মাইকেল মধুসূধন দত্ত কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
A
১৮২০ সালে
B
১৮২৪ সালে
C
১৮২৮ সালে
D
১৮৩৮ সালে
উত্তরের বিবরণ
মাইকেল মধুসূদন দত্ত ছিলেন বাংলা সাহিত্যের একজন মহাকবি এবং নাট্যকার, যিনি বাংলা ভাষায় সনেট ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক হিসেবে খ্যাত। তিনি বাংলা সাহিত্যকে নতুন দিশা দেখিয়েছেন এবং তাঁর বিভিন্ন ছদ্মনাম ও সাহিত্যকর্ম বাংলাভাষা ও সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে।
-
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন: ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোর জেলার কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামে এক জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
-
শিক্ষা ও কাব্যচর্চা: হিন্দু কলেজে অধ্যয়নের সময়ই তিনি কাব্যচর্চা শুরু করেন। তাঁর কবিতা তখন বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হতো, যেমন জ্ঞানান্বেষণ, Bengal Spectator, Literary Gleamer, Calcutta Library Gazette, Literary Blossom, Comet ইত্যাদি।
-
ধর্মান্তর ও নামের পরিবর্তন: ১৮৪৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯ বছর বয়সে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেন এবং তখন থেকে নামের আগে 'মাইকেল' যুক্ত হয়।
-
ইংরেজি কাব্য: Timothy Penpoem ছদ্মনামে তাঁর প্রথম ইংরেজি কাব্যগ্রন্থ হলো 'The Captive Ladie'।
-
অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তন: তিনি প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দ ব্যবহার করেন 'পদ্মাবতী' নাটকে। তাঁর প্রথম সম্পূর্ণ অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত কাব্যগ্রন্থ হলো 'তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য'।
-
ছদ্মনাম: মাইকেল মধুসূদন দত্ত বিভিন্ন ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন, যেমন Timothy Penpoem এবং শ্রীমধুসূদন।
উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম:
-
নাটক: শর্মিষ্ঠা, পদ্মাবতী, কৃষ্ণকুমারী
-
কাব্য: তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য, মেঘনাদবধ কাব্য, ব্রজাঙ্গনা কাব্য, বীরাঙ্গনা কাব্য (পত্রকাব্য), চতুর্দশপদী কবিতাবলী
-
প্রহসন: একেই কি বলে সভ্যতা, বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ

0
Updated: 16 hours ago
"হে বঙ্গ, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন;
Created: 1 week ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
C
জসীম উদ্দীন
D
আবদুল হাকিম
বঙ্গভাষা
-
কবি: মাইকেল মধুসূদন দত্ত
-
কবিতার ধরন: সনেট
-
সংকলন: চতুর্দশপদী কবিতাবলী
কবিতার অংশ:
"হে বঙ্গ, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন;–
তা সবে, (অবোধ আমি!) অবহেলা করি,
পর-ধন-লোভে মত্ত, করিনু ভ্রমণ
পরদেশে, ভিক্ষাবৃত্তি কুক্ষণে আচরি।"
মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রধান কাব্যগ্রন্থ:
-
তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য
-
মেঘনাদবধ কাব্য
-
ব্রজাঙ্গনা কাব্য
-
বীরাঙ্গনা কাব্য
-
চতুর্দশপদী কবিতাবলী
উৎস:

0
Updated: 1 week ago
'লালসালু' উপন্যাসে কোন চরিত্রটি নারী প্রতিবাদের প্রতীক?
Created: 6 days ago
A
আমেনা
B
জমিলা
C
ফাতেমা
D
রহিমা
লালসালু সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত একটি প্রখ্যাত উপন্যাস, যা ১৯৪৮ সালে কলকাতা থেকে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। উপন্যাসটি বাংলার গ্রামজীবনের বাস্তবতা, সৌন্দর্য, মাধুর্য ও কঠোরতা চিত্রায়ন করে এবং অসংখ্য গ্রামীণ মানুষের জীবনকে ফুটিয়ে তোলে। নোয়াখালি অঞ্চলের মজিদ নামের একটি কূটচরিত্র গারোপাহাড়ি অঞ্চলে গিয়ে ধর্মের নামে স্থানীয় মানুষকে কীভাবে শোষণ করে, সেই ঘটনা উপন্যাসে উল্লিখিত।
উপন্যাসের মূল বিষয় ধর্মব্যবসায়ীদের স্বরূপ উন্মোচন এবং নারী জাগরণের প্রেক্ষাপটে সমাজচেতনা। স্বল্পবয়সী স্ত্রী জমিলা মজিদের শোষণ প্রতিহত করে, উপন্যাসে তিনি বিদ্রোহিণী ও প্রতিবাদের প্রতীক হিসেবে চিত্রিত।
-
উল্লেখযোগ্য চরিত্রসমূহ:
-
মজিদ
-
খালেক ব্যাপারি
-
জমিলা
-
রহিমা
-
আমেনা
-
আক্কাস
-
তাহেরের বাপ
-
হাসুনির মা
-
-
উক্তি: উপন্যাসে ধর্মব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে, "খোদার এলেমে বুক ভরে না তলায় পেট শূন্য বলে।"
-
অনুবাদ ও খ্যাতি:
-
ইংরেজিতে Tree Without Roots (১৯৬৭) নামে অনূদিত হয়েছে
-
ফরাসি ভাষায় অনূদিত হয়েছে, নাম Le Arbre Sans Maîme (১৯৬১)
-
ফরাসি অনুবাদ করেছেন সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর পত্নী অ্যান মেরি
-

0
Updated: 6 days ago
'সুদীপ্ত শাহীন’ - মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কোন উপন্যাসের চরিত্র?
Created: 1 month ago
A
রাইফেল রোটি আওরাত
B
যাত্রা
C
জাহান্নম হইতে বিদায়
D
নেকড়ে অরণ্য
‘রাইফেল রোটি আওরাত’ উপন্যাস
-
‘রাইফেল রোটি আওরাত’ (১৯৭৩) আনোয়ার পাশা রচিত একটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস।
-
এই উপন্যাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হলো অধ্যাপক সুদীপ্ত শাহীন।
-
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চরিত্র: ড. খালেক, ড. মালেক, ছাবেদ আলী, হাসমত, জামাল সাহেব প্রমুখ।
-
উপন্যাসটি মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে রচিত এবং ১৯৭৩ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
আনোয়ার পাশার অন্যান্য উপন্যাসসমূহ
-
নিশুতি রাতের গাথা
-
নীড় সন্ধানী
-
রাইফেল রোটি আওরাত (মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক)
উৎস:
১) বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
২) বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago