কোন শব্দের প্রয়োগ শুদ্ধ?
A
সময়কাল
B
নিরপরাধী
C
দুরাবস্থা
D
বিবদমান
উত্তরের বিবরণ
মত পোষণকারী।
অন্যদিকে—
-
দুরাবস্থা — সন্ধি বিষয়ক অপপ্রয়োগ; শুদ্ধ রূপ: দুরবস্থা।
-
নিরপরাধী — সমাস-ঘটিত অপপ্রয়োগ; শুদ্ধ রূপ: নিরপরাধ।
-
সময়কাল — সমার্থ শব্দের বাহুল্যজনিত অপপ্রয়োগ; শুদ্ধ রূপ: সময় বা কাল।

0
Updated: 16 hours ago
"শিক্ষক বললেন, নেই আঁকড়া হওয়া মানুষের জীবনে অনেক সমস্যা ডেকে আনে।" — বাক্যটিতে 'নেই আঁকড়া' বাগ্ধারার অর্থ কী?
Created: 3 weeks ago
A
নির্লজ্জ
B
নিতান্ত অলস
C
নির্বোধ
D
একগুঁয়ে
• "শিক্ষক বললেন, নেই আঁকড়া হওয়া মানুষের জীবনে অনেক সমস্যা ডেকে আনে।" — বাক্যটিতে 'নেই আঁকড়া' বাগ্ধারার অর্থ- একগুঁয়ে।
আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বাগ্ধারা:
• 'ফোড়ন দেওয়া' - টিপ্পনি কাটা।
• ’নয়ছয়’ - অপচয়।
• 'গোঁফ খেজুরে' - নিতান্ত অলস।
• ’ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ - কৌশলে কার্যোদ্ধার।
• 'অঘাচণ্ডী' - নির্বোধ, মূর্খ, বোকা।
• 'কানকাটা' - নির্লজ্জ, বেহায়া।

0
Updated: 3 weeks ago
'সে কৌতুক করার কৌতূহল সংবরণ করতে পারল না।'- এই বাক্য কী কারণে ত্রুটিপূর্ণ?
Created: 2 weeks ago
A
বানান ভুল আছে
B
বাক্যের পদবিন্যাস যথাযথ নয়
C
অর্থ অনুযায়ী শব্দের প্রয়োগ হয়নি
D
বিশেষ্য-বিশেষণের অপপ্রয়োগ ঘটেছে
এই প্রশ্নে মূল সমস্যা হলো শব্দের অর্থ যথাযথভাবে ব্যবহার করা হয়নি। বাক্য বিশ্লেষণ করলে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
-
"কৌতূহল" শব্দের অর্থ হলো কোনো বিষয়ে জানার আগ্রহ, অনুসন্ধিৎসা বা কুরিয়োসিটি (Curiosity)। এটি সাধারণত তথ্য, ঘটনা বা রহস্য বোঝার ইচ্ছাকে নির্দেশ করে।
-
বাক্যে ব্যবহৃত "কৌতুক করার কৌতূহল" বলতে বোঝানো হয়েছে রসিকতা করার আগ্রহ, যা "কৌতূহল" শব্দের প্রকৃত অর্থের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।
-
কোনো কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশের জন্য যথাযথ শব্দ হবে "আগ্রহ", "ইচ্ছা" বা "প্রবৃত্তি"।
-
সঠিক রূপে বাক্য লেখা যেতে পারে:
-
"সে কৌতুক করার আগ্রহ সংবরণ করতে পারল না।"
-
"সে কৌতুক করার ইচ্ছা দমন করতে পারল না।"
-
অন্যান্য অপশন বিশ্লেষণ:
-
ক) বানান ভুল নেই; "কৌতুক", "কৌতূহল", "সংবরণ" শব্দগুলির বানান সঠিক।
-
খ) বাক্যের পদবিন্যাস যথাযথ; কর্তা–কর্ম–ক্রিয়ার অবস্থান ঠিকভাবে আছে। যেমন: "সে" (কর্তা), "কৌতুক করার কৌতূহল" (কর্ম), "সংবরণ করতে পারল না" (ক্রিয়া)।
-
ঘ) বিশেষ্য-বিশেষণের অপপ্রয়োগ ঘটেনি; "কৌতুক করার" বিশেষণটি "কৌতূহল" বিশেষ্যকে সঠিকভাবেই বিশেষিত করছে।

0
Updated: 2 weeks ago
অভিধানে ং, ঃ, ঁ, - এই বর্ণগুলোর অবস্থান কোথায়?
Created: 2 weeks ago
A
স্বরবর্ণের আগে
B
স্বরবর্ণের শেষে
C
ব্যঞ্জনবর্ণের শেষে
D
এদের নির্দিষ্ট অবস্থান নেই
বাংলা একাডেমি অভিধানে বর্ণগুলোর বিন্যাস বিশেষ নিয়ম অনুসরণ করে, যা বাংলা ভাষার ধ্বনিগত বৈশিষ্ট্য এবং ব্যাকরণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই বিন্যাসে হসযুক্ত ব্যঞ্জন, যুক্তব্যঞ্জন, অনুস্বার, বিসর্গ ও চন্দ্রবিন্দু এবং কিছু ব্যঞ্জনের অবস্থান নির্দিষ্টভাবে নির্ধারিত।
• ড় এবং ঢ় - ড়কে ড-এর পরে, ঢ়-কে ঢ-এর পরে বিন্যস্ত করা হয়েছে।
• হসযুক্ত ব্যঞ্জন - হসযুক্ত ব্যঞ্জনকে তার অব্যবহিত পরবর্তী ব্যঞ্জনের সঙ্গে যুক্তব্যঞ্জনরূপে বিবেচনা করা হয়।
• ৎ (= ত্) - স্বরযুক্ত ত-এর পরে এবং ত-এর সঙ্গে যুক্ত ব্যঞ্জনের অব্যবহিত পূর্বে স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
• অন্যান্য হসযুক্ত ব্যঞ্জন - একই নীতি অনুসরণ করা হয়েছে।
• য় - য-এর পরে বিন্যস্ত করা হয়েছে।
• অনুস্বার (ং), বিসর্গ (ঃ) ও চন্দ্রবিন্দু (ঁ) - স্বরবর্ণের পরে এবং ব্যঞ্জনবর্ণের পূর্বে বিন্যাস করা হয়েছে।

0
Updated: 2 weeks ago