মানুষের হৃৎপিণ্ডে কতটি প্রকোষ্ঠ থাকে?
A
দুইটি
B
চারটি
C
ছয়টি
D
আটটি
উত্তরের বিবরণ
হৃৎপিণ্ড
-
হৃৎপিণ্ড রক্ত সঞ্চালনের একটি পাম্প হিসেবে কাজ করে, যা রক্তবাহক ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।
-
এটি ক্রমাগত সংকোচন এবং প্রসারণের মাধ্যমে দেহের বিভিন্ন অংশে রক্ত প্রবাহিত করে।
-
মানুষের হৃৎপিণ্ড বক্ষগহ্বরের মধ্যে অবস্থিত, ফুসফুসের মাঝে এবং মধ্যচ্ছদার উপরে।
-
হৃৎপিণ্ডের প্রশস্ত অংশটি উপরের দিকে থাকে এবং নীচে অংশটি তির্যক বা ছুরির মতো আকৃতির।
-
এটি একটি দ্বিস্তরীয় পেরিকার্ডিয়াম নামক আবরণের দ্বারা আবৃত, যার স্তরগুলোর মধ্যে পেরিকার্ডিয়াল ফ্লুইড থাকে, যা সংকোচনের সময় ঘর্ষণ কমাতে সাহায্য করে।
-
মানুষের হৃৎপিণ্ড চারটি কক্ষ নিয়ে গঠিত।
-
উপরের দুটি কক্ষকে ডান এবং বাম অলিন্দ (Atrium) বলা হয়, এবং নিচের দুটি কক্ষকে ডান ও বাম নিলয় (Ventricles) বলা হয়।
-
অলিন্দের প্রাচীর তুলনামূলক পাতলা হলেও, নিলয় দুটির প্রাচীর পুরু ও পেশিসমৃদ্ধ।
-
ডান অলিন্দে দুটি প্রধান শিরা যুক্ত — একটি ঊর্ধ্ব মহাশিরা (Superior Vena Cava) এবং একটি নিম্ন মহাশিরা (Inferior Vena Cava)।
-
বাম নিলয়ের সাথে চারটি পালমোনারি শিরা সংযুক্ত থাকে।
-
ফুসফুসীয় ধমনি ডান নিলয় থেকে এবং মহাধমনি (Aorta) বাম নিলয় থেকে উৎপন্ন হয়।
উৎস: বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 month ago
আইসোটোপের ক্ষেত্রে কোনটি সঠিক?
Created: 1 month ago
A
ভর সংখ্যা সমান থাকে
B
নিউট্রন সংখ্যা সমান থাকে
C
প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যা সমান থাকে
D
প্রোটন সংখ্যা সমান থাকে
যেসব পরমাণুর প্রোটনের সংখ্যা (পারমাণবিক সংখ্যা) এক হলেও ভর সংখ্যা আলাদা হয়, সেগুলোকে একে অপরের আইসোটোপ বলা হয়।
-
যেসব পরমাণুর ভর সংখ্যা একই থাকে কিন্তু প্রোটনের সংখ্যা ভিন্ন হয়, সেগুলোকে একে অপরের আইসোবার বলা হয়।
-
যেসব পরমাণুর নিউট্রনের সংখ্যা সমান থাকে, অথচ প্রোটন সংখ্যা ও ভর সংখ্যা আলাদা হয়, সেগুলোকে একে অপরের আইসোটোন বলা হয়।
সহজভাবে বললে,
-
প্রোটন সমান → আইসোটোপ
-
ভর সংখ্যা সমান → আইসোবার
-
নিউট্রন সমান → আইসোটোন
উৎস: রসায়ন বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 month ago
কোন আলোক তরঙ্গ মানব চোখে দেখতে পাওয়া যায়?
Created: 1 month ago
A
১০ থেকে ৪০০ নেমি (nm)
B
৪০০ থেকে ৭০০ নেমি (nm)
C
১০০ মাইক্রোমিটার (um) থেকে ১ মি(m)
D
১ মি(m) - এর ঊধবে
আলো হলো একটি বিদ্যুৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ।
-
আমরা সব ধরনের আলো দেখতে পাই না।
-
যে আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য ৪০০ ন্যানোমিটার থেকে ৭০০ ন্যানোমিটার পর্যন্ত, সেই আলোই আমরা দেখতে পাই।
-
ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো বেগুনি রঙের হয়। তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত বাড়ে, আলো তার রঙ পরিবর্তন করে।
-
এই ধরনের আলোকে আমরা দৃশ্যমান আলো বা আই-লাইট বলি।
-
আলোর তরঙ্গ একটি অনুপ্রস্থ তরঙ্গ।
বিভিন্ন বিদ্যুৎ-চুম্বকীয় বিকিরণের তরঙ্গদৈর্ঘ্য (nm = 10⁻⁹ m):
-
মহাজাগতিক রশ্মি: <0.00005 nm
-
গামা রশ্মি: 0.0005 – 0.15 nm
-
এক্স-রে (রঞ্জন রশ্মি): 0.01 – 10 nm
-
অতিবেগুনি রশ্মি: <380 nm
-
দৃশ্যমান আলো: 400 – 700 nm
-
ইনফ্রারেড (অবলোহিত) আলো: >700 nm
-
রেডিও ও টেলিভিশন তরঙ্গ: >2.2 × 10⁵ nm
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর চূড়ান্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, ভাসমান জনসংখ্যার দিক দিয়ে সর্বনিম্ন অবস্থানে আছে কোন বিভাগ?
Created: 3 weeks ago
A
ময়মনসিংহ
B
রংপুর
C
সিলেট
D
খুলনা
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২
-
বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা: ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন।
-
সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ জেলা: ঢাকা (প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১০,০৬৭ জন)।
-
সবচেয়ে কম ঘনবসতিপূর্ণ জেলা: রাঙ্গামাটি (প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১০৬ জন)।
-
সবচেয়ে বেশি মানুষ বাস করে: ঢাকা বিভাগে (৪,৫৬,৪৪,৫৮৬ জন)।
-
সবচেয়ে কম মানুষ বাস করে: বরিশাল বিভাগে (৯৩,২৫,৮২০ জন)।
-
জনসংখ্যার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি: ঢাকা বিভাগে (২,১৫৬ জন প্রতি বর্গ কিলোমিটার)।
-
জনসংখ্যার ঘনত্ব সবচেয়ে কম: বরিশাল বিভাগে (৬৮৮ জন প্রতি বর্গ কিলোমিটার)।
-
সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা রয়েছে: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে (৫৯,৯০,৭২৩ জন)।
-
সবচেয়ে কম জনসংখ্যা রয়েছে: বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে (৭,০৮,৫৭০ জন)।
-
জনসংখ্যার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি: ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে (প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৩৯,৪০৬ জন)।
-
জনসংখ্যার ঘনত্ব সবচেয়ে কম: রংপুর সিটি কর্পোরেশনে (প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৩,৪৪৫ জন)।
-
ভাসমান জনসংখ্যার দিক দিয়ে শীর্ষে: ঢাকা বিভাগ।
-
ভাসমান জনসংখ্যার দিক দিয়ে সর্বনিম্ন অবস্থানে: ময়মনসিংহ বিভাগ।
📌 তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ওয়েবসাইট

0
Updated: 3 weeks ago