বিলিরুবিন তৈরি হয়-
A
পিত্তথলিতে
B
কিডনীতে
C
প্লীহায়
D
যকৃতে
উত্তরের বিবরণ
বিলিরুবিন একটি হলুদ বর্ণের বর্জ্য পদার্থ, যা মূলত যকৃত ও অস্থিমজ্জায় তৈরি হয় এবং পরবর্তীতে প্লীহাতে সঞ্চিত থাকে।
-
প্লীহা, যা যকৃতের অংশ হিসেবে বিবেচিত, বিলিরুবিন উৎপাদনের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র এবং এটি পরবর্তীতে যকৃতে স্থানান্তরিত হয়ে কনজুগেশনের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত হয়।
-
হিমোগ্লোবিনের লৌহধারী প্রস্থেটিক অংশ ভেঙে যে বর্জ্য পদার্থ তৈরি হয়, সেগুলোর মধ্যে বিলিরুবিন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ।
-
বিলিরুবিন রক্তের মাধ্যমে যকৃতে পৌঁছে গ্লুকো-ইউরোনিক অ্যাসিডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে জলীয় পরিবেশে দ্রবণযোগ্য হয়ে ওঠে এবং পরে পিত্তের মাধ্যমে ক্ষুদ্রান্ত্রে প্রবেশ করে।
-
ক্ষুদ্রান্ত্রে উপস্থিত জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে বিলিরুবিনের একটি অংশ ইউরোবিলিনোজেনে রূপান্তরিত হয়, যা রক্তে শোষিত হয়ে পরবর্তীতে ইউরোবিলিনে পরিণত হয় এবং মূত্রের মাধ্যমে নিঃসৃত হয়। এর ফলেই মূত্রের রং হলুদ দেখায়।
-
যদি শরীরে বিলিরুবিনের মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে যায়, তখন তা জন্ডিস নামে পরিচিত একটি রোগের কারণ হয়।
সূত্র: প্রাণীবিজ্ঞান, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 3 months ago
মুক্তিযোদ্ধাভিত্তিক চলচ্চিত্র 'আগুনের পরশমণি' এর পরিচালক কে?
Created: 2 months ago
A
হুমায়ুন আহমেদ
B
মোরশেদুল ইসলাম
C
গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ
D
জহির রায়হান
আগুনের পরশমণি
-
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ‘আগুনের পরশমণি’।
-
এ চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন হুমায়ূন আহমেদ।
-
নির্মাণকাল: ১৯৯৪ সাল
-
মুক্তির বছর: ১৯৯৫ সাল
-
কাহিনীতে তুলে ধরা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধকালীন অবরুদ্ধ ঢাকায় মুক্তিবাহিনীর অভিযান এবং একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের সংকট।
-
অভিনয় করেছেন: আসাদুজ্জামান নূর, বিপাশা হায়াত, ডলি জহুরসহ আরও অনেকে।
-
চলচ্চিত্রটি ৮টি শাখায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে।
🏆 প্রাপ্ত পুরস্কারসমূহ:
-
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র – প্রযোজক হুমায়ূন আহমেদ
-
শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার – হুমায়ূন আহমেদ
-
শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা – হুমায়ূন আহমেদ
-
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী – বিপাশা হায়াত
-
শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক – সত্য সাহা
-
শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক – মফিজুল হক
-
শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী – শিলা আহমেদ
-
শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার – হোসনে আরা পুতুল
📌 তথ্যসূত্র: জাতীয় তথ্য বাতায়ন
0
Updated: 2 months ago
খাসিয়া জনগোষ্ঠীর গ্রামকে কী বলা হয়?
Created: 2 months ago
A
পুঞ্জি
B
মহল্লা
C
পাড়া
D
টোল
খাসিয়া
-
খাসিয়া বাংলাদেশে বসবাসরত একটি মাতৃতান্ত্রিক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী।
-
তারা মঙ্গোলীয় বংশোদ্ভূত।
-
এদের আদি নিবাস বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, বিশেষ করে সুনামগঞ্জ জেলা।
-
বর্তমানে তারা সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, ছাতক ও সদর থানায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বসবাস করছে।
-
খাসিয়া জনগোষ্ঠীর প্রধান উৎসব হলো খাসি সেং কুটস্নেম, যার মাধ্যমে তারা পুরোনো বছরকে বিদায় দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানায়।
-
খাসিয়ারা তাদের গ্রামকে ‘পুঞ্জি’ বলে ডাকে।
-
প্রতিটি পুঞ্জির প্রধানকে বলা হয় ‘সিয়েম’।
-
বর্তমানে প্রায় ৮০%-৯০% খাসিয়া খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী।
-
প্রায় প্রতিটি পুঞ্জিতেই একটি করে গির্জা রয়েছে।
📌 তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া ও জাতীয় তথ্য বাতায়ন
0
Updated: 2 months ago
বিগ ব্যাং (Big Bang) তত্ত্বের আধুনিক তত্ত্ব ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেছেন -
Created: 2 months ago
A
স্টিফেন হকিং
B
জি লেমেটার
C
আব্দুস সালাম
D
এডুইন হাবল
বিগ ব্যাং তত্ত্ব:
-
মহাবিশ্বের শুরু একটিমাত্র ছোট বিন্দু থেকে হয়েছিল। হঠাৎ এক বিশাল বিস্ফোরণের মাধ্যমে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়। এটিই ‘বিগ ব্যাং তত্ত্ব’ নামে পরিচিত।
-
এই তত্ত্ব প্রথম প্রস্তাব করেছিলেন বেলজিয়ামের বিজ্ঞানী জি ল্যামেটার। তিনি ১৯২৭ সালে এটি উপস্থাপন করেন।
-
পরবর্তীতে, বিখ্যাত পদার্থবিদ ও গণিতজ্ঞ স্টিফেন হকিং বিগ ব্যাং তত্ত্বের আধুনিক ব্যাখ্যা দেন।
-
স্টিফেন হকিং-এর জনপ্রিয় বইগুলো:
-
A Brief History of Time
-
The Universe in a Nutshell
-
The Grand Design
-
উৎস: ব্রিটানিকা, নবম-দশম শ্রেণির পদার্থ বিজ্ঞান।
0
Updated: 2 months ago