'To get rid of one who has served the purpose.' এর বাংলা অনুবাদ কী হবে?
A
কারণ বিনা কার্য হয় না।
B
পরিশ্রমই সৌভাগ্যের মূল বা প্রসূতি।
C
গাইতে গাইতে গায়েন, বাজাতে বাজাতে বায়েন।
D
কাজের সময় কাজি, কাজ ফুরালে পাজি।
উত্তরের বিবরণ
‘To get rid of one who has served the purpose.’ এর বাংলা অনুবাদ হলো কাজের সময় কাজি, কাজ ফুরালে পাজি। এটি বোঝায় যে কেউ কাজ সম্পন্ন করলে তার প্রয়োজন শেষ হয়ে যায় এবং তাকে বাদ দেওয়া হয়।
অন্যদিকে—
-
Practice makes a man perfect — গাইতে গাইতে গায়েন, বাজাতে বাজাতে বায়েন
-
Diligence is the mother of good luck — পরিশ্রমই সৌভাগ্যের মূল বা প্রসূতি
-
No smoke without fire — কারণ বিনা কার্য হয় না

0
Updated: 16 hours ago
'খগ' শব্দের অর্থ কী?
Created: 3 weeks ago
A
আকাশ
B
পাখি
C
উট
D
পর্বত

0
Updated: 3 weeks ago
'অনুরাগ' এর বিপরীতার্থক শব্দ -
Created: 16 hours ago
A
আসক্তি
B
বিতৃষ্ণা
C
স্নেহ
D
প্রতিরাগ
‘অনুরাগ’ এবং ‘বিতৃষ্ণা’ সম্পর্কিত বিস্তারিত বিশ্লেষণ:
অনুরাগ:
-
অর্থ: প্রেম, প্রীতি, স্নেহ, আদর, সোহাগ, যত্ন, প্রবৃত্তি, আসক্তি, অভিমান।
-
ব্যবহার: মানুষের মধ্যে সখ্য বা ভালোবাসার অনুভূতি প্রকাশ করতে ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত ইতিবাচক মানসিক অবস্থা নির্দেশ করে।
-
উদাহরণ: তার প্রতি আমার অনুরাগ সীমাহীন।
বিতৃষ্ণা (বিরাগ):
-
অর্থ: অনুরাগের অভাব, নিস্পৃহতা, উদাসীনতা।
-
ব্যবহার: আগ্রহহীনতা, অমনোযোগ বা বেজায় বিরক্তির অনুভূতি বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত নেতিবাচক বা নিরপেক্ষ মানসিক অবস্থা নির্দেশ করে।
-
উদাহরণ: বহু পরিশ্রমের পরও সে শিক্ষার প্রতি বিতৃষ্ণা প্রকাশ করল।
সম্পর্ক:
-
বিপরীতার্থক শব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
অনুরাগ এবং বিতৃষ্ণা একে অপরের বিপরীত অনুভূতি বোঝায়।

0
Updated: 16 hours ago
'রুখের তেন্তুলি কুমীরে খাই’--এর অর্থ কী?
Created: 3 weeks ago
A
তেজি কুমিরকে রুখে দিই
B
বৃক্ষের শাখায় পাকা তেঁতুল
C
গাছের তেঁতুল কুমিরে খায়
D
ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হয়
চর্যাগীতির মধ্যে কিছু গান কাব্যিক এবং তান্ত্রিক দিক নির্দেশ করে। কুক্কুরীপার রচিত চর্যাগীতি এই ধারার উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। তাঁর রচনাগুলোতে সমাজ, দৈনন্দিন জীবন এবং আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা একসাথে ফুটে ওঠে।
কুক্কুরীপা সম্পর্কিত তথ্য:
-
কুক্কুরীপা চর্যাগীতির তিনটি গান রচয়িতা (২, ২০, ৪৮ নম্বর)।
-
৪৮ সংখ্যক গানের একটি পুথি বর্তমানে লুপ্ত।
-
তিনি উচ্চবংশীয় ছিলেন বলে ধারণা করা হয়; তাঁর চর্যার ভাষা এ কথা নির্দেশ করে।
-
কুক্কুরীপা তান্ত্রিক নাম বা ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন; নামের সঙ্গে 'পা' যুক্ত থাকায় কেউ কেউ এটিকে গুরুপ্রতি শ্রদ্ধাসূচক ছদ্মনাম মনে করেন।
-
তারানাথের মতে, তাঁর সঙ্গে সবসময় একটি কুক্কুরী থাকত, এ থেকেই নামকরণ হয়েছে কুক্কুরীপা।
-
ধারণা করা হয়, তিনি বাংলার উত্তরখণ্ডের অধিবাসী ছিলেন। হিন্দিভাষীরা তাঁকে কপিলাবস্তু বা বুদ্ধের জন্মস্থান নেপালের লোক বলেছেন।
-
সংস্কৃত রচনা ‘মহামায়াসাধন’-এর রচয়িতা হিসেবে কুক্কুরীপার নাম পাওয়া গেছে, যা থেকে বোঝা যায় তিনি মহামায়ার উপাসক ছিলেন।
-
ড. শহীদুল্লাহর মতে, কুক্কুরীপা ৭৪০–৮২০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে জীবিত ছিলেন। ধারণা করা হয়, ৮০৯ খ্রিষ্টাব্দে রাজা ধর্মপালের শাসনামলে তিনি পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছিলেন।
-
তাঁর রচিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে:
-
যোগভাবনাপ্রদেশ
-
স্রবপরিচ্ছদ
-
কুক্কুরীপার চর্যারপদসমূহ (মূল চর্যা ও আধুনিক গদ্যে অনুবাদ):
১. দুলি দুহি পীঢ়া' ধরণ ন জাই। রুখের তেন্তলি কুম্ভীরে খাই'।
-
মাদি কচ্ছপ দোহন করে দুগ্ধ-পাত্রে, দুধ ধরানো গেল না। গাছের তেঁতুল কুমিরে খায়।
২. আঙ্গন ঘরপণ সুন ভো বিআতী। কানেট চোরে নিল অধরাতী। -
ওগো প্রসূতি, ঘরের কাছে আঙিনা। অর্ধরাতে চোর কানপাশা নিয়ে গেল।
৩. সসুরা নিদ গেল বহুড়ী জাগই'। কানেট চোরে নিল কা গই মাগই। -
শ্বশুর নিদ্রা গেল, বধূ রইল জেগে। কানপাশা চোরে নিলে কার কাছে মাগা যায়?
৪. দিবসহি' বহুড়ী কাউহি' ডর' ভাই'। রাতি ভইলে কামরু জাই। -
দিনে বধূ কাকের ভয়ে ভীত হয়। রাত হলে কামরাজ্যে বা কামরূপে যায়।
৫. অইসনী” চর্যা কুকুরীপাত্র গাইল"। কোড়ি মাঝে একু হিঅহি" সমাইল। -
এমন চর্যা কুক্কুরীপা গাইলেন। কোটির মধ্যে একের চিত্তে তা প্রবেশ করল।

0
Updated: 3 weeks ago