'গাজী মিয়াঁ' কার ছদ্মনাম?
A
মীর মশাররফ হোসেন
B
ইসমাইল হোসেন সিরাজী
C
ফররুখ আহমেদ
D
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
উত্তরের বিবরণ
মীর মশাররফ হোসেন ছিলেন ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও প্রাবন্ধিক, যিনি উনিশ শতকের বাঙালি মুসলমান সাহিত্যের পথিকৃৎ হিসেবে খ্যাত এবং বঙ্কিমযুগের গুরুত্বপূর্ণ গদ্যশিল্পী।
-
জন্ম ও সাহিত্যিক শুরু: ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়ায় জন্মগ্রহণ; ছাত্রাবস্থায় 'সংবাদ প্রভাকর' ও কুমারখালির 'গ্রামবার্তা প্রকাশিকা'-র মফঃস্বল সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেন, এখান থেকেই সাহিত্যজীবনের শুরু।
-
সাহিত্যগুরু ও সম্পাদনা: গ্রামবার্তা প্রকাশিকার সম্পাদক কাঙাল হরিনাথ ছিলেন তাঁর সাহিত্যগুরু; তিনি 'আজিজননেহার' ও 'হিতকরী' নামে দুটি পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন।
-
ছদ্মনাম ও প্রথম গ্রন্থ: 'গাজী মিয়াঁ' ছদ্মনামে লিখতেন; প্রথম গ্রন্থ 'রত্নবতী' (১৮৬৯), যা মুসলিম রচিত প্রথম বাংলা গদ্যগ্রন্থ।

0
Updated: 15 hours ago
কোনটি পূর্ববঙ্গ গীতিকার অন্তর্ভুক্ত?
Created: 1 week ago
A
কমলা
B
মলুয়া
C
দেওয়ানা ভাবনা
D
কাঞ্চনমালা
পূর্ববঙ্গ-গীতিকা হলো পূর্ববাংলার লোকসাহিত্যের একটি সংকলন, যা মুখে মুখে রচিত এবং লোকসমাজে প্রচলিত পালাগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে। এই গীতিকাগুলো বাংলা সাহিত্যের একটি অমূল্য সম্পদ।
-
পালাগুলি সংগ্রহ করা হয়েছে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ফরিদপুর, সিলেট (শ্রীহট্ট), ত্রিপুরা প্রভৃতি অঞ্চল থেকে।
-
প্রধান সংগ্রাহকরা হলেন: চন্দ্রকুমার দে, দীনেশচন্দ্র সেন, আশুতোষ চৌধুরী, জসীমউদ্দীন, নগেন্দ্রচন্দ্র দে, রজনীকান্ত ভদ্র, বিহারীলাল রায়, বিজয়নারায়ণ আচার্য প্রমুখ।
-
সংগৃহীত পালাগুলির সংখ্যা পঞ্চাশের অধিক।
-
১৯১৩ সালে চন্দ্রকুমার দে প্রথম এই ধরণের লোকগাথা প্রকাশ শুরু করেন।
-
দীনেশচন্দ্র সেন চন্দ্রকুমারের গাথা পড়ে আকৃষ্ট হন এবং তাঁর সহযোগিতায় পল্লী অঞ্চলের কৃষকদের কাছ থেকে আরও অনেক গাথা সংগ্রহ করেন।
-
১৯২৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থসাহায্যে দীনেশচন্দ্র সেগুলি ‘পূর্ববঙ্গ-গীতিকা’ নামে প্রকাশ করেন।
পূর্ববঙ্গ-গীতিকার উল্লেখযোগ্য পালা:
-
নিজাম ডাকাতের পালা
-
কাফন চোরা
-
কমল সওদাগর
-
চৌধুরীর লড়াই
-
কাঞ্চনমালা
-
আয়না বিবি
-
ভেলুয়া
-
কমলা রানির গান
অন্যদিকে, মলুয়া, দেওয়ানা ভাবনা ও কমলা মৈমনসিংহ গীতিকার অন্তর্ভুক্ত।

0
Updated: 1 week ago
মীর মশাররফ হোসেনের জন্মস্থান-
Created: 6 days ago
A
ঢাকা
B
বিক্রমপুর
C
কুষ্টিয়া
D
যশোর
মীর মশাররফ হোসেন ছিলেন ঔপন্যাসিক, নাট্যকার এবং প্রাবন্ধিক, যিনি উনিশ শতকের বাঙালি মুসলমান সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি বঙ্কিমচন্দ্রের যুগে গদ্যশিল্পের অন্যতম পথিকৃৎ হিসেবে পরিচিত।
-
জন্ম: ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
-
সাহিত্যজীবনের সূচনা: ছাত্রাবস্থায় সংবাদ প্রভাকর এবং কুমারখালির গ্রামবার্তা প্রকাশিকার মফঃস্বল সংবাদদাতার দায়িত্ব পালন করেই তাঁর সাহিত্যজীবন শুরু।
-
সাহিত্যগুরু: গ্রামবার্তা প্রকাশিকার সম্পাদক ‘কাঙাল হরিনাথ’ ছিলেন তাঁর সাহিত্যগুরু।
-
সম্পাদনা কার্যক্রম: তিনি আজিজননেহার এবং হিতকরী নামে দুটি পত্রিকাও সম্পাদনা করেছেন।
-
সাহিত্যিক পরিচয়: মীর মশাররফ ছিলেন বঙ্কিমযুগের অন্যতম প্রধান গদ্যশিল্পী এবং উনিশ শতকের বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিকদের পথিকৃৎ।

0
Updated: 6 days ago
নিচের কোনটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত উপন্যাস?
Created: 6 days ago
A
সাম্য
B
মন্দির
C
রজনী
D
ইন্দিরা দেবী
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন ঔপন্যাসিক, সাংবাদিক এবং বাংলার নবজাগরণের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব। তিনি বাংলা সাহিত্যের উজ্জ্বল দিকগুলোর পথপ্রদর্শক হিসেবে পরিচিত।
-
জন্ম ও জীবন: ১৮৩৮ সালে চব্বিশ পরগনা জেলার কাঁঠালপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
-
উপন্যাসিক পরিচয়: বাংলা উপন্যাসের জনক হিসেবে খ্যাত।
-
প্রথম রচনা: তাঁর প্রথম উপন্যাস 'রাজমোহনস ওয়াইফ' ইংরেজিতে লেখা।
-
বাংলা সাহিত্যে প্রভাব: বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস 'দুর্গেশনন্দিনী' প্রকাশিত হয় ১৮৬৫ সালে।
-
দ্বিতীয় উপন্যাস: 'কপালকুণ্ডলা' প্রকাশিত হয় ১৮৬৬ সালে।
-
ত্রয়ী উপন্যাস: 'আনন্দমঠ', 'দেবী চৌধুরানী', এবং 'সীতারাম'।
উপন্যাসসমূহ:
-
কপালকুণ্ডলা
-
মৃণালিনী
-
বিষবৃক্ষ
-
ইন্দিরা
-
যুগলাঙ্গুরীয়
-
চন্দ্রশেখর
-
রাধারানী
-
রজনী
-
কৃষ্ণকান্তের উইল
-
রাজসিংহ
প্রবন্ধসমূহ:
-
লোকরহস্য
-
কমলাকান্তের দপ্তর
-
বিবিধ সমালোচনা
-
সাম্য
-
কৃষ্ণচরিত্র
-
ধর্মতত্ত্ব অনুশীলন

0
Updated: 6 days ago