'মহাশ্মশান' কোন ঐতিহাসিক ঘটনা অবলম্বনে রচিত?
A
পলাশীর যুদ্ধ
B
পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ
C
বক্সারের যুদ্ধ
D
রাজমহলের যুদ্ধ
উত্তরের বিবরণ
'মহাশ্মশান' কায়কোবাদ রচিত একটি শ্রেষ্ঠ মহাকাব্য, যা ১৯০৪ সালে প্রকাশিত হয়। এই কাব্যটি পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ (১৭৬১) কে কেন্দ্র করে রচিত এবং এতে ঐতিহাসিক ঘটনার সঙ্গে কাব্যিক চিত্রায়ন সমন্বিতভাবে ফুটে উঠেছে।
-
প্রকাশ ও প্রকাশনা মাধ্যম: কাব্যটি ধারাবাহিকভাবে মহম্মদ রওশন আলী সম্পাদিত 'কোহিনূর' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
-
গঠন: কাব্যটি তিনটি খণ্ডে বিভক্ত। প্রথম খণ্ডে ২৯টি সর্গ, দ্বিতীয় খণ্ডে ২৪টি সর্গ, এবং তৃতীয় খণ্ডে ৭টি সর্গ রয়েছে।
মহাকাব্যের প্রধান চরিত্র:
-
এব্রাহিম কার্দি
-
জোহরা বেগম
-
হিরণ বালা
-
আতা খাঁ
-
লঙ্গ
-
রত্নজি
-
সুজাউদ্দৌলা
-
সেলিনা
-
আহমদ শাহ্ আব্দালী

0
Updated: 16 hours ago
কোনটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস?
Created: 3 weeks ago
A
কাঁদো নদী কাঁদো
B
নেকড়ে অরণ্যে
C
রাঙা প্রভাত
D
প্রদোষে প্রাকৃতজন
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্য ও গুরুত্বপূর্ণ বাংলা লেখকদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় নিচে উপস্থাপন করা হলো। এই তথ্যগুলো মূলভাব অক্ষুণ্ণ রেখে সাজানো হয়েছে, প্রয়োজনে কিছু অতিরিক্ত ব্যাখ্যা যোগ করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস 'নেকড়ে অরণ্য' এর লেখক শওকত ওসমান এবং এটি ১৯৭৩ সালে প্রকাশিত হয়।
শওকত ওসমান
-
তিনি ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি, পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার সবলসিংহপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
-
প্রকৃত নাম ছিল শেখ আজিজুর রহমান।
-
তিনি একজন কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক ছিলেন।
-
প্রধানত উপন্যাস ও গল্পের রচয়িতা হিসেবে পরিচিত, তবে প্রবন্ধ, নাটক, রম্যরচনা, স্মৃতিকথা ও শিশুতোষ গ্রন্থও রচনা করেছেন।
-
তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হলো 'জননী' এবং 'ক্রীতদাসের হাসি'। জননীতে সামাজিক জীবন এবং ক্রীতদাসের হাসিতে রাজনৈতিক জীবনের কিছু অন্ধকার দিক উন্মোচিত হয়েছে।
-
তিনি নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন, যেমন: বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬২), আদমজি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬৬), একুশে পদক (১৯৮৩), ফিলিপস পুরস্কার (১৯৯১), স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার (১৯৯৭)।
-
১৯৯৮ সালের ১৪ই মে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
শওকত ওসমানের রচিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাসসমূহ:
-
জাহান্নম হইতে বিদায়
-
দুই সৈনিক
-
নেকড়ে অরণ্য
-
জলাংগী
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য বাংলা উপন্যাস ও লেখক:
-
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত 'কাঁদো নদী কাঁদো' উপন্যাসে গ্রামীণ ও কুমারডাঙ্গার শহুরে পরিবেশ এবং মানুষের ক্ষুদ্র সুখ-দুঃখের সামষ্টিক অভিজ্ঞতা বর্ণনা করা হয়েছে।
-
আবুল ফজল রচিত 'রাঙা প্রভাত'।
-
শওকত আলী রচিত 'প্রদোষে প্রাকৃতজন' উপন্যাসে রাজা লক্ষণ সেনের সময়ের সমাজ ও মানুষের দ্বন্দ্ব তুলে ধরা হয়েছে।

0
Updated: 3 weeks ago
'বঙ্গবাণী' কত শতকে রচিত সাহিত্য?
Created: 1 day ago
A
ষোল শতকে
B
সতের শতকে
C
আঠার শতকে
D
উনিশ শতকে
‘বঙ্গবাণী’ কবিতাটি মধ্যযুগের প্রখ্যাত মুসলিম কবি আবদুল হাকিম রচিত ‘নূরনামা’ কাব্য থেকে সংকলিত। এটি সপ্তদশ শতকে (সতেরো শতকে) রচিত এক গুরুত্বপূর্ণ কবিতা, যেখানে কবি বাংলা ভাষা ও বাঙালিত্বের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও গর্ব প্রকাশ করেছেন। সেই সময়ে যখন অনেক শিক্ষিত মানুষ বাংলা ভাষাকে অবজ্ঞা করতেন, তখন আবদুল হাকিম তাঁর কবিতার মাধ্যমে সাহসিকতার সঙ্গে বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার আহ্বান জানান।
তিনি লিখেছিলেন—
“যে সবে বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী,
সে সব কাহার জন্ম নির্নয় ন জানি।”
এই পঙ্ক্তিতে কবি তীব্রভাবে সমালোচনা করেছেন তাঁদের, যারা বঙ্গে জন্ম নিয়েও নিজস্ব ভাষাকে ঘৃণা করে। এই বক্তব্য বাংলা ভাষার প্রতি এক অনন্য ভালোবাসা ও আত্মপরিচয়ের প্রকাশ।
আবদুল হাকিম ছিলেন সপ্তদশ শতাব্দীর একজন বিশিষ্ট মুসলিম কবি, যিনি ১৬২০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি শুধু ধর্মীয় বা অনুবাদ সাহিত্যেই নয়, সমাজচেতনা ও ভাষাসচেতনতার প্রতিও গভীরভাবে নিবেদিত ছিলেন। তাঁর রচনায় ধর্ম, প্রেম, নীতি ও মানবতার সুষমা মিলিত হয়েছে।
তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য কাব্যসমূহ
-
ইউসুফ জোলেখা
-
নূরনামা
-
দুররে মজলিশ
-
লালমোতি সয়ফুলমুলুক
-
হানি-ফার লড়াই

0
Updated: 1 day ago
নিচের কোনটি অপপ্রয়োগ?
Created: 1 week ago
A
চঞ্চলতা
B
গম্ভীরতা
C
স্বতঃপ্রণোদিত
D
গাম্ভীর্যতা
অপপ্রয়োগ শব্দের একটি উদাহরণ হলো “গাম্ভীর্যতা”। এটি আসলে ‘-তা’ এবং ‘-ত্ব’ প্রত্যয়ের মিশ্রণে গঠিত ভুল প্রয়োগ।
এর শুদ্ধ প্রয়োগ হবে— গাম্ভীর্য অথবা গম্ভীরতা।
অন্যদিকে, শুদ্ধ প্রয়োগ হিসেবে গ্রহণযোগ্য শব্দগুলো হলো—
-
চঞ্চলতা
-
গম্ভীরতা
-
স্বতঃপ্রণোদিত

0
Updated: 1 week ago