দিক বা স্থান বা সময় নির্দেশের ক্ষেত্রে কোন চিহ্ন বসে?
A
সেমিকোলন
B
হাইফেন
C
কোলন
D
ড্যাস
উত্তরের বিবরণ
হাইফেন বা সংযোগ চিহ্ন (-) সবসময় দুই বা ততোধিক শব্দের মধ্যে ব্যবহৃত হয়। বাংলা লেখায় এর ব্যবহার ভাষার অর্থ ও গঠন স্পষ্ট করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এর ব্যবহারিক দৃষ্টান্তগুলো হলো—
-
সমাসবদ্ধ পদের অংশগুলো আলাদা করে দেখানোর জন্য হাইফেন ব্যবহৃত হয়।
যেমন— হাট-বাজার, সাত-পাঁচ। -
একই শব্দ পরপর দুবার ব্যবহৃত হলে, তাদের মাঝে হাইফেন বসে।
যেমন— চলতে-চলতে কোথায় চলে যায়। যেতে-যেতে হয়রান হয়ে পড়েছি। -
দিক, স্থান বা সময় নির্দেশের ক্ষেত্রে হাইফেন ব্যবহৃত হয়।
যেমন— উত্তর-পশ্চিম কোণে মেঘ জমেছে। -
কিছু নির্দিষ্ট উপসর্গের পরে হাইফেন বসে।
যেমন— অ-তৎসম, কু-অভ্যাস, বে-আঙ্কেল।

0
Updated: 16 hours ago
সূর্য- এর প্রতিশব্দ নয় কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
আদিত্য
B
ভাস্কর
C
অরুণ
D
শশাঙ্ক
‘সূর্য’ শব্দের প্রতিশব্দের মধ্যে রয়েছে রবি, সবিতা, দিবাকর, আদিত্য এবং অন্যান্য সমার্থক শব্দ। এটি সূর্যের বিভিন্ন রূপ বা প্রসঙ্গে ব্যবহার করা যায়।
-
সূর্য = রবি, সবিতা, দিবাকর, আদিত্য, দিনমনি, দিননাথ, দিবাবসু, অর্ক, ভানু, তপন, ভাস্কর, মার্তণ্ড, অংশু, প্রভাকর, কিরণমালী, অরুণ, মিহির, দিনপতি ইত্যাদি
অন্যান্য:
-
শশাঙ্ক = চাঁদ
উৎস:

0
Updated: 2 weeks ago
কোনটি বাক্যের বৈশিষ্ট্য নয়?
Created: 1 month ago
A
যোগ্যতা
B
আকাঙ্ক্ষা
C
আসক্তি
D
আসত্তি
• আদর্শ সার্থক বাক্যের বৈশিষ্ট্য নয়- আসক্তি।
ভাষার বিচারে একটি আদর্শ সার্থক বাক্যে ৩টি গুণ থাকা আবশ্যক।
যথা-
১. আকাঙ্ক্ষা,
২. আসত্তি এবং
৩. যোগ্যতা।
• আকাঙ্ক্ষা:
বাক্যের অর্থ স্পষ্টকরণে এক পদের পর অন্য পদ শোনার যে ইচ্ছা বা প্রয়াস তাকে আকাঙ্ক্ষা বলে।
উদাহরণ- কাজল নিয়মিত লেখাপড়া।
- উপরের বাক্যটি অসম্পূর্ণ। অর্থাৎ বাক্যে আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয়নি।
- বাক্যটিকে এভাবে পরিপূর্ণ করা যায়- কাজল নিয়মিত লেখাপড়া করে।
• আসত্তি:
- বাক্যের অর্থসঙ্গতি রক্ষায় সুনির্দিষ্ট পদবিন্যাসই হলো আসত্তি।
উদাহরণ: নিয়মিত করে হাসান লেখাপড়া।
- বাক্যটির পদগুলো সন্নিবেশ না হওয়ায় অন্তর্নিহিত ভাব প্রকাশ হয়নি। তাই এটি আদর্শ বাক্য নয়।
- পরিপূর্ণ বাক্য গঠনে বাক্যের পদ্গুলো সাজাতে হবে- হাসান নিয়মিত লেখাপড়া করে।
• যোগ্যতা:
- বাক্যের অন্তর্গত পদসমূহের বিশ্বাসযোগ্য ভাবসম্মিলনের নাম হল যোগ্যতা।
উদাহরণ: বর্ষার রৌদ্র প্লাবনের সৃষ্টি করে।
- বাক্যটি ভাব প্রকাশের যোগ্যতা হারিয়েছে। কেননা রোদ কখনো প্লাবন সৃষ্টি করতে পারে না।
- তাই যোগ্যতাসম্পন্ন বাক্যটি হবে- ‘বর্ষার বৃষ্টি প্লাবনের সৃষ্টি করে’।
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ।

0
Updated: 1 month ago
সাধুভাষা’ পরিভাষাটি প্রথম ব্যবহার করেন–
Created: 1 month ago
A
রাজা মনি মোহন রায়
B
ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর
C
রাজা রামমোহন রায়
D
অক্ষয় কুমার দত্ত
‘সাধুভাষা’ পরিভাষাটি প্রথম ব্যবহার করেন রাজা রামমোহন রায়। বাংলার আদি গদ্যরূপকে তিনি ‘সাধুভাষা’ নামে আখ্যায়িত করেছিলেন। এই সাধুভাষা পরবর্তীকালে দীর্ঘদিন বাংলার গদ্যের প্রধান রূপ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

0
Updated: 1 month ago