ভালো-মন্দ কোন ধরনের মূল্যবোধ?
A
সামাজিক
B
রাজনৈতিক
C
অর্থনৈতিক
D
নৈতিক
উত্তরের বিবরণ
মূল্যবোধ হলো মানুষের কর্মকান্ডের ভালো-মন্দ বিচার করার মূল ভিত্তি, যা নীতি ও নৈতিকতার উপর নির্ভর করে। এটি কেবল ব্যক্তিগত আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে না, বরং সামাজিক আচরণ, সংস্কৃতি চর্চা এবং সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠে।
মূল্যবোধ একজন মানুষের নীতি-নৈতিকতা, বিবেক এবং সামাজিক পরিবেশের সঙ্গে সম্পর্কিত।
-
মানবিক গুণাবলী: মূল্যবোধ মানুষের আচার-ব্যবহার, ধ্যান-ধারণা, চাল-চলন ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করার একটি মাপকাঠি হিসেবে কাজ করে।
-
নৈতিক প্রাধান্য: এটি নৈতিকতার উপর নির্ভরশীল। নীতি-নৈতিকতাহীন ব্যক্তি সাধারণত মূল্যবোধসম্পন্ন হয় না।
-
নির্দিষ্টতা: কিছু মূল্যবোধ নির্দিষ্ট ব্যক্তির প্রতি থাকে, যেমন মায়ের প্রতি সম্মান। আবার কিছু মূল্যবোধ সাধারণ হতে পারে, যেমন প্রতিবেশীকে ভালোবাসা।
-
বিভিন্নতা: সংস্কৃতি অনুযায়ী মূল্যবোধের ধরণ ভিন্ন হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, খাদ্যাভ্যাস ও পোশাক থেকে শুরু করে পশ্চিমা ও বাঙালি সংস্কৃতির মধ্যে পার্থক্য দেখা যায়।
-
আপেক্ষিকতা: মূল্যবোধ স্থান, কাল ও পরিবেশ অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে। একই মূল্যবোধ বিভিন্ন দেশে বা সমাজে ভিন্ন রূপ নিতে পারে।
-
সামাজিক মানদণ্ড: সমাজের বিদ্যমান মূল্যবোধ দ্বারা সেই সমাজের পরিবেশ, সংস্কৃতি ও চিন্তাভাবনার মূল্যায়ন করা যায়। উদাহরণস্বরূপ, কৃষিপ্রধান সমাজের মূল্যবোধ শিল্পসমৃদ্ধ সমাজের চেয়ে আলাদা।
-
পরিবর্তনশীলতা: দীর্ঘদিন ভিন্ন সংস্কৃতিতে থাকা ব্যক্তির মূল্যবোধে পরিবর্তন আসতে পারে। যেমন, একজন বাঙালি পশ্চিমা সংস্কৃতিতে দীর্ঘ সময় থাকলে তার আচরণ ও চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন ঘটে।
-
সম্পর্কের সেতু: একই মূল্যবোধের মানুষ একে অপরের সঙ্গে সহজেই আত্মিক সম্পর্ক তৈরি করতে পারে। যেমন, লন্ডনে দুই বাংলাদেশি নাগরিক একে অপরকে সহজে বন্ধু হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারে।
মূল্যবোধ হলো ভালো-মন্দ বিচার করার নৈতিক মানদণ্ড, যা ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

0
Updated: 15 hours ago
মূল্যবোধের উৎস কোনটি?
Created: 13 hours ago
A
ধর্ম
B
সমাজ
C
নৈতিক চেতনা
D
রাষ্ট্র
মূল্যবোধ হলো মানুষের আচরণ ও জীবন পরিচালনার জন্য নির্ধারিত নীতি, মানদন্ড এবং নৈতিক ভিত্তি। এটি মানুষকে সঠিক ও ভুলের মধ্যে পার্থক্য করতে শেখায় এবং সামাজিক জীবনে সুন্দরভাবে পরিচালিত হতে সহায়তা করে।
• মূল্যবোধের সংজ্ঞা: মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী নীতি ও মানদন্ড।
• মূল্যবোধের উৎস: প্রধান ও প্রাথমিক উৎস হলো পরিবার। শিশু তার পরিবার থেকেই প্রথম নৈতিক মূল্যবোধ শেখে।
• প্রকাশের ধরন: ব্যক্তির আচার-আচরণের মধ্য দিয়েই তার মূল্যবোধের বহিঃপ্রকাশ ঘটে।
• মানবিক গুণাবলী হিসেবে মূল্যবোধ: এটি একজন মানুষের নীতি-নৈতিকতা ও বিবেকের উপর নির্ভরশীল এবং সামাজিক আচার-ব্যবহার, সংস্কৃতি চর্চা ও পরিবেশে বসবাসের মাধ্যমে গড়ে ওঠে।
• নৈতিকতার গুরুত্ব: মূল্যবোধের ক্ষেত্রে নৈতিকতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নৈতিকতার শিক্ষা একজন মানুষের মূল্যবোধকে জাগ্রত করে।
• নৈতিকতা ও বিবেক: নৈতিকতা বিবেক ও মূল্যবোধ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। বিবেকের প্রভাব নৈতিকতার রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে।
অন্যদিকে, নৈতিকতা (Morality) ইংরেজি শব্দটি ল্যাটিন শব্দ Moralitas থেকে এসেছে, যার অর্থ সঠিক আচরণ বা চরিত্র। জোনাথান হেইট (Jonathan Haidt) মনে করেন, "ধর্ম, ঐতিহ্য এবং মানব আচরণ—তিনটির মধ্যেই নৈতিকতার উৎস নিহিত।"
• নৈতিকতার উৎস: ধর্ম, ঐতিহ্য এবং মানব আচরণ।
• মূল্যবোধের উৎস: মানুষের নীতি, ঔচিত্যবোধ, ভালো-মন্দের বিবেচনা এবং নৈতিক চেতনাই মূল উৎস।

0
Updated: 13 hours ago
সুশাসনের পূর্বশর্ত কী?
Created: 15 hours ago
A
নিরপেক্ষ আইন ব্যবস্থা
B
নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা
C
প্রশাসনের নিরপেক্ষতা
D
মত প্রকাশের স্বাধীনতা
সুশাসনের প্রতিষ্ঠা যেকোন দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং এটি কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের জন্য কিছু নির্দিষ্ট পূর্বশর্ত পূরণ করতে হয়। এই পূর্বশর্তগুলো নিশ্চিত করলে একটি দেশের সরকার ব্যবস্থা দৃঢ়, জনবান্ধব এবং স্বচ্ছ হতে পারে।
-
Rule of Law (আইনের শাসন): আইন সকলের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হতে হবে।
-
Transparency (স্বচ্ছতা): প্রশাসন ও সরকারি কার্যক্রমে স্বচ্ছতা থাকা জরুরি।
-
Accountability (জবাবদিহিতা): কর্মকর্তা ও সরকারকে তাদের কাজের জন্য দায়ী হতে হবে।
-
Acceptability (গ্রহণযোগ্যতা): সরকার ও নীতি জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে।
-
Corruption-free and Public-friendly Administration (দুর্নীতিমুক্ত ও জনবান্ধব প্রশাসন): প্রশাসন দুর্নীতিমুক্ত এবং জনগণের কল্যাণমুখী হতে হবে।
-
Participatory Governance (অংশগ্রহণমূলক সরকার ব্যবস্থা): নীতি নির্ধারণে জনগণকে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকা জরুরি।
-
Freedom of Expression or Free Media (মত প্রকাশের স্বাধীনতা বা স্বাধীন প্রচারমাধ্যম): জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের মত প্রকাশ করতে পারবে।
-
Responsibility (দায়বদ্ধতা): প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতা সমাজের প্রতি দায়িত্বশীল হতে হবে।
-
Decentralization of Power (ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ): ক্ষমতা শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে না রেখে বিভিন্ন স্তরে বিতরণ করা।
-
Protection of Political Freedom (রাজনৈতিক স্বাধীনতার সুরক্ষা): রাজনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
-
Openness to Participation (অংশগ্রহণের সুযোগ উন্মুক্ততা): সকল নাগরিক নীতি নির্ধারণে অংশগ্রহণ করতে পারবে।
-
Freedom of Speech (বাকস্বাধীনতা বা মত প্রকাশের স্বাধীনতা): জনগণের মত প্রকাশে বাধা থাকা যাবে না।
-
Independence of Judiciary (বিচার বিভাগের স্বাধীনতা): বিচার ব্যবস্থা স্বতন্ত্র ও নিরপেক্ষ হতে হবে।
-
Legitimacy (বৈধতা): সরকার ও প্রশাসনের কর্মকাণ্ড বৈধ ও নৈতিক হতে হবে।

0
Updated: 15 hours ago