'পথিক তুমি পথ হারাইয়াছ।' কোন উপন্যাসের বিখ্যাত উক্তি?
A
কপালকুণ্ডলা
B
বিষবৃক্ষ
C
কৃষ্ণকান্তের উইল
D
দুর্গেশনন্দিনী
উত্তরের বিবরণ
কপালকুণ্ডলা হলো বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত দ্বিতীয় বাংলা উপন্যাস, যা ১৮৬৬ সালে প্রকাশিত হয়। এই উপন্যাসে প্রেম, সামাজিক মূল্যবোধ ও চরিত্রের মানসিক দ্বন্দ্ব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
-
চরিত্র: কপালকুণ্ডলা, নবকুমার, কাপালিক
-
উল্লেখযোগ্য সংলাপ:
-
'পথিক তুমি পথ হারাইয়াছ' – উপন্যাসের নায়িকা কপালকুণ্ডলা নায়ক নবকুমারকে উদ্দেশ্য করে এই সংলাপটি বলেন। এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম রোমান্টিক সংলাপ হিসেবে খ্যাত।
-
'তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন' – উপন্যাসের আরও একটি স্মরণীয় সংলাপ।
-
বঙ্কিমচন্দ্রের অন্যান্য উপন্যাস:
-
মৃণালিনী
-
বিষবৃক্ষ
-
ইন্দিরা
-
যুগলাঙ্গুরীয়
-
চন্দ্রশেখর
-
রাধারানী
-
রজনী
-
কৃষ্ণকান্তের উইল
-
রাজসিংহ

0
Updated: 16 hours ago
‘আলালের ঘরের দুলাল’ উপন্যাসের ইংরেজি অনুবাদের নাম কী?
Created: 1 month ago
A
The Lost Cousin
B
The Spoiled Child
C
The Royal Nephew
D
The Child Spoiled
'আলালের ঘরের দুলাল' উপন্যাস
-
লেখক: প্যারীচাঁদ মিত্র (ছদ্মনাম: টেকচাঁদ ঠাকুর)
-
প্রকাশকাল: ১৮৫৮ খ্রিষ্টাব্দ
-
উপন্যাসের বৈশিষ্ট্য:
-
বাংলা উপন্যাস রচনার প্রথম প্রচেষ্টা
-
কথ্য ভাষা: ‘আলালী ভাষা’
-
প্রধান চরিত্র: মোকাজান মিঞা বা ঠকচাচা
-
চরিত্রের বৈশিষ্ট্য: ধূর্ততা, বুদ্ধিমত্তা ও প্রাণবন্ততা
-
-
-
অনুবাদ: ইংরেজীতে ‘The Spoiled Child’ নামে অনূদিত
প্যারীচাঁদ মিত্র
-
জন্ম: ২২ জুলাই ১৮১৪, কলকাতা
-
পেশা: লেখক, সাংবাদিক, সংস্কৃতিসেবী, ব্যবসায়ী
-
লিখিত পত্রিকা: দি ইংলিশম্যান, ইন্ডিয়ান ফিল্ড, হিন্দু প্যাট্রিয়ট, ফ্রেন্ড অব ইন্ডিয়া, বেঙ্গল স্পেক্টেটর
-
ছদ্মনাম: টেকচাঁদ ঠাকুর
উৎস:
১) বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম
২) বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা

0
Updated: 1 month ago
'বিষাদ-সিন্ধু' কার রচনা?
Created: 3 months ago
A
কায়কোবাদ
B
মীর মশাররফ হোসেন
C
মোজাম্মেল হক
D
ইসমাইল হোসেন সিরাজী
বিষাদ-সিন্ধু’ (১৮৮৫–১৮৯১) হলো বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস আশ্রিত এক অনন্য উপন্যাস, যা লেখক মীর মশাররফ হোসেনকে অসামান্য খ্যাতির আসনে অধিষ্ঠিত করে। কারবালার মর্মান্তিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে রচিত এই উপন্যাসে হাসান ও হোসেনের শাহাদাতের করুণ কাহিনি, দামেস্ক শাসক মাবিয়ার পুত্র এজিদের রক্তপিপাসু চরিত্র এবং জয়নাবের রূপে মোহিত হয়ে বহু মানুষের ধ্বংসযজ্ঞ—সবকিছু মিলিয়ে এটি হয়ে উঠেছে ধর্ম, ইতিহাস ও মানবিক আবেগের এক বিস্ময়কর মহাগাঁথা।
তবে ইতিহাসের প্রতি অন্ধ আনুগত্য নয়, বরং তা থেকে শিল্পসাহিত্যের উপযোগী বেছে নেওয়া কৌশল এই উপন্যাসকে করেছে স্বকীয়। গ্রন্থটি তিনটি পর্বে বিভক্ত:
-
মহরম পর্ব্ব (১৮৮৫)
-
উদ্ধার পর্ব্ব (১৮৮৭)
-
এজিদ-বধ পর্ব্ব (১৮৯১)
এই তিনটি পর্বে রয়েছে মোট ৬৩টি 'প্রবাহ' বা অধ্যায়—যার মধ্যে মহরম পর্বে ২৬টি প্রবাহসহ উপক্রমণিকা, উদ্ধার পর্বে ৩০টি প্রবাহ, এবং এজিদ-বধ পর্বে ৫টি প্রবাহ ও উপসংহার অংশ রয়েছে।
এই উপন্যাসের জনপ্রিয়তার পেছনে মূলত দুটি প্রধান কারণ:
-
ইসলাম ধর্মঘটিত স্পর্শকাতর কাহিনি, যা মুসলিম পাঠকের হৃদয়ে গভীর আবেদন সৃষ্টি করে।
-
সাহিত্যিক গুণ ও শৈলী, যা জ্ঞানপিপাসু ও রসিক পাঠকের কাছে এটিকে একটি শ্রেষ্ঠ সাহিত্যকর্মে পরিণত করেছে।
এখানে মাইকেল মধুসূদনের ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ থেকে অনুপ্রাণিত অ্যান্টি-এস্টাব্লিশমেন্ট চেতনার প্রতিফলনও লক্ষণীয়।
মীর মশাররফ হোসেন: পথিকৃৎ মুসলিম সাহিত্যিক
মীর মশাররফ হোসেন জন্মগ্রহণ করেন ১৩ নভেম্বর ১৮৪৭ সালে, কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়া গ্রামে। তিনি ছিলেন ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক—বাংলা গদ্যসাহিত্যের বঙ্কিমযুগের একজন গুরুত্বপূর্ণ লেখক এবং মুসলিম সমাজে সাহিত্যজাগরণের অন্যতম অগ্রদূত।
ছাত্রজীবনেই ‘সংবাদ প্রভাকর’ ও ‘গ্রামবার্তা প্রকাশিকা’য় সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করে তিনি লেখালেখির সূচনা করেন। তাঁর সাহিত্যগুরু ছিলেন ‘গ্রামবার্তা’র সম্পাদক কাঙাল হরিনাথ।
তিনি ‘গাজী মিয়াঁ’ ছদ্মনামে লেখালেখি করতেন। সম্পাদনা করেছেন দুটি পত্রিকা—‘আজিজননেহার’ ও ‘হিতকরী’।
প্রথম রচনা:
-
‘রত্নবতী’ (১৮৬৯): এটি বাংলা ভাষায় কোনো মুসলিম লেখকের প্রথম গদ্যগ্রন্থ।
🎭 নাটক:
-
বসন্তকুমারী
-
জমিদার দর্পণ
-
বেহুলা গীতাভিনয়
আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ:
-
গাজী মিয়াঁর বস্তানী
-
আমার জীবনী
-
কুলসুম জীবনী
প্রবন্ধগ্রন্থ:
-
গো-জীবন
এইভাবে মীর মশাররফ হোসেন তাঁর সাহিত্যসাধনায় যেমন ধর্ম ও ইতিহাসকে সৃজনশীল রূপে প্রকাশ করেছেন, তেমনি বাংলা গদ্যসাহিত্যের উন্নয়নে রেখেছেন অমোচনীয় অবদান।
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর), বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 3 months ago
"স্মৃতির মিনার ভেঙেছে তোমার? ভয় কি বন্ধু, আমরা এখনো চারকোটি পরিবার"-পঙ্ক্তিদ্বয় কার রচনা?
Created: 1 week ago
A
রফিক আজাদ
B
আলাউদ্দিন আল আজাদ
C
রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
D
হাসান হাফিজুর রহমান
আলাউদ্দিন আল আজাদ রচিত 'স্মৃতিস্তম্ভ' কবিতাটি তাঁর 'মানচিত্র' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। এটি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে লেখা হয়। কবিতাটিতে ভাষা আন্দোলনের সংগ্রাম, আত্মত্যাগ ও জাতির অটল প্রতিজ্ঞা ফুটে উঠেছে। এর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য লাইন হলো:
"স্মৃতির মিনার ভেঙেছে তোমার? ভয় কি বন্ধু, আমরা এখনো
চারকোটি পরিবার
খাড়া রয়েছি তো! যে-ভিত কখনো কোনো রাজন্য
পারেনি ভাঙতে"
-
রচয়িতা: আলাউদ্দিন আল আজাদ
-
জন্ম: ৬ মে ১৯৩২, নরসিংদী জেলার রায়পুর থানার রামনগর গ্রাম
-
তিনি ছিলেন শিক্ষাবিদ, কবি, কথাশিল্পী, প্রাবন্ধিক, শিশুসাহিত্যিক, গবেষক ও সাহিত্য-সমালোচক।
তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাস:
-
তেইশ নম্বর তৈলচিত্র
-
শীতের শেষ রাত বসন্তের প্রথম দিন
-
কর্ণফুলী
-
ক্ষুধা ও আশা
-
খসড়া কাগজ
-
স্বপ্নশিলা
-
বিশৃঙ্খলা
তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ:
-
মানচিত্র
-
ভোরের নদীর মোহনায় জাগরণ
তাঁর রচিত গল্পগ্রন্থ:
-
জেগে আছি
-
মৃগনাভি
-
ধানকন্যা
-
যখন সৈকত
-
অন্ধকার সিঁড়ি
-
জীবনজামিন
-
আমার রক্ত স্বপ্ন আমার
উৎস:

0
Updated: 1 week ago