বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস কত সালে প্রকাশিত হয়?
A
১৮৬১ সালে
B
১৮৬২ সালে
C
১৮৬৪ সালে
D
১৮৬৫ সালে
উত্তরের বিবরণ
দুর্গেশনন্দিনী বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচিত প্রথম বাংলা উপন্যাস এবং এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস হিসেবে পরিচিত।
-
উপন্যাসের প্রকাশকাল ও অর্থ: ১৮৬৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত; ‘দুর্গেশনন্দিনী’ শব্দের অর্থ প্রধানের কন্যা।
-
কেন্দ্রীয় চরিত্র: তিলোত্তমা।
-
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চরিত্র: বীরেন্দ্র সিংহ, ওসমান, জগৎসিংহ, আয়েশা, বিমলা।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পরিচয় ও সাহিত্যিক অবদান:
-
জন্ম: ১৮৩৮, চব্বিশ পরগনা জেলার কাঁঠালপাড়া গ্রামে।
-
বাংলা উপন্যাসের জনক হিসেবে পরিচিত; ঔপন্যাসিক ও সাংবাদিক।
-
প্রথম উপন্যাস: ‘রাজমোহনস ওয়াইফ’ (ইংরেজিতে লেখা)।
-
বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস: ‘দুর্গেশনন্দিনী’ (১৮৬৫)।
-
প্রথম কাব্যগ্রন্থ: ‘ললিতা তথা মানস’ (১৮৫৬)।
-
উল্লেখযোগ্য ত্রয়ী উপন্যাস: আনন্দমঠ, দেবী চৌধুরানী, সীতারাম।
অন্যান্য রচিত উপন্যাস:
-
কপালকুণ্ডলা
-
মৃণালিনী
-
বিষবৃক্ষ
-
ইন্দিরা
-
যুগলাঙ্গুরীয়
-
চন্দ্রশেখর
-
রাধারানী
-
রজনী
-
কৃষ্ণকান্তের উইল
-
রাজসিংহ

0
Updated: 15 hours ago
'ইতিহাসমালা ও কথোপকথন' - নামে দুটি মৌলিক গ্রন্থ রচনা করেন কে?
Created: 1 week ago
A
রামমোহন রায়
B
উইলিয়াম কেরি
C
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
D
চণ্ডীচরণ মুন্শী
উইলিয়াম কেরি একজন ইংরেজ মিশনারি, যিনি বাংলা গদ্যের বিকাশে বিশেষ অবদান রেখেছেন।
উল্লেখযোগ্য তথ্যসমূহ—
-
তিনি ইতিহাসমালা এবং কথোপকথন নামে দুটি মৌলিক গ্রন্থ রচনা করেন।
-
ইতিহাসমালা বাংলা ভাষার প্রথম গল্পসংগ্রহ হিসেবে পরিচিত।
-
১৮১০ সালে দরিদ্র কৃষকদের জন্য কলকাতায় বোর্ডিং স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।
উৎস:

0
Updated: 1 week ago
নিচের কোনটি কাজী নজরুল ইসলামের রাজনৈতিক উপন্যাস?
Created: 1 week ago
A
বাঁধান-হারা
B
মৃত্যুক্ষুধা
C
রিক্তের বেদন
D
কুহেলিকা
কুহেলিকা একটি রাজনৈতিক উপন্যাস। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৩৩৪ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে কলকাতা থেকে প্রকাশিত মাসিক নওরোজ পত্রিকায়। পরে, ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দে উপন্যাসটি প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
-
কাজী নজরুল ইসলাম:
-
২৪ মে ১৮৯৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
-
ডাক নাম ছিল 'দুখু মিয়া'।
-
বাংলা সাহিত্যে তিনি 'বিদ্রোহী কবি' নামে পরিচিত।
-
আধুনিক বাংলা গানের জগতে 'বুলবুল' নামে খ্যাত।
-
কবি ও শিল্পী জীবনের শুরু এ লেটোদল থেকেই।
-
সাহিত্যকর্ম এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি অবিভক্ত বাংলায় পরাধীনতা, সাম্প্রদায়িকতা, সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদ, মৌলবাদ এবং দেশি-বিদেশি শোষণের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেন।
-
তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবি।
-
২৯ আগস্ট ১৯৭৬ সালে মৃত্যু বরণ করেন।
-
-
কাজী নজরুল ইসলাম রচিত অন্যান্য উপন্যাস:
-
বাঁধন হারা
-
মৃত্যু-ক্ষুধা
-

0
Updated: 1 week ago
'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্যের শেষ পরিণতি কী?
Created: 1 day ago
A
রাধাকে পরিত্যাগ করে কৃষ্ণের মধুরায় গমন
B
রাধা কৃষ্ণের মিলন
C
রাধার আত্মহত্যা
D
রাধা কৃষ্ণের একসাথে মধুরায় গমন
‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের প্রথম কাব্য হিসেবে স্বীকৃত এবং এটি বাংলা ভাষায় কোনো লেখকের প্রথম এককগ্রন্থ। এগ্রন্থের রচয়িতা ছিলেন বড়ু চণ্ডীদাস। কাব্যটি কৃষ্ণের পূর্বরাগ থেকে শুরু করে প্রেমে নিমজ্জিত রাধার পরিত্যাগ এবং কৃষ্ণের মধুরায় যাত্রা পর্যন্ত বিস্তারিতভাবে চিত্রিত করেছে।
পুথিটি ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে (১৩১৬ বঙ্গাব্দে) বসন্তরঞ্জন রায় দ্বারা আবিষ্কৃত হয়, যা পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার কাকিল্যা গ্রামের মল্লরাজগুরু বৈষ্ণবমহন্ত শ্রীনিবাস আচার্যের দৌহিত্র বংশজাত শ্রী দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় এর বাড়ির গোয়ালঘর থেকে সংগৃহীত। পরে ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে (১৩২৩ বঙ্গাব্দ) বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ থেকে বসন্তরঞ্জন রায়ের সম্পাদনায় এটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের মোট ১৩টি খণ্ড রয়েছে। সেগুলো হলো
-
জন্মখণ্ড
-
তাম্বুল খণ্ড
-
দানখণ্ড
-
নৌকাখণ্ড
-
ভারখণ্ড
-
ছত্রখণ্ড
-
বৃন্দাবন খণ্ড
-
কালিয়দমন খণ্ড
-
যমুনা খণ্ড
-
হার খণ্ড
-
বাণ খণ্ড
-
বংশী খণ্ড
-
বিরহ খণ্ড

0
Updated: 1 day ago