নিচের কোনটি কায়কোবাদ রচিত কাব্যগ্রন্থ নয়?
A
শ্মশান-ভস্ম
B
অশ্রুমালা
C
কুসুম-কোমল
D
অমিয়ধারা
উত্তরের বিবরণ
কায়কোবাদ ছিলেন আধুনিক বাংলা মহাকাব্য ধারার শেষ কবি এবং বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান অসামান্য। তিনি কবিতা রচনায় তরুণ বয়স থেকেই সৃজনশীলতা প্রদর্শন করেছিলেন।
-
জন্ম ও পরিচয়: ১৮৫৭ সালে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার আগলা গ্রামে জন্মগ্রহণ; পিতা শাহামতউল্লাহ আল কোরেশী, ঢাকার জেলা-জজ আদালতের উকিল। প্রকৃত নাম মোহাম্মদ কাজেম আল কোরেশী; সাহিত্যিক ছদ্মনাম ‘কায়কোবাদ’।
-
প্রথম প্রকাশিত কাব্য: মাত্র তেরো বছর বয়সে তাঁর প্রথম কাব্য 'বিরহবিলাপ' প্রকাশিত হয়।
-
সঠিক কাব্যগ্রন্থের নাম: কুসুম-কোমল নয়, সঠিক নাম 'কুসুম-কানন'।
রচিত অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ:
-
কুসুম-কানন
-
অশ্রুমালা
-
মহাশ্মশান (পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ ১৭৬১ অবলম্বনে রচিত)
-
শিব-মন্দির
-
অমিয়ধারা
-
শ্মশান-ভস্ম
-
মহরম শরীফ
মৃত্যুর পর প্রকাশিত গ্রন্থ:
-
প্রেমের ফুল
-
প্রেমের বাণী
-
প্রেম-পারিজাত
-
মন্দাকিনী-ধারা
-
গওছ পাকের প্রেমের কুঞ্জ

0
Updated: 15 hours ago
'বেদান্তগ্রন্থ' - গ্রন্থটি রচনা করেন কে?
Created: 1 week ago
A
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
B
উইলিয়াম কেরি
C
রামমোহন রায়
D
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
‘বেদান্তগ্রন্থ’ ১৮১৫ সালে রাজা রামমোহন রায় কর্তৃক ব্রহ্মসূত্রের অনুবাদ ও টীকা হিসেবে রচিত হয়। বাংলাগদ্যের ইতিহাসে এর গুরুত্ব অসাধারণ। এই গ্রন্থে তিনি প্রমাণ করার চেষ্টা করেন যে হিন্দুধর্মের মূল ভিত্তি পৌত্তলিকতা নয়, বরং ব্রহ্মই একমাত্র তত্ত্ব ও উপাস্য। এর ফলে ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে প্রবল বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
রামমোহন রায় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ হলো—
-
তিনি বাংলার নবজাগরণের আদি পুরুষ। জন্মগ্রহণ করেন ১৭৭২ সালের ২২ মে হুগলী জেলার রাধানগর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত ব্রাহ্মণ পরিবারে।
-
১৮৩০ সালে মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় আকবর তাঁকে ‘রাজা’ উপাধি প্রদান করেন এবং ব্রিটিশ রাজ ও পার্লামেন্টে পক্ষে ওকালতির জন্য ইংল্যান্ডে পাঠান।
-
২০ আগস্ট ১৮২৮ সালে তিনি প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের সহায়তায় কলকাতায় ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা করেন।
-
তিনি শিব প্রসাদ রায় ছদ্মনামে একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করতেন।
-
তাঁর রচিত গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় ৩০টি।
উৎস:

0
Updated: 1 week ago
বাংলা সাহিত্যের প্রথম ঔপন্যাসিক কে?
Created: 1 month ago
A
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
B
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
C
প্যারীচাঁদ মিত্র
D
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
প্যারীচাঁদ মিত্র
-
প্যারীচাঁদ মিত্র ১৮১৪ সালের ২২ জুলাই কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন।
-
তিনি ছিলেন একজন লেখক, সাংবাদিক, সংস্কৃতিসেবী ও ব্যবসায়ী।
-
তাঁর ছদ্মনাম ছিল ‘টেকচাঁদ ঠাকুর’।
-
১৮২৭ সালে তিনি হিন্দু কলেজে ভর্তি হন এবং খ্যাতনামা শিক্ষক হেনরি ডিরোজিওর তত্ত্বাবধানে শিক্ষা সম্পন্ন করেন।
-
বাংলা উপন্যাস রচনার পথিকৃৎ হিসেবে তিনি সর্বাধিক পরিচিত।
-
তাঁর শ্রেষ্ঠ কীর্তি ‘আলালের ঘরের দুলাল’, যা বাংলা সাহিত্যের প্রথম উপন্যাস হিসেবে স্বীকৃত।
-
রচনারীতি ও ভাষাগত দিক থেকে এ উপন্যাস বাংলা সাহিত্যে এক নতুন ধারার সূচনা করে।
-
এজন্য তাঁকে বাংলা সাহিত্যের প্রথম ঔপন্যাসিক এবং সাহিত্যধারার প্রতিষ্ঠাতা পুরুষ বলা হয়।
তাঁর উপন্যাসসমূহ
-
আলালের ঘরের দুলাল
-
আধ্যাত্নিকা
-
অভেদী
তাঁর একমাত্র প্রহসন
-
মদ খাওয়া বড় দায়—জাত থাকার কি উপায়
উৎস:
১) বাংলাপিডিয়া
২) বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা

0
Updated: 1 month ago
'হস্তী' - কোন ধরনের শব্দ?
Created: 1 month ago
A
মৌলিক
B
যৌগিক
C
রূঢ়ি
D
যোগরূঢ়
রূঢ় বা রূঢ়ি শব্দ
সংজ্ঞা:
যে শব্দ প্রত্যয় বা উপসর্গ যুক্ত হয়ে মূল শব্দের আক্ষরিক অর্থের অনুগামী না থেকে একেবারে অন্য কোনো বিশেষ বা প্রচলিত অর্থে ব্যবহৃত হয়, তাকে রূঢ়ি শব্দ বলে।
উদাহরণসমূহ
-
হস্তী: হস্ত + ইন → আক্ষরিক অর্থ হাত আছে যার; কিন্তু রূঢ় অর্থে বোঝায় একটি পশু (হাতি)।
-
গবেষণা: গো + এষণা → আক্ষরিক অর্থ গরু খোঁজা; রূঢ় অর্থে ব্যাপক অধ্যয়ন ও পর্যালোচনা।
-
বাঁশি: আক্ষরিক অর্থে বাঁশ দিয়ে তৈরি বস্তু; রূঢ় অর্থে সুর বাজানোর বাদ্যযন্ত্র।
-
তৈল: মূল অর্থে তিলজাত স্নেহ পদার্থ; রূঢ় অর্থে যে কোনো উদ্ভিজ্জ স্নেহ পদার্থ (যেমন: বাদাম তেল)।
-
প্রবীণ: আক্ষরিক অর্থে প্রকৃষ্টভাবে বীণা বাজাতে পারেন যিনি; রূঢ় অর্থে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বয়স্ক ব্যক্তি।
-
সন্দেশ: মূল অর্থে সংবাদ; রূঢ় অর্থে একটি মিষ্টান্ন বিশেষ।
✅ অর্থাৎ, রূঢ়ি শব্দের প্রকৃত অর্থ তার আদি গঠনমূলক অর্থ থেকে ভিন্ন ও বিশেষ প্রচলিত অর্থে ব্যবহৃত হয়।
উৎস:
-
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)
-
ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ

0
Updated: 1 month ago