বাদুড় অন্ধকারে চলাফেরা করে কিভাবে?
A
তীক্ষ্ণ দৃষ্টিসম্পন্ন চোখের সাহায্যে
B
ক্রমাগত শব্দ উৎপন্নের মাধ্যমে অবস্থান নির্ণয় করে
C
সৃষ্ট শব্দের প্রতিধ্বনি শুনে
D
অলৌকিকভাবে
উত্তরের বিবরণ
বাদুড় চলাচলের জন্য বিশেষ এক ধরণের শব্দতরঙ্গ ব্যবহার করে, যাকে বলে উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দোত্তর তরঙ্গ। এই তরঙ্গ কোনো বস্তুর সঙ্গে প্রতিফলিত হয়ে ফিরে এলে তার প্রতিধ্বনি শনাক্ত করে বাদুড় তার চারপাশের পথ নির্ধারণ করে।
তবে মানুষের শ্রবণক্ষমতার সীমার বাইরে হওয়ায় আমরা এই প্রতিধ্বনির শব্দ শুনতে পারি না। কারণ, বাদুড় যেসব শব্দ উৎপন্ন করে সেগুলো আলট্রাসনিক শ্রেণিভুক্ত, যা সাধারণত ২০,০০০ হার্জ বা তার বেশি কম্পাঙ্কে হয়ে থাকে।
গবেষণায় দেখা যায়, বাদুড় প্রায় ১০০ কিলোহার্জ পর্যন্ত কম্পাঙ্কের শব্দ তৈরি করতে সক্ষম। অন্ধকারে নেভিগেশনের জন্য এই আলট্রাসনিক শব্দই তাদের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান (নবম-দশম শ্রেণি) এবং বিজ্ঞান (অষ্টম শ্রেণি) পাঠ্যবই।

0
Updated: 1 month ago
কোন ইঞ্জিনে কার্বুরেটর থাকে?
Created: 1 month ago
A
পেট্রোল ইঞ্জিনে
B
ডিজেল ইঞ্জিনে
C
রকেট ইঞ্জিনে
D
বিমান ইঞ্জিনে
মোটরগাড়ির ইঞ্জিনে যেখানে বায়ু এবং পেট্রোলের সঠিক অনুপাতে মিশ্রণ তৈরির কাজ হয়, সেই অংশটিকে কার্বুরেটর বলা হয়। এই মিশ্রিত বায়ু-পেট্রোল কম্বো দহন কক্ষে পাঠানো হয় যাতে ইঞ্জিনের ভিতরে সমন্বিত ও সুষ্ঠুভাবে জ্বালানি জ্বালাতে পারে।
সকল ধরণের ইঞ্জিনেই কার্বুরেটর থাকে না, বিশেষ করে পেট্রোল চালিত ইঞ্জিনে তিনটি কার্বুরেটর ব্যবহৃত হয়।
কার্বুরেটর স্পার্ক ইগনিশন ইঞ্জিনের জন্য বায়ু এবং জ্বালানির এমন এক মিশ্রণ তৈরি করে যা সহজেই দহনযোগ্য। এছাড়াও এটি গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের কাজও করে থাকে। পেট্রোলকে সূক্ষ্ম কণা হিসেবে রূপান্তরিত করে বাতাসের সঙ্গে মিশিয়ে দেয়, যাতে ইঞ্জিনে জ্বালানি নির্বিঘ্নে এবং কার্যকরভাবে জ্বলে।
উৎস: ব্রিটানিকা বিশ্বকোষ।

0
Updated: 1 month ago
এপিকালচার বলতে বুঝায়-
Created: 1 month ago
A
রেশমের চাষ
B
মৎস্য চাষ
C
মৌমাছির চাষ
D
পাখিপালন বিদ্যা
এপিকালচার (Apiculture)
এপিকালচার হলো মৌমাছি পালন এবং তাদের থেকে মধু সংগ্রহ করার বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি। বর্তমানে, কৃত্রিম বা আধুনিক পদ্ধতিতে মৌমাছি পালন করার প্রচলন বাড়ছে।
আধুনিক চাষের বিভিন্ন শাখা
-
উদ্যানচাষ – উদ্ভিদ ও বাগান সংক্রান্ত চাষকে বলা হয় হর্টিকালচার।
-
পাখি পালন – পাখি বা মুরগি পালনের বিজ্ঞানকে বলা হয় এভিকালচার।
-
মৌমাছি পালন – মৌমাছি ও মধু সংগ্রহের বিজ্ঞানকে বলা হয় এপিকালচার।
-
সামুদ্রিক মাছ চাষ – সমুদ্র ও খোলা জলে মাছ পালনের বিজ্ঞানকে বলা হয় মেরিকালচার।
-
মৎস্যচাষ – স্বাভাবিক বা জলাশয়ে মাছ চাষকে বলা হয় পিসিকালচার।
-
রেশমচাষ – উলকেঁচু বা সিল্ক উৎপাদনের জন্য রেশমকীট পালনকে বলা হয় সেরিকালচার।
-
চিংড়ি চাষ – চিংড়ি উৎপাদনের বিজ্ঞানকে বলা হয় প্রণকালচার।
উৎস: কৃষিশিক্ষা প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
অপটিক্যাল ফাইবার (Optical fibre) হচ্ছে-
Created: 1 month ago
A
খুব সরু এবং নমনীয় কাচ তন্তুর আলোক নল
B
খুব সূক্ষ্ম সুপরিবাহী তামার তার তন্তু নল
C
খুব সরু এসবেস্টোস ফাইবার নল
D
সূক্ষ্ম প্লাস্টিক ঘটিত নল
অপটিক্যাল ফাইবার:
-
অপটিক্যাল ফাইবার হলো একটি খুব পাতলা ও নমনীয় কাঁচের নল।
-
এটি আলোর রশ্মি বহনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
যখন আলোর রশ্মি ফাইবারের মধ্যে প্রবেশ করে, তখন এটি বারবার ফাইবারের দেয়ালে প্রতিফলিত হয়।
-
এই প্রতিফলন চলতে থাকে যতক্ষণ না আলোর রশ্মি ফাইবারের শেষ প্রান্ত দিয়ে বের হয়।
-
চিকিৎসকরা মানুষের শরীরের ভিতরের অংশ যেমন পাকস্থলী বা কোলন দেখার জন্য যে আলোক নল ব্যবহার করেন, তা অনেকগুলো অপটিক্যাল ফাইবারের সমন্বয়ে তৈরি।
-
এছাড়া, টেলিযোগাযোগেও অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহৃত হয়।
-
এর সাহায্যে একই সাথে অনেকগুলো তথ্য সংকেত পাঠানো যায় এবং সংকেত যতদূরই পাঠানো হোক না কেন, শক্তি কমে না।
উৎস: বিজ্ঞান, অষ্টম শ্রেণি।

0
Updated: 1 month ago