পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন?
A
চন্দ্রপাল
B
ধর্মপাল
C
সমুদ্রপাল
D
গোপাল
উত্তরের বিবরণ
গোপাল প্রতিষ্ঠিত রাজবংশের নাম হলো পাল বংশ, যা বাংলার উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হয়। গোপালের পিতার নাম বপ্যট, এবং পিতামহ ছিলেন দয়িতবিষ্ণু। গোপালের সিংহাসনে আরোহণের মধ্য দিয়ে পাল রাজত্বের সূচনা হয় এবং তার শাসনকালে রাজ্য বিস্তার লাভ করে।
-
রাজবংশের স্থায়িত্ব: পাল বংশের রাজারা প্রায় চারশ বছর শাসন করেছেন
-
গোপালের শাসন: গোপাল সিংহাসনে আরোহণের পর রাজ্য বিস্তারে মনোযোগ দেন এবং বাংলার উত্তর ও পশ্চিমের বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে রাজ্যভুক্ত করেন
-
শাসনকাল: ইতিহাস গবেষকরা ধারণা করেন, গোপাল ৭৫০ থেকে ৭৮১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত শাসন করেন

0
Updated: 17 hours ago
পাহাড়পুরের 'সোমপুর মহাবিহার' বাংলার কোন শাসন আমলের স্থাপত্য কীর্তির নিদর্শন?
Created: 2 months ago
A
মৌর্য
B
পাল
C
গুপ্ত
D
চন্দ্র
নওগাঁ জেলার পাহাড়পুরে অবস্থিত সোমপুর মহাবিহার অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকের শুরুর দিকে পাল রাজবংশের শাসনামলে স্থাপিত হয়।
-
এটি বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলায় অবস্থিত প্রাচীন বাংলার একটি বৌদ্ধ বিহার।
-
পাহাড়পুরের উৎখননকৃত বিহার কমপ্লেক্সকেই সোমপুর মহাবিহার বলা হয়।
-
পাল বংশের দ্বিতীয় রাজা ধর্মপাল (৭৮১-৮২১ খ্রিঃ) এই বিহার স্থাপন করেন বলে ধারণা করা হয়।
-
ধর্মপালের অসমাপ্ত কাজ তাঁর উত্তরসূরি দেবপালের শাসনামলে সম্পন্ন হয়।
-
বিহারের ধ্বংসাবশেষ থেকে পাওয়া মাটির সিলে উৎকীর্ণ রয়েছে: ‘শ্রী-সোমপুরে-শ্রী-ধর্মপালদেব-মহাবিহারিয়ার্য-ভিক্ষু-সংঘস্য’।
-
পাহাড়পুরকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বৌদ্ধবিহার বলা হয়। আয়তনে ভারতের নালন্দা মহাবিহারের সঙ্গে এর তুলনা হয়।
-
এটি প্রায় ৩০০ বছর ধরে বৌদ্ধদের অন্যতম ধর্মচর্চা কেন্দ্র ছিল।
-
খ্রিষ্টীয় দশম শতকে বিহারের আচার্য ছিলেন অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান।
-
১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এটি আবিষ্কার করেন।
-
১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো সোমপুর মহাবিহারকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা দেয়।

0
Updated: 2 months ago