'ধুলার মতো যার রং' এর এক কথায় প্রকাশ -
A
তুলট
B
কুবের
C
উল্লুক
D
পাংশুল
উত্তরের বিবরণ
‘পাংশুল’ এবং সম্পর্কিত শব্দগুলোর বিশদ বিশ্লেষণ:
পাংশুল:
-
অর্থ: ধুলার মতো হালকা রঙ, সাধারণত ফর্সা বা মৃদু ধূসর।
-
ব্যবহার: কোনো বস্তুর রঙ বা প্রকৃতির বর্ণনা দিতে ব্যবহৃত হয়।
-
উদাহরণ: সেই পাখিটির পালক ছিল পাংশুল।
উল্লুক:
-
অর্থ: নীলবর্ণের বানর।
-
ব্যবহার: প্রাণিবিদ্যা বা বর্ণনামূলক প্রবন্ধে বিশেষ প্রজাতি নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়।
-
উদাহরণ: বনাঞ্চলে একটি উল্লুক খেলাধুলা করছিল।
কুবের:
-
অর্থ: ধনের দেবতা।
-
ব্যবহার: পুরাণ, উপাখ্যান বা সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে ধন, সম্পদ বা সমৃদ্ধি নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়।
-
উদাহরণ: তিনি ধন-সম্পদের জন্য কুবের এর আশীর্বাদ প্রার্থনা করলেন।
তুলট:
-
অর্থ: তুলা থেকে তৈরি।
-
ব্যবহার: বস্ত্রশিল্প বা দৈনন্দিন জীবনে তুলা ভিত্তিক বস্তু নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়।
-
উদাহরণ: গরমের জন্য তুলট কাপড় ব্যবহার করা ভালো।

0
Updated: 16 hours ago
নিচের কোনটিতে বিরামচিহ্ন যথাযথভাবে ব্যবহৃত হয়নি?
Created: 2 months ago
A
ডিসেম্বর ১৬, ১৯৭১
B
২৬ মার্চ, ১৯৭১
C
ঢাকা, ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২
D
পয়লা বৈশাখ, চৌদ্দশো সাত
- যতিচিহ্নের অশুদ্ধ প্রয়োগ ঘটেছে ‘ঢাকা, ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২’ বাক্যে।
• বাক্যটির শুদ্ধরূপ হবে- ঢাকা, ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২।
------------------------
• যতিচিহ্ন:
মুখের কথা লিখিত রূপ দেওয়ার সময় কম-বেশি থামা বোঝাতে যতিচিহ্ন ব্যবহৃত হয়। বক্তব্যকে স্পষ্ট করতেও যতিচিহ্ন ব্যবহৃত হয়।যতিচিহ্নকে বিরামচিহ্ন বা বিরতি চিহ্নও বলা হয়।
• কমা:
- কমা সামান্য বিরতি নির্দেশ করে। কমা পূর্ণযতি নয়, তাই কমা দিয়ে কোনো বাক্য শেষ হয় না। কমা চিহ্নের বাংলা নাম পাদচ্ছেদ।
- শব্দ, বর্গ ও অধীন বাক্যকে আলাদা করতে কমার ব্যবহার হয়।
• সম্বোধন পদের পরে সাধারণত কমা বসে।
যেমন:
- স্যার, আমাকে ব্যাপারটি বুঝিয়ে দেবেন?
- রব, এদিকে এসো।
• বাক্যে একাধিক বিশেষ্য কিংবা বিশেষণ পদের বিবৃতি প্রকাশের ক্ষেত্রে কমা বসাতে হয়।
যেমন:
- জনি বুদ্ধিমান, সাহসী ও জ্ঞানী।
- মীম, সানি, হারুন ও রব কক্সবাজার গিয়েছে।
• তারিখ লিখতে বার ও মাসের পরে ‘কমা’ বসে।
যেমন:
- ১৯শে আশ্বিন, বৃহস্পতিবার, ১৪২৫ সালে মীম বান্দরবান জেলায় জন্মগ্রহণ করে।
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ এবং বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)।

0
Updated: 2 months ago
‘কমা’ কোথায় বসে?
Created: 16 hours ago
A
কোন অপূর্ণ বাক্যের জন্যv
B
সম্বোধন পদের পরে
C
প্রশ্ন বোঝানোর জন্য
D
বাক্যের মাঝে কোন পদ ব্যাখ্যা করার জন্য
কমা বা পাদচ্ছেদ চিহ্ন (,) অল্পক্ষণ বিরামের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি এমন এক চিহ্ন, যেখানে উচ্চারণের সময় ‘এক’ গণনার সমান সময় বিরতি নিতে হয়। লেখায় স্বল্প বিরাম বা ভাবের সামান্য বিভাজন বোঝাতে এর ব্যবহার করা হয়। নিচে এর কিছু সাধারণ প্রয়োগ দেওয়া হলো—
-
বাক্য পাঠকালে সুস্পষ্টতা বা অর্থ-বিভাগ বোঝানোর জন্য, যেখানে স্বল্প বিরতির প্রয়োজন হয় সেখানে কমা ব্যবহৃত হয়।
যেমন— সুখ চাও, সুখ পাবে পরিশ্রমে। -
পরস্পর সম্পর্কযুক্ত একাধিক বিশেষ্য বা বিশেষণ একসঙ্গে বসলে, শেষ পদটি ছাড়া বাকি সবগুলোর পরে কমা বসানো হয়।
যেমন— সুখ, দুঃখ, আশা, নৈরাশ্য একই মালিকার পুষ্প। -
সম্বোধনের পরে কমা ব্যবহার করা হয়।
যেমন— রশিদ, এদিকে এসো।

0
Updated: 16 hours ago
বিবৃত স্বরধ্বনি বলতে বোঝায় -
Created: 2 weeks ago
A
যে স্বরধ্বনি উচ্চারণে ঠোঁট বেশি খোলে
B
যে স্বরধ্বনি উচ্চারণে জিভ উঁচু হয়
C
যে স্বরধ্বনি অবিকৃতভাবে উচ্চারিত হয়
D
যে স্বরধ্বনি উচ্চারণে বিকৃতি ঘটে
বিবৃত স্বরধ্বনি হলো এমন স্বরধ্বনি যাকে উচ্চারণ করার সময় ঠোঁট বেশি খোলে। স্বরধ্বনির উচ্চারণের সময় ঠোঁট কতটা খোলা বা বন্ধ থাকে, তার ভিত্তিতে স্বরধ্বনিকে চার ভাগে ভাগ করা যায়:
-
সংবৃত: [ই], [উ] – উচ্চারণের সময় ঠোঁট কম খোলা থাকে।
-
অর্ধ-সংবৃত: [এ], [ও] – মাঝারি খোলা ঠোঁটের স্বরধ্বনি।
-
অর্ধ-বিবৃত: [অ্যা], [অ] – তুলনামূলক বেশি খোলা ঠোঁট।
-
বিবৃত: [আ] – উচ্চারণের সময় ঠোঁট সবচেয়ে বেশি খোলা থাকে।
উচ্চারণের সময়ে জিভের অবস্থান অনুযায়ীও স্বরধ্বনি চার ভাগে বিভক্ত:
-
উচ্চ স্বরধ্বনি: [ই], [উ] – জিভ উপরে থাকে।
-
উচ্চ-মধ্য স্বরধ্বনি: [এ], [ও] – জিভ মাঝারি অবস্থানে থাকে।
-
নিম্ন-মধ্য স্বরধ্বনি: [অ্যা], [অ] – জিভ কিছুটা নিচে থাকে।
-
নিম্ন স্বরধ্বনি: [আ] – জিভ নিচে থাকে।
উচ্চ স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় জিভ উপরে ওঠে এবং নিম্ন স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় জিভ নিচে নামে।

0
Updated: 2 weeks ago