যান
B
ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট
C
জেমস মনরো
D
তথ্যটি সঠিক নয়
উত্তরের বিবরণ
ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩২তম প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট ছিলেন এক অনন্য নেতা, যিনি ১৯৩৩ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত মোট ১২ বছর ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি ইতিহাসের একমাত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনি চারবার প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হন। রুজভেল্টের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্র দুটি বিশাল সংকটের মুখোমুখি হয়েছিল—গ্রেট ডিপ্রেশন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ—যে সময়ে তিনি দেশকে নেতৃত্ব দেন।
তার প্রশাসনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ ছিল ‘নিউ ডিল’ নীতি, যা ১৯৩৩ থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়। এই কর্মসূচির মাধ্যমে তিনি আমেরিকার অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এছাড়াও, ৭ ডিসেম্বর ১৯৪১ সালে জাপানের পার্ল হারবারে হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ শুরু করে।
রুজভেল্ট ছিলেন ‘সৎ প্রতিবেশি নীতি’র প্রবক্তা, যা ১৯৩০-৪০ এর দশকে লাতিন আমেরিকার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ক্ষেত্রে পূর্বের হস্তক্ষেপমূলক নীতির পরিবর্তে গ্রহণ করা হয়। তার এই নীতি অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা ও বন্ধুত্বের ওপর গুরুত্ব দেয়।
১৯৪২ সালের ১ জানুয়ারি ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে রুজভেল্ট প্রথমবারের মতো ‘জাতিসংঘ (United Nations)’ শব্দটি ব্যবহারের মাধ্যমে একটি নতুন বিশ্ব সংস্থার ধারণা উপস্থাপন করেন।
উৎস: Britannica

0
Updated: 1 month ago
ইরান-ইরাক যুদ্ধবিরতির তদারকির কাজে নিয়ােজিত জাতিসংঘের বাহিনী কোন নামে পরিচিত ছিল?
Created: 1 day ago
A
UNIMOG
B
UNIIMOG
C
UNGOMAP
D
UNICEF
UNIIMOG শব্দটির পূর্ণরূপ হলো United Nations Iran-Iraq Military Observer Group। এটি জাতিসংঘ কর্তৃক গঠিত একটি সামরিক পর্যবেক্ষক দল, যা ১৯৮৮ সালে ইরাক-ইরান যুদ্ধ বন্ধে শান্তি পর্যবেক্ষণের জন্য প্রেরণ করা হয়।
তথ্যসমূহ হলো
-
UNIIMOG হলো জাতিসংঘ ইরাক-ইরান সামরিক পর্যবেক্ষক গ্রুপ।
-
১৯৮৮ সালে জাতিসংঘ এই গ্রুপকে প্রেরণ করে যুদ্ধবিরতি কার্যকর ও শান্তি বজায় রাখার জন্য।
-
বাংলাদেশ সর্বপ্রথম ১৯৮৮ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সৈন্য প্রেরণ করে।
-
ওই বছর বাংলাদেশ দুটি মিশনে অংশ নেয়—একটি ইরাক-ইরান (UNIIMOG) এবং অন্যটি নামিবিয়া (UNTAG)।
-
বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ১৯৮৮ সালে UNIIMOG মিশনে ১৫ জন সদস্য পাঠায় এবং আনুষ্ঠানিকভাবে শান্তিরক্ষা কার্যক্রম শুরু করে।

0
Updated: 1 day ago
মাদার তেরেসা কোন দেশে জন্মগ্রহণ করেন?
Created: 3 weeks ago
A
ভারত
B
আলজেরিয়া
C
আলবেনিয়া
D
ফ্রান্স
মাদার তেরেসা
-
মাদার তেরেসার আসল নাম অ্যাগনেস গন্কজা বোজাহিউ (Agnes Gonxha Bojaxhiu)।
-
তিনি একজন আলবেনীয় বংশোদ্ভুত ভারতীয় ক্যাথলিক সন্ন্যাসিনী ও ধর্মপ্রচারক।
-
জন্ম: ২৭ আগস্ট ১৯১০, আলবেনিয়ার স্কপিয়ে শহরে (বর্তমানে উত্তর মেসিডোনিয়ার অংশ)।
-
১৯২৮ সালে তিনি কলকাতায় আসেন।
-
কলকাতায় তিনি অর্ডার স্কুলে ১৭ বছর শিক্ষকতা করেছেন।
-
মৃত্যু: ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭।
পুরস্কার ও স্বীকৃতি:
-
১৯৬২: পদ্মশ্রী
-
১৯৭১: পোপ জন শান্তি পুরস্কার
-
১৯৭২: জওহরলাল নেহরু পুরস্কার
-
১৯৭৯: নোবেল শান্তি পুরস্কার (দুঃস্থ মানুষের সেবায় অবদান)
-
১৯৮০: ভাররত্ন
উৎস: Britannica

0
Updated: 3 weeks ago
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পূর্ব-পশ্চিম দ্বন্দ্বের ফলে সৃষ্ট পূর্বের অর্থনৈতিক জোটটির নাম ছিল-
Created: 3 weeks ago
A
কমিন্টার্ন
B
কমিনফর্ম
C
কমেকন
D
কোনোটিই নয়
COMECON (কোমেকন)
-
COMECON এর পূর্ণরূপ হলো Council for Mutual Economic Assistance।
-
এটি সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং তার সহযোগী পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সমন্বয় ঘটানোর উদ্দেশ্যে ১৯৪৯ সালের জানুয়ারিতে প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
প্রতিষ্ঠাতা দেশগুলো ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং পোল্যান্ড।
-
পরে এতে পূর্ব জার্মানি, আলবেনিয়া, উত্তর কোরিয়া, উত্তর ভিয়েতনাম সদস্য হিসেবে যোগ দেয়।
-
COMECON কার্যকর ছিল ১৯৪৯ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত।
উৎস: Encyclopaedia Britannica

0
Updated: 3 weeks ago