A
রিচার্ড এম নিক্সন
B
জন এফ কেনেডি
C
লিন্ডন বেইনস জনসন
D
হ্যারি এস ট্রুম্যান
উত্তরের বিবরণ
কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকট
কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকতিটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে ঘটে যাওয়া একটি গম্ভীর ৩৫ দিনের সংঘর্ষ, যা বিশ্বব্যাপী একটি বড় রাজনৈতিক সংকটের রূপ নেয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা ও সামরিক শক্তি বিস্তারের দৌড়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে।
সেই সময়ের অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে কিউবায় সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শের প্রভাব ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়।
১৯৬২ সালের অক্টোবর মাসে এই সংকট বিশেষ মাত্রা লাভ করে। যুক্তরাষ্ট্র তাদের আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ইতালি ও তুরস্কে স্থাপনের জবাবে, সোভিয়েত ইউনিয়ন কিউবায় ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করে।
ফ্লোরিডার উপকূল থেকে মাত্র ৯০ মাইল দূরে এই রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় ধরনের হুমকি হিসেবে দেখা দেয়।
এই পরিস্থিতিতে, ১৯৬২ সালের ২২ অক্টোবর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি কিউবার প্রতি নৌ অবরোধ ঘোষণা করেন, যা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তোলে। এই সংকটের ফলে ল্যাটিন আমেরিকার সমগ্র অঞ্চল যুদ্ধের উত্তেজনায় ধরা দেয় এবং বিশ্ব রাজনীতিতে একটি গুরুতর সংকট তৈরি হয়।
কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকট হিসেবে পরিচিত এই ঘটনা শীতল যুদ্ধের উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলে এবং পারমাণবিক সংঘাতের সম্ভাবনাকে প্রায় বাস্তব আকার দেয়।
উৎস: Britannica.

0
Updated: 1 week ago
কোন পরিষদের সুপারিশক্রমে জাতিসংঘে নতুন সদস্য গ্রহণ করা হয়?
Created: 1 week ago
A
অছি পরিষদ
B
সাধারণ পরিষদ
C
নিরাপত্তা পরিষদ
D
অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ
জাতিসংঘের ছয়টি প্রধান অঙ্গসংস্থা
জাতিসংঘের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এর ছয়টি প্রধান অঙ্গসংস্থা রয়েছে। এরা হলো:
-
সাধারণ পরিষদ (General Assembly)
-
নিরাপত্তা পরিষদ (Security Council)
-
অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ (Economic and Social Council)
-
আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (International Court of Justice)
-
অছি পরিষদ (Trusteeship Council)
-
জাতিসংঘ সচিবালয় (Secretariat)
নিরাপত্তা পরিষদ (UN Security Council)
-
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ মোট ১৫ সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত।
-
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিজয়ী পাঁচটি পরাশক্তি এই পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে রয়েছে।
-
এই পাঁচটি দেশ হচ্ছে: চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র।
-
একত্রে এদের ‘পি-৫ (P-5)’ নামে ডাকা হয়।
-
নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশের ভিত্তিতেই সাধারণ পরিষদ নতুন সদস্য রাষ্ট্রকে জাতিসংঘে অন্তর্ভুক্ত করে।
-
মহাসচিব নিয়োগ এবং আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের বিচারক নির্বাচনের ক্ষেত্রেও নিরাপত্তা পরিষদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
মহাসচিব নির্বাচন হয় নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশে এবং সাধারণ পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোটে।
-
জাতিসংঘ সনদের ২৩ নম্বর অনুচ্ছেদে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের সম্পর্কে বিশদভাবে উল্লেখ রয়েছে।
অস্থায়ী সদস্য
-
নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যরা নির্বাচিত হন দুই বছরের মেয়াদে।
-
বর্তমানে পরিষদের দশটি অস্থায়ী সদস্য দেশ হলো:
-
২০২৪ সালের মেয়াদে: ইকুয়েডর, জাপান, মাল্টা, মোজাম্বিক, সুইজারল্যান্ড।
-
২০২৫ সালের মেয়াদে: আলজেরিয়া, গায়ানা, দক্ষিণ কোরিয়া, সিয়েরা লিওন, স্লোভেনিয়া।
উৎস: UN Security Council (আধিকারিক ওয়েবসাইট)
-

0
Updated: 1 week ago
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোন প্রেসিডেন্ট ১২ বছর ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিলেন?
Created: 1 week ago
A
হ্যারি এস ট্রুম্যান
B
ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট
C
জেমস মনরো
D
তথ্যটি সঠিক নয়
ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩২তম প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট ছিলেন এক অনন্য নেতা, যিনি ১৯৩৩ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত মোট ১২ বছর ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি ইতিহাসের একমাত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনি চারবার প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হন। রুজভেল্টের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্র দুটি বিশাল সংকটের মুখোমুখি হয়েছিল—গ্রেট ডিপ্রেশন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ—যে সময়ে তিনি দেশকে নেতৃত্ব দেন।
তার প্রশাসনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ ছিল ‘নিউ ডিল’ নীতি, যা ১৯৩৩ থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়। এই কর্মসূচির মাধ্যমে তিনি আমেরিকার অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এছাড়াও, ৭ ডিসেম্বর ১৯৪১ সালে জাপানের পার্ল হারবারে হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ শুরু করে।
রুজভেল্ট ছিলেন ‘সৎ প্রতিবেশি নীতি’র প্রবক্তা, যা ১৯৩০-৪০ এর দশকে লাতিন আমেরিকার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ক্ষেত্রে পূর্বের হস্তক্ষেপমূলক নীতির পরিবর্তে গ্রহণ করা হয়। তার এই নীতি অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা ও বন্ধুত্বের ওপর গুরুত্ব দেয়।
১৯৪২ সালের ১ জানুয়ারি ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে রুজভেল্ট প্রথমবারের মতো ‘জাতিসংঘ (United Nations)’ শব্দটি ব্যবহারের মাধ্যমে একটি নতুন বিশ্ব সংস্থার ধারণা উপস্থাপন করেন।
উৎস: Britannica

0
Updated: 1 week ago
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত?
Created: 5 days ago
A
লন্ডন
B
ব্রাসেলস
C
বন
D
প্যারিস
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU)
-
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা EU হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক জোট।
-
এটি গঠিত হয়েছে ১ নভেম্বর, ১৯৯৩ সালে।
-
এর প্রধান কার্যালয় বেলজিয়ামের ব্রাসেলস শহরে।
-
শুরুতে এই জোটে ছিল ৬টি দেশ।
-
বর্তমানে EU-ভুক্ত দেশের সংখ্যা ২৭টি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলো হলো
অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, সাইপ্রাস, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রীস, হাঙ্গেরি, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন এবং সুইডেন।
আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
-
EU-এর একক মুদ্রার নাম ইউরো।
-
ইউরো মুদ্রার ধারণা দিয়েছিলেন অর্থনীতিবিদ রবার্ট মুন্ডেল।
-
ইউরো চালু হয় ১ জানুয়ারি, ১৯৯৯ সালে।
-
EU দেশগুলোর সীমান্ত রক্ষার জন্য একটি বাহিনী রয়েছে, যার নাম FRONTEX।
তথ্যসূত্র: ইউরোপীয় ইউনিয়নের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

0
Updated: 5 days ago