'Necessity hath no law or knows no law.' এর বাংলা অনুবাদ কী হবে?
A
অতি বাড় বেড়ো না ঝড়ে পড়ে যাবে; বা অতি দর্পে হতো লঙ্কা।
B
অভাবে স্বভাব নষ্ট।
C
অতিলোভে তাঁতি নষ্ট।
D
অতীতের কথা তুলে দুঃখ করে লাভ নেই।
উত্তরের বিবরণ
‘অভাবে স্বভাব নষ্ট’ এর ইংরেজি অনুবাদ হলো Necessity hath no law or knows no law। এটি বোঝায় যে প্রয়োজনের সময় মানুষ স্বভাব বা নিয়ম মানতে পারে না।
অন্যদিকে—
-
অতীতের কথা তুলে দুঃখ করে লাভ নেই — It is no use crying over spilt milk
-
অতিলোভে তাঁতি নষ্ট — Grasp all, lose all
-
অতি বাড় বেড়ো না ঝড়ে পড়ে যাবে; বা অতি দর্পে হতো লঙ্কা — Pride goes before destruction

0
Updated: 16 hours ago
’রুখের তেন্তুলি কুম্ভীরে খাঅ।’- চর্যাপদের এ চরণটির রচিতা কে?
Created: 2 weeks ago
A
ভুসুকুপা
B
কুক্কুরীপা
C
লুইপা
D
কাহ্নাপা
কুক্কুরীপা ছিলেন চর্যাপদ রচয়িতাদের একজন। তিনি মোট তিনটি পদ রচনা করেছিলেন। এর মধ্যে দুটি পাওয়া গেলেও একটি পদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার রচিত পদগুলোর বিস্তারিত নিচে দেওয়া হলোঃ
-
কুক্কুরীপা ২, ২০ ও ৪৮ নং পদ রচনা করেছিলেন।
-
এর মধ্যে ৪৮ নং পদটি পাওয়া যায়নি।
-
চর্যাপদের ২ নং পদের রচয়িতা কুক্কুরীপা।
-
পদটি হলো:
"দুলি দুহি পিটা ধরণ ন জাই।
রুখের তেন্তুলি কুম্ভীরে খাঅ।।"
উৎস:

0
Updated: 2 weeks ago
নিত্য মূর্ধন্য-ষ কোন শব্দে বর্তমান?
Created: 2 months ago
A
কষ্ট
B
উপনিষৎ
C
কল্যাণীয়েষু
D
আষাঢ়
আষাঢ় শব্দে ‘ষ’ ব্যবহারের প্রকৃতি: স্বাভাবিক প্রয়োগ বা ষ-ত্ব বিধান?
ষ-ত্ব বিধান কী?
বাংলা ভাষায় মূর্ধন্য ‘ষ’ ধ্বনি সাধারণভাবে প্রচলিত নয়। দেশি, তদ্ভব ও বিদেশি শব্দে ‘ষ’ লেখা হয় না। তবে কিছু তৎসম শব্দে মূর্ধন্য-ষ অপরিহার্য হয়ে ওঠে। এসব ক্ষেত্রে ‘ষ’ ব্যবহারের নির্দিষ্ট নিয়মকেই বলা হয় ষ-ত্ব বিধান।
‘ষ’ ব্যবহারের প্রধান নিয়মাবলি:
১. ঋ অথবা ঋ-কার যুক্ত শব্দে সাধারণত ‘ষ’ হয়। যেমন: ঋষি, উৎকৃষ্ট, কৃষক।
২. ট-বর্গীয় ধ্বনি থাকলে তার সাথে ‘ষ’ ব্যবহৃত হয়। উদাহরণ: কষ্ট, নষ্ট, স্পষ্ট, কাষ্ঠ, ওষ্ঠ।
৩. অ ও আ ব্যতীত অন্য স্বরধ্বনি, এবং ক কিংবা র-এর পরে প্রত্যয়ের ‘স’ → ‘ষ’ হয়। যেমন: ভবিষ্যৎ, মুমূর্ষু, চিকীর্ষা, চক্ষুষ্মান।
৪. ই-কারান্ত ও উ-কারান্ত উপসর্গযুক্ত কিছু ধাতুর ক্ষেত্রে ‘স’ পরিবর্তিত হয়ে ‘ষ’ হয়। যেমন: অভিষেক (অভি + সেক), সুষুপ্ত (সু + সুপ্ত), অনুষঙ্গ, সুষমা।
৫. তৎসম শব্দে ‘র’-এর পর অনেক সময় ‘ষ’ হয়। উদাহরণ: বর্ষা, বর্ষণ, ঘর্ষণ।
৬. কিছু শব্দে স্বভাবগতভাবেই মূর্ধন্য ‘ষ’ ব্যবহৃত হয়। যেমন: আষাঢ়, ঊষা, রোষ, কোষ, ভাষণ, পৌষ, ষড়ঋতু।
যেসব ক্ষেত্রে ষ-ত্ব বিধান কার্যকর নয়:
-
বিদেশি শব্দ, যেমন আরবি, ফারসি, ইংরেজি থেকে আগত শব্দে ‘ষ’ হয় না। উদাহরণ: মাস্টার, পোশাক, পোস্ট, জিনিস।
-
‘সাৎ’ প্রত্যয়যুক্ত সংস্কৃত শব্দেও সাধারণত ‘ষ’ ব্যবহৃত হয় না। যেমন: অগ্নিসাৎ, ধূলিসাৎ, ভূমিসাৎ।
উপসংহার:
তৎসম শব্দে সঠিক বানান নির্ধারণে মূর্ধন্য-ষ ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই নিয়মগুলো জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন আষাঢ় শব্দে 'ষ' স্বভাবতই ব্যবহার হয়েছে—এটি ষ-ত্ব বিধান অনুযায়ী নয়, বরং ব্যতিক্রমধর্মী একটি শব্দের উদাহরণ।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি, ২০১৯ সংস্করণ

0
Updated: 2 months ago
'অজমূর্খ' - শব্দটি কোন সমাস?
Created: 1 week ago
A
তৎপুরুষ সমাস
B
বহুব্রীহি সমাস
C
কর্মধারয় সমাস
D
অব্যয়ীভাব সমাস
বাংলা ব্যাকরণে উপমান কর্মধারয় সমাস হলো সেই সমাস যেখানে কোনো বিষয়কে অন্য কিছুর সঙ্গে তুলনা করা হয়। এ ধরনের সমাসে উপমানের সঙ্গে গুণবাচক শব্দ যুক্ত থাকে এবং সাধারণত পরপদ বিশেষণ হয়।
-
উদাহরণসমূহ:
-
কাজলের মতো কালো → কাজলকালো
-
শশের মতো ব্যস্ত → শশব্যস্ত
-
অজের ন্যায় মূর্খ → অজমূর্খ
-
উৎস:

0
Updated: 1 week ago