নিচের কোনটি মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত কাব্য নয়?
A
ব্রজাঙ্গনা
B
কৃষ্ণকুমারী
C
তিলোত্তমাসম্ভব
D
বীরাঙ্গনা
উত্তরের বিবরণ
মাইকেল মধুসূদন দত্ত ছিলেন বাংলা সাহিত্যের একজন মহাকবি ও নাট্যকার, যিনি বাংলাভাষায় সনেট এবং অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক হিসেবে সুপরিচিত। তাঁর সাহিত্যকর্মে নাটক, কাব্য ও প্রহসন সবই গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে।
-
জন্ম ও জীবন: ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোর জেলার কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
-
সনেট ও ছন্দ প্রবর্তন: তিনি বাংলায় সনেটের প্রবর্তক এবং অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রথম প্রবর্তক।
-
অমিত্রাক্ষর ছন্দের কাব্য: ‘পদ্মাবতী’ নাটকে প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দ ব্যবহার করেন। অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ হলো 'তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য', যা সম্পূর্ণ অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত।
-
ইংরেজি কাব্য: তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ইংরেজিতে লেখা ‘The Captive Lady’।
উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম:
-
নাটক: শর্মিষ্ঠা, পদ্মাবতী, কৃষ্ণকুমারী
-
কাব্য: তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য, মেঘনাদবধ কাব্য, ব্রজাঙ্গনা কাব্য, বীরাঙ্গনা কাব্য (পত্রকাব্য), চতুর্দশপদী কবিতাবলী
-
প্রহসন: একেই কি বলে সভ্যতা, বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ

0
Updated: 16 hours ago
কোনটি সরদার জয়েনউদ্দিন রচিত উপন্যাস?
Created: 1 week ago
A
নয়ান ঢুলি
B
বেলা ব্যানার্জীর প্রেম
C
অষ্টপ্রহর
D
অনেক সূর্যের আশা
‘অনেক সূর্যের আশা’ উপন্যাস দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পটভূমিতে সরদার জয়েনউদ্দীনের রচিত একটি কীর্তি। এই উপন্যাস তাঁকে খ্যাতি ও প্রতিষ্ঠা এনে দেয়।
সরদার জয়েনউদ্দীন সম্পর্কে কিছু তথ্য:
-
জন্ম: ১৯১৮ সালে ব্রিটিশ ভারতের (বর্তমান বাংলাদেশ) পাবনার সুজানগর উপজেলার কামারহাটিতে এক কৃষক পরিবারে।
তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাসসমূহ:
-
অনেক সূর্যের আশা
-
বেগম শেফালী মির্জা
-
রোদের ঢেউ
-
আদিগন্ত
তাঁর রচিত ছোটগল্পসমূহ:
-
নয়ান ঢুলি
-
খরস্রোত
-
বেলা ব্যানার্জীর প্রেম
-
অষ্টপ্রহর

0
Updated: 1 week ago
'পথের পাঁচালী' উপন্যাসে অপুর মায়ের নাম কী?
Created: 6 days ago
A
মৃণালিনী
B
সর্বজয়া
C
নলিনী
D
বিনোদিনী
'পথের পাঁচালী' বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত একটি জনপ্রিয় বাংলা উপন্যাস, যা গ্রামীণ জীবনের স্বচ্ছ চিত্রায়ণ ও মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির সংযোগের বিষয়বস্তু নিয়ে রচিত।
-
প্রকাশনা: ১৯২৯ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত এবং এর আগেই 'বিচিত্রা' পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত।
-
পটভূমি: বাংলাদেশের গ্রাম এবং সেখানে বসবাসকারী মানুষের দৈনন্দিন জীবন।
-
বিষয়বস্তু: শিশুর চৈতন্যের উদয়, মানুষের সঙ্গে তার সম্পর্ক এবং প্রকৃতির সঙ্গে পরিচয়।
-
উপন্যাসের তিনটি ভাগ: বল্লালী বালাই, আমআঁটির ভেঁপু, অক্রূর সংবাদ।
-
নায়ক: বালক অপু।
-
প্রধান চরিত্র:
-
অপু
-
দুর্গা
-
ইন্দির ঠাকরুন
-
সর্বজয়া (অপু ও দুর্গার মা)
-

0
Updated: 6 days ago
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস কোনটি?
Created: 1 month ago
A
একটি কালো মেয়ের কথা
B
তেইশ নম্বর তৈলচিত্র
C
আয়নামতির পালা
D
ইছামতী
‘একটি কালো মেয়ের কথা’ উপন্যাস
-
লেখক: তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
-
প্রকাশিত: ১৯৭১
-
বিষয়: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ
-
উপন্যাসের সারসংক্ষেপ: উপন্যাসের কেন্দ্র চরিত্র নাজমা, একজন কালো মেয়ে, পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনীর পাঞ্জাবির দ্বারা নির্যাতনের শিকার হন। সীমান্ত অতিক্রমের সময় তিনি ‘স্পাই’ হিসেবে ধরা পড়েন এবং ভারতীয় পুলিশ অফিসার ডেভিড আর্মস্ট্রং-এর সামনে জবানবন্দি দেন।
-
উল্লেখযোগ্য উদ্ধৃতি (ডেভিডের জবানবন্দি থেকে):
"এরই মধ্যে এই দেশটাকে এমন করে ভালবেসে ফেললাম যে এই আমার সব থেকে ভালো দেশ, এর থেকে ভালো দেশ আর নেই। আর এই দেশই আমার দেশ।"
-
গুরুত্ব: নাজমার চরিত্র ১৯৭১-এর বাংলাদেশের সংগ্রাম ও কষ্টের প্রতীক হিসেবে উপন্যাসে ফুটে উঠেছে।
‘তেইশ নম্বর তৈলচিত্র’ উপন্যাস
-
লেখক: আলাউদ্দিন আল আজাদ
-
ফিল্ম অনুবাদ: ‘বসুন্ধরা’ (পরিচালক: সুভাষ দত্ত, ১৯৭৭)
-
উল্লেখযোগ্য অর্জন: চলচ্চিত্রটি ১৯৭৭ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে।
‘ইছামতী’ উপন্যাস
-
লেখক: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
-
প্রকাশিত: ১৯৫০
-
বিষয়: ইছামতি নদীর তীরবর্তী গ্রামের মানুষের জীবন
-
প্রধান চরিত্র: ভবানী বাঁড়ুয়া, তার পুত্র তিলু, বিলু, নীলু
-
উল্লেখযোগ্য অর্জন: রবীন্দ্র পুরস্কার
-
গুরুত্ব: লেখকের শেষ উপন্যাস, গ্রামীণ জীবনের বাস্তব চিত্র তুলে ধরে।
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
-
জন্ম: ১৮৯৮, বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ
-
পেশা: কথাসাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ
-
প্রথম গল্প: ‘রসকলি’ (কল্লোল পত্রিকায় প্রকাশিত)
-
প্রসিদ্ধ ত্রয়ী উপন্যাস: ধাত্রীদেবতা, গণদেবতা, পঞ্চগ্রাম
-
উল্লেখযোগ্য উপন্যাস:
চৈতালি ঘূর্ণি, ধাত্রীদেবতা, কালিন্দী, কবি, হাঁসুলি বাঁকের উপকথা, গণদেবতা, আরগ্য, নিকেতন, পঞ্চপুণ্ডলী, রাধা ইত্যাদি -
প্রসিদ্ধ ছোটগল্প: রসকলি, বেদেনী, ডাকহরকরা
উৎস: বাংলাপিডিয়া; বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 1 month ago