A
ইউরাসিল
B
গোয়ানিন
C
পিরিডক্সিন
D
অ্যাসপারাজিন
উত্তরের বিবরণ
ডিএনএ (DNA)
-
Deoxyribo Nucleic Acid (DNA) হলো ক্রোমোসোমের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও স্থায়ী উপাদান।
-
ক্রোমোসোমে থাকা বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে DNA প্রায় ৪৫% অংশ জুড়ে থাকে।
-
এটি ৯০% ক্রোমোসোমে বিদ্যমান থাকে, যা তার বিস্তৃত উপস্থিতিকে নির্দেশ করে।
-
DNA একটি পলিমারিক যৌগ, যার গঠনের একক একককে নিউক্লিয়োটাইড বলা হয়।
-
প্রতিটি নিউক্লিয়োটাইড গঠিত তিনটি মূল অংশ নিয়ে:
-
পাঁচ-কার্বনবিশিষ্ট ডিঅক্সিরাইবোজ চিনির অণু,
-
নাইট্রোজেনযুক্ত একটি ক্ষারক (যথা: অ্যাডেনিন, গুয়ানিন, থায়ামিন, সাইটোসিন),
-
এবং একটি ফসফরিক অ্যাসিড।
-
আরএনএ (RNA)
-
RNA এর পূর্ণরূপ হলো Ribo Nucleic Acid।
-
এটি DNA এর মতো স্থায়ী উপাদান নয়, বরং সাময়িকভাবে কার্য সম্পাদনে অংশগ্রহণ করে।
-
ক্রোমোসোমে RNA এর পরিমাণ তুলনামূলকভাবে অনেক কম, যা ০.২% থেকে ১.৪% পর্যন্ত হয়ে থাকে।
-
প্রতিটি RNA অণু একসূত্র বিশিষ্ট (single-stranded)।
-
এর গঠন উপাদান তিনটি:
-
রাইবোজ শর্করা, যার ২ নম্বর কার্বনে একটি অক্সিজেন অণু উপস্থিত থাকে,
-
একটি অজৈব ফসফেট,
-
এবং নাইট্রোজেনযুক্ত ক্ষারক (যেমন: অ্যাডেনিন, গুয়ানিন, সাইটোসিন ও ইউরাসিল)।
-
-
RNA-তে থায়ামিন অনুপস্থিত; তার পরিবর্তে ইউরাসিল ক্ষারক থাকে।
-
এটি সাধারণত ১০% ক্রোমোসোমে পাওয়া যায়।
-
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, ভাইরাসের ক্ষেত্রে RNA অনেক সময় স্থায়ী জিনগত উপাদান হিসেবে কাজ করে।
তথ্যসূত্র: জীববিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago
কোন ইঞ্জিনে কার্বুরেটর থাকে?
Created: 1 week ago
A
পেট্রোল ইঞ্জিনে
B
ডিজেল ইঞ্জিনে
C
রকেট ইঞ্জিনে
D
বিমান ইঞ্জিনে
মোটরগাড়ির ইঞ্জিনে যেখানে বায়ু এবং পেট্রোলের সঠিক অনুপাতে মিশ্রণ তৈরির কাজ হয়, সেই অংশটিকে কার্বুরেটর বলা হয়। এই মিশ্রিত বায়ু-পেট্রোল কম্বো দহন কক্ষে পাঠানো হয় যাতে ইঞ্জিনের ভিতরে সমন্বিত ও সুষ্ঠুভাবে জ্বালানি জ্বালাতে পারে।
সকল ধরণের ইঞ্জিনেই কার্বুরেটর থাকে না, বিশেষ করে পেট্রোল চালিত ইঞ্জিনে তিনটি কার্বুরেটর ব্যবহৃত হয়।
কার্বুরেটর স্পার্ক ইগনিশন ইঞ্জিনের জন্য বায়ু এবং জ্বালানির এমন এক মিশ্রণ তৈরি করে যা সহজেই দহনযোগ্য। এছাড়াও এটি গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের কাজও করে থাকে। পেট্রোলকে সূক্ষ্ম কণা হিসেবে রূপান্তরিত করে বাতাসের সঙ্গে মিশিয়ে দেয়, যাতে ইঞ্জিনে জ্বালানি নির্বিঘ্নে এবং কার্যকরভাবে জ্বলে।
উৎস: ব্রিটানিকা বিশ্বকোষ।

0
Updated: 1 week ago
গাছের খাদ্য তালিকায় আছে-
Created: 1 week ago
A
N, P, K, S ও Zn
B
Na, P, K, S ও Zn
C
N, B, K, S ও Al
D
N, P, K, S ও Al
গাছের খাদ্য তালিকায় আছে- N, P, K, S ও Zn.
গাছের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানসমূহ
উদ্ভিদের পুষ্টির তালিকায় গুরুত্বপূর্ণভাবে উপস্থিত থাকে—নাইট্রোজেন (N), ফসফরাস (P), পটাশিয়াম (K), সালফার (S), এবং জিঙ্ক (Zn)।
অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদান
উদ্ভিদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি, শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া এবং প্রজননের জন্য যেসব উপাদান অপরিহার্য, সেগুলোর মোট সংখ্যা ১৬টি। এদেরকে সম্মিলিতভাবে "অত্যাবশ্যকীয় উপাদান" বলা হয়।
উপাদানগুলোর প্রয়োজনের পরিমাণ অনুসারে এদের দুই শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে:
১। ম্যাক্রো উপাদান (Macro Nutrients):
এই শ্রেণির উপাদানগুলো গাছের শরীরে অপেক্ষাকৃত বেশি পরিমাণে প্রয়োজন হয়। মোট ১০টি উপাদান এই দলে অন্তর্ভুক্ত। এগুলো হলো—
-
নাইট্রোজেন (N)
-
ফসফরাস (P)
-
পটাশিয়াম (K)
-
ক্যালসিয়াম (Ca)
-
ম্যাগনেসিয়াম (Mg)
-
সালফার (S)
-
কার্বন (C)
-
হাইড্রোজেন (H)
-
অক্সিজেন (O)
-
লৌহ বা আয়রন (Fe)
নাইট্রোজেন (N)
ফসফরাস (P)
পটাশিয়াম (K)
ক্যালসিয়াম (Ca)
ম্যাগনেসিয়াম (Mg)
সালফার (S)
কার্বন (C)
হাইড্রোজেন (H)
অক্সিজেন (O)
লৌহ বা আয়রন (Fe)
২। মাইক্রো উপাদান (Micro Nutrients):
এই উপাদানগুলো উদ্ভিদের জন্য প্রয়োজন খুবই কম পরিমাণে, তবে তা অপরিহার্য। মোট ৬টি উপাদান এই দলে রয়েছে:
-
জিঙ্ক বা দস্তা (Zn)
-
ম্যাঙ্গানিজ (Mn)
-
মোলিবডেনাম (Mo)
-
বোরন (B)
-
তামা বা কপার (Cu)
-
ক্লোরিন (Cl)
উৎস: নবম-দশম শ্রেণির জীববিজ্ঞান বই
জিঙ্ক বা দস্তা (Zn)
ম্যাঙ্গানিজ (Mn)
মোলিবডেনাম (Mo)
বোরন (B)
তামা বা কপার (Cu)
ক্লোরিন (Cl)

0
Updated: 1 week ago
মানুষের গায়ের রং কোন উপাদানের উপর নির্ভর করে?
Created: 1 week ago
A
মেলানিন
B
থায়ামিন
C
ক্যারোটিন
D
হিমোগ্লোবিন
মানবদেহের ত্বকে থাকা বিশেষ ধরনের কোষ, যাদের বলা হয় মেলানোসাইট, তারা মেলানিন নামের এক ধরনের রঞ্জক উৎপন্ন করে। এই মেলানিনের পরিমাণ ও বিস্তারের উপরই মানুষের গায়ের রঙ গাঢ় বা ফর্সা হয়।
অন্যদিকে, মস্তিষ্কে অবস্থিত পিনিয়াল গ্রন্থি মেলাটোনিন নামক একটি হরমোন নিঃসরণ করে, যা ঘুম ও জাগরণের সময়চক্র নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
যখন মেলানিন একেবারেই অনুপস্থিত থাকে, তখন ত্বকে কোনো রঙ থাকে না — ত্বক সাদাটে হয়ে যায়। এই অবস্থাকেই বিজ্ঞানের ভাষায় অ্যালবিনিজম বলা হয়, যা একটি বংশগত বৈশিষ্ট্যজনিত অবস্থা।
উৎস: প্রাণিবিজ্ঞান (একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি), ব্রিটানিকা ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 week ago