কিউবায় ক্ষেপণাস্ত্র সঙ্কটের সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কে ছিলেন?
A
রিচার্ড এম নিক্সন
B
জন এফ কেনেডি
C
লিন্ডন বেইনস জনসন
D
হ্যারি এস ট্রুম্যান
উত্তরের বিবরণ
কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকট
কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকতিটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে ঘটে যাওয়া একটি গম্ভীর ৩৫ দিনের সংঘর্ষ, যা বিশ্বব্যাপী একটি বড় রাজনৈতিক সংকটের রূপ নেয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা ও সামরিক শক্তি বিস্তারের দৌড়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে।
সেই সময়ের অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে কিউবায় সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শের প্রভাব ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়।
১৯৬২ সালের অক্টোবর মাসে এই সংকট বিশেষ মাত্রা লাভ করে। যুক্তরাষ্ট্র তাদের আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ইতালি ও তুরস্কে স্থাপনের জবাবে, সোভিয়েত ইউনিয়ন কিউবায় ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করে।
ফ্লোরিডার উপকূল থেকে মাত্র ৯০ মাইল দূরে এই রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় ধরনের হুমকি হিসেবে দেখা দেয়।
এই পরিস্থিতিতে, ১৯৬২ সালের ২২ অক্টোবর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি কিউবার প্রতি নৌ অবরোধ ঘোষণা করেন, যা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তোলে। এই সংকটের ফলে ল্যাটিন আমেরিকার সমগ্র অঞ্চল যুদ্ধের উত্তেজনায় ধরা দেয় এবং বিশ্ব রাজনীতিতে একটি গুরুতর সংকট তৈরি হয়।
কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকট হিসেবে পরিচিত এই ঘটনা শীতল যুদ্ধের উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলে এবং পারমাণবিক সংঘাতের সম্ভাবনাকে প্রায় বাস্তব আকার দেয়।
উৎস: Britannica.
0
Updated: 3 months ago
নিম্নের কোনটি গ্রিন হাউজ গ্যাস নয়?
Created: 2 months ago
A
নাইট্রাস অক্সাইড
B
কার্বন ডাই-অক্সাইড
C
অক্সিজেন
D
মিথেন
গ্রিন হাউস এবং গ্রিন হাউস গ্যাস
গ্রিন হাউস:
গ্রিন হাউস হলো কাচ বা স্বচ্ছ উপকরণ দিয়ে তৈরি একটি ঘর, যেখানে উদ্ভিদ বা শাকসবজি চাষ করা হয়। এটি তাপ ধরে রাখে এবং উদ্ভিদ বৃদ্ধির জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে। সাধারণত শীতপ্রধান দেশগুলো বা মরুভূমি অঞ্চলে এর ব্যবহার বেশি।
গ্রিন হাউস গ্যাস:
গ্রিন হাউস গ্যাসগুলো এমন গ্যাস যা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তাপ ধরে রাখে, সূর্য থেকে আসা তাপ বিকিরণকে আটকে দেয় এবং পৃথিবীকে গরম করে। প্রধান গ্রিন হাউস গ্যাসগুলো হলো:
-
কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂)
-
মিথেন (CH₄)
-
নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O)
-
ক্লোরোফ্লোরোকার্বন (CFCs)
এখানে জেনে রাখা জরুরি: অক্সিজেন গ্রিন হাউস গ্যাস নয়।
গ্রিন হাউস ইফেক্ট:
যখন গ্রিন হাউস গ্যাসগুলো সূর্য থেকে আসা তাপকে আটকে দিয়ে বায়ুমণ্ডলকে গরম করে, তখন সেই প্রক্রিয়াটিকে গ্রিন হাউস ইফেক্ট বলা হয়। এই শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন সুইডিশ রসায়নবিদ সোভান্টে আরহেনিয়াস।
গ্রিন হাউস প্রভাব এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়ন:
বায়ুমণ্ডলে গ্রিন হাউস গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধির কারণে:
-
পৃথিবীর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ছে (বৈশ্বিক উষ্ণায়ন)।
-
সমুদ্রপৃষ্ঠের পানি বাড়ছে।
-
আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তিত হচ্ছে।
-
প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংখ্যা ও তীব্রতা বাড়ছে।
-
অনেক প্রাণী এবং উদ্ভিদ প্রজাতি বিলুপ্তির পথে যাচ্ছে।
উৎস: সাধারণ বিজ্ঞান, SSC প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 2 months ago
কোন চুক্তির মাধ্যমে ইউরোপের “Thirty years’ war” এর সমাপ্তি ঘটে?
Created: 1 month ago
A
ভারসাই চুক্তি, ১৯১৯
B
ওয়েস্টফেলিয়া শান্তি চুক্তি, ১৬৪৮
C
প্যারিস চুক্তি, ১৭৮৩
D
লুজান চুক্তি, ১৯২৩
ত্রিশ বছরব্যাপী যুদ্ধ ইউরোপে ধর্মকেন্দ্রিক সংঘাতের শেষ বড় উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত। এই যুদ্ধ প্রাথমিকভাবে প্রোটেস্টান্ট জার্মানির উপর অস্ট্রিয়ান হ্যাপসবার্গদের প্রভাব অক্ষুন্ন রাখা, ডেনমার্কের রাজার উচ্চাভিলাষ, বাল্টিক অঞ্চলে সুইডেনের একচ্ছত্র প্রভাব বিস্তার এবং হ্যাপসবার্গদের পরাজিত করে ফ্রান্সকে ইউরোপের প্রধান শক্তিতে পরিণত করা নিয়ে সংঘটিত হয়। এছাড়া, ধর্মান্ধতা, স্বার্থপরতা, ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্খা এবং প্রাধান্য বিস্তারের প্রতিযোগিতা ইউরোপের সকল দেশকে এই যুদ্ধে টেনে নেয়। দীর্ঘ ত্রিশ বছর ধরে এই যুদ্ধে সমগ্র জার্মানি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়।
-
যুদ্ধ প্রলম্বিত হওয়ার মূল কারণগুলোর মধ্যে ছিল রাজনৈতিক ক্ষমতার লড়াই এবং ধর্মীয় আধিপত্যের প্রতিযোগিতা।
-
ইউরোপের বৃহৎ অংশ এই সংঘাতের কারণে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।
ত্রিশ বছরের এই ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে অবসান ঘটাতে ১৬৪৮ সালে ওয়েস্টফেলিয়া চুক্তি সম্পাদিত হয়।
-
১৬৪৮ সালের ২৪ অক্টোবর, ওয়েস্টফেলিয়া চুক্তির মাধ্যমে দীর্ঘ ত্রিশ বছরব্যাপী ধর্মসংক্রান্ত যুদ্ধের অবসান ঘটে।
-
এই চুক্তি ইউরোপে শান্তির জন্য প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত।
-
ওয়েস্টফেলিয়া চুক্তি ইউরোপকে আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার দিকে এগিয়ে নিয়ে আসে।
-
এই চুক্তির নির্ধারিত ভূ-খণ্ডগত সীমানা নেপোলিয়নের যুগ পর্যন্ত বহাল থাকে।
0
Updated: 1 month ago
ন্যাটো (NATO) চার্টারের কোন ধারায় সম্মিলিত প্রতিরক্ষার কথা উল্লেখ আছে?
Created: 1 month ago
A
আর্টিকেল-২
B
আর্টিকেল-৩
C
আর্টিকেল-৫
D
আর্টিকেল-৬
ন্যাটো (NATO) হলো একটি সামরিক জোট, যা মূলত সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সামরিক ও রাজনৈতিক সহযোগিতা নিশ্চিত করার জন্য প্রতিষ্ঠিত।
ন্যাটোর চার্টারের বিভিন্ন অনুচ্ছেদই এর কার্যক্রম ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ করে, যার মধ্যে অনুচ্ছেদ-৫ বিশেষভাবে সম্মিলিত প্রতিরক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে।
• অনুচ্ছেদ ৫: সম্মিলিত প্রতিরক্ষা
-
যদি কোনো ন্যাটো সদস্য সশস্ত্র আক্রমণের শিকার হয়, তবে জোটের প্রতিটি সদস্য এটিকে সমস্ত সদস্যদের বিরুদ্ধে আক্রমণ হিসাবে বিবেচনা করবে।
-
সদস্য রাষ্ট্রগুলো একে অপরকে সুরক্ষা দেবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
-
ন্যাটোর মূল ভিত্তি হিসেবে এই ধারাটিকে ধরা হয়।
-
ইতিহাসে একবার কার্যকর করা হয়েছে, ২০০১ সালের ৯/১১ টুইন টাওয়ার হামলার পর। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আফগানিস্তানে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।
• ন্যাটো চুক্তির অনুচ্ছেদসমূহ (মোট ১৪টি)
১. শান্তিপূর্ণ সমাধান
২. বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক
৩. প্রতিরক্ষা সক্ষমতা
৪. পরামর্শ
৫. সম্মিলিত প্রতিরক্ষা
৬. আক্রমণের সংজ্ঞা
৭. জাতিসংঘ সনদের বাধ্যবাধকতা
৮. অ-দ্বন্দ্বমূলক সম্পৃক্ততা
৯. বাস্তবায়ন পরিষদ
১০. অতিরিক্ত পক্ষসমূহ
১১. চুক্তি অনুমোদন এবং প্রয়োগ
১২. চুক্তি পর্যালোচনা
১৩. জোটের সদস্যতা ত্যাগ
১৪. চুক্তির অন্যান্য সংস্করণের গ্রহণযোগ্যতা
• NATO সম্পর্কিত তথ্য
-
পূর্ণরূপ: North Atlantic Treaty Organisation (উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট)
-
প্রতিষ্ঠিত: ১৯৪৯ সালের ৪ এপ্রিল, ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র
-
প্রতিষ্ঠাতা সদস্য: ১২টি (যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, কানাডা, ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, ইতালি, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পর্তুগাল)
-
বর্তমান সদস্য: ৩২টি
-
সদর দপ্তর: ব্রাসেলস, বেলজিয়াম
-
বর্তমান মহাসচিব: মার্ক রুট্টে
-
মুসলিম দেশসমূহ: আলবেনিয়া ও তুরস্ক
-
সর্বশেষ ৩২তম সদস্য: সুইডেন
0
Updated: 1 month ago