‘দুর্গেশনন্দিনী’ উপন্যাস বাংলা সাহিত্যে এক নতুন যুগের সূচনা করে। এটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত প্রথম উপন্যাস এবং বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস হিসেবে বিবেচিত। উপন্যাসটি ১৮৬৫ সালে প্রকাশিত হয়।
-
উপন্যাসের পটভূমি ষোড়শ শতাব্দীর শেষভাগে উড়িষ্যার অধিকারকে কেন্দ্র করে মোঘল ও পাঠানের সংঘর্ষ। যদিও এতে ঐতিহাসিক উপাদান আছে, এটি সম্পূর্ণ ঐতিহাসিক উপন্যাস নয়।
-
কিছু সমালোচক লক্ষ্য করেছেন, উপন্যাসে ওয়াল্টার স্কটের ‘আইভানহো’ উপন্যাসের প্রভাব বিদ্যমান।
-
বঙ্কিমচন্দ্রের জীবদ্দশায় এই উপন্যাসের তেরোটি সংস্করণ প্রকাশিত হয়।
-
কেন্দ্রীয় নারী চরিত্র: তিলোত্তমা।
-
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চরিত্র: বীরেন্দ্র সিংহ, ওসমান, জগৎসিংহ, তিলোত্তমা, আয়েশা, বিমলা।
অন্য উপন্যাসের চরিত্র তুলনায়:
-
‘আনন্দমঠ’: মহেন্দ্র, কল্যাণী, সত্যানন্দ, জীবনানন্দ, ভবানন্দ।
-
‘রাজসিংহ’: রাজসিংহ, ঔরঙ্গজেব, বিধাতাপুরুষ (বা বঙ্কিম)।
-
‘কপালকুণ্ডলা’: কপালকুণ্ডলা (মৃন্ময়ী), নবকুমার, কাপালিক, মতিবিবি (পদ্মাবতী)।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অন্যান্য উপন্যাস:
-
কপালকুণ্ডলা
-
মৃণালিনী
-
বিষবৃক্ষ
-
ইন্দিরা
-
যুগলাঙ্গুরীয়
-
চন্দ্রশেখর
-
রাধারানী
-
রজনী
-
কৃষ্ণকান্তের উইল
-
রাজসিংহ