প্রমথ চৌধুরী রচিত প্রবন্ধ গ্রন্থ নয় কোনটি?
A
তেল-নুন-লকড়ী
B
চার-ইয়ারী কথা
C
বীরবলের হালখাতা
D
নানাকথা
উত্তরের বিবরণ
‘চার-ইয়ারী কথা’ প্রমথ চৌধুরী রচিত একটি জনপ্রিয় গল্পগ্রন্থ, যা প্রথম প্রকাশিত হয় ‘সবুজপত্র’ পত্রিকায়। এটি ১৩২২ বঙ্গাব্দের চৈত্র সংখ্যা এবং ১৩২৩ বঙ্গাব্দের বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ সংখ্যায় তিন কিস্তিতে প্রকাশিত হয়। ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভের পর গল্পটি ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
প্রমথ চৌধুরী বইটি উৎসর্গ করেছিলেন তাঁর স্ত্রী ইন্দিরা দেবী চৌধুরাণীকে। ১৯৪৪ সালে ইন্দিরা দেবী বইটির ইংরেজি অনুবাদ ‘Tale of Four Friends’ নামে প্রকাশ করেন, যা প্রকাশিত হয় বিশ্বভারতী থেকে। এই গল্পকে নিয়ে একসময় অভিযোগ ওঠে যে এটি আনাতোল ফ্রাঁস-এর একটি রচনার অনুকরণে লেখা।
গল্প প্রকাশের পর পাঠকমহলে বিশেষ আলোচনা সৃষ্টি হয়। অনেকেই প্রমথ চৌধুরীকে বলেন যে, তাঁর চার নায়িকার চরিত্রচিত্রণ, সংলাপ ও বর্ণনা এত বাস্তব যে মনে হয়, লেখকের সঙ্গে তাঁদের প্রত্যক্ষ পরিচয় ছিল। প্রমথ চৌধুরী জবাবে বলেন— “প্রথম নায়িকা পাগল, দ্বিতীয়টি চোর, তৃতীয়টি জুয়াচ্চোর, আর চতুর্থটি ভূত। এই চারটি চরিত্রই আমার মনগড়া। তবে তৃতীয় গল্পের নায়িকা ‘রিণী’-র সঙ্গে আমার বাস্তব পরিচয় ছিল।”
সেকালের পাঠক সমাজে বিশেষ আকর্ষণ সৃষ্টি করেছিল তৃতীয় গল্পের রহস্যময়ী নায়িকা রিণী। অনেকেই জানতে চেয়েছিলেন লেখকের সঙ্গে রিণীর সম্পর্ক কতটা বাস্তব। প্রমথ চৌধুরীর আত্মকথায় এই বিষয়ে কিছু অংশ পাওয়া গেলেও এর অধিকাংশ হারিয়ে গেছে; উদ্ধারকৃত অংশটি ১৩৫২ বঙ্গাব্দে ‘বৈশাখী’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
প্রমথ চৌধুরী বাংলা সাহিত্যের একজন প্রভাবশালী লেখক ও গদ্যশৈলীর নবপ্রবর্তক। তিনি ৭ আগস্ট ১৮৬৮ সালে যশোরে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলা ভাষার সাধু ও চলিত রীতির মধ্যে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করেন এবং চলিত গদ্যরীতি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাঁর সাহিত্যিক ছদ্মনাম ছিল ‘বীরবল’। বাংলা সাহিত্যে তিনিই প্রথম ইতালীয় সনেট প্রবর্তন করেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে:
-
তেল-নুন-লকড়ী
-
বীরবলের হালখাতা (প্রথম প্রকাশ: ভারতী পত্রিকা, ১৯০২)
-
নানাকথা
-
ভাষার কথ
-
আমাদের শিক্ষা
-
নানাচর্চা
তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থসমূহ:
-
চার-ইয়ারী কথা
-
নীল্লোহিত
-
ঘোষালে ত্রিকথা

0
Updated: 19 hours ago
'চার ইয়ারী কথা' প্রমথ চৌধুরী রচিত-
Created: 1 week ago
A
ভ্রমণকাহিনি
B
উপন্যাস
C
প্রবন্ধগ্রন্থ
D
গল্পগ্রন্থ
‘চার ইয়ারী কথা’ প্রমথ চৌধুরীর গল্পগ্রন্থ, যা ১৯১৬ সালে প্রকাশিত হয়। এতে চার বন্ধুর প্রেমকাহিনি বর্ণিত হয়েছে, যেখানে গল্পের নায়িকা চারজনই ইউরোপীয়। প্রথম নায়িকা উন্মাদ, দ্বিতীয় চোর, তৃতীয় প্রতারক এবং চতুর্থ নায়িকা মৃত্যুর পর ভালোবাসা প্রকাশ করেছে। গ্রন্থে ভাষার চাতুর্য, পরিহাসপ্রিয়তা এবং সূক্ষ্ম ব্যঙ্গের মাধ্যমে ভাবালু প্রেমকাহিনিকে প্রতিবাদী রূপে উপস্থাপন করা হয়েছে।
প্রমথ চৌধুরী সংক্রান্ত তথ্য:
-
তিনি বাংলা ভাষার সাধু ও চলিত রূপের তুলনামূলক গবেষণা করেছেন।
-
বাংলা গদ্যে চলিত রীতির প্রবর্তক ও বিদ্রূপাত্মক প্রাবন্ধিক ছিলেন।
-
সাহিত্যিক ছদ্মনাম: বীরবল।
-
রচিত ‘বীরবলের হালখাতা’ ১৯০২ সালে ভারতী পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়।
-
এই গদ্য/প্রবন্ধ রচনায় প্রথম চলিত রীতির ব্যবহার করেছেন।
-
বাংলা কাব্য সাহিত্যে তিনিই প্রথম ইতালীয় সনেট প্রবর্তন করেন।
তাঁর অন্যান্য গল্পগ্রন্থ:
-
আহুতি
-
নীললোহিত
-
গল্প সংগ্রহ
তাঁর কাব্যগ্রন্থ:
-
সনেট পঞ্চাশৎ
-
পদচারণ

0
Updated: 1 week ago
'ভাষা মানুষের মুখ থেকে কলমের মুখে আসে, উল্টোটা করতে গেলে মুখে শুধু কালি পড়ে', বলেছেন-
Created: 2 months ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
কাজী নজরুল ইসলাম
C
বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়
D
প্রমথ চৌধুরী
প্রমথ চৌধুরী
প্রমথ চৌধুরী ছিলেন একজন প্রখ্যাত সাহিত্যিক এবং বাংলা চলিত গদ্যের পথিকৃৎ। তিনি ১৮৬৮ সালের ৭ই আগস্ট যশোরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর সাহিত্যিক ছদ্মনাম ছিল ‘বীরবল’।
১৯০২ সালে ‘বীরবলের হালখাতা’ নামক গ্রন্থটি ভারতী পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়, যেখানে তিনি বাংলা সাহিত্যে প্রথমবারের মতো চলিত গদ্যরীতি প্রবর্তন করেন।
এছাড়াও, তিনি বাংলা কাব্য সাহিত্যে ইতালীয় সনেটের ধারাকে প্রথম বারে পরিচয় করিয়েছেন। প্রমথ চৌধুরী ‘সবুজপত্র’ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
তার উল্লেখযোগ্য রচিত কাব্যগ্রন্থসমূহ
-
সনেট পঞ্চাশৎ
-
পদচারণ
গবেষণা ও প্রবন্ধগ্রন্থ
-
তেল নুন লকড়ি
-
বীরবলের হালখাতা
-
নানাকথা
-
আমাদের শিক্ষা
-
রায়তের কথা
-
নানাচর্চা
-
আত্মকথা
-
প্রবন্ধসংগ্রহ ইত্যাদি
গল্পগ্রন্থ
-
চার ইয়ারী কথা
-
আহুতি
-
নীললোহিত
প্রমথ চৌধুরীর কিছু প্রখ্যাত উক্তি
-
সুশিক্ষিত ব্যক্তি নিজে থেকেই শিক্ষিত হয়ে ওঠে।
-
ভাষা মানুষ থেকে কলমে আসে, কিন্তু কলম থেকে মানুষকে ভাষায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।
-
আনন্দের প্রকৃতি হলো সংক্রামকতা।
-
সাহিত্যে মানবতা লুকানো থাকে এবং সেই আনন্দ উপভোগ করা হয়।
-
খেলার মধ্যে যদি আনন্দ না থাকে, তবে সেটি খেলা নয়, বরং জুয়া।
-
যে জাতি যত বেশি দুঃখ পায়, সে জাতি তত বেশি নিস্তেজ হয়।
তথ্যসূত্র: ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা’ (ড. সৌমিত্র শেখর) এবং ‘প্রথম আলো’।

0
Updated: 2 months ago
'যে জাতি যত নিরানন্দ সে জাতি তত নির্জীব।' বিখ্যাত উক্তিটি কার?
Created: 1 week ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
প্রমথ চৌধুরী
C
সুফিয়া কামাল
D
মোতাহের হোসেন চৌধুরী
প্রমথ চৌধুরী ছিলেন বাংলা সাহিত্যের একজন প্রখ্যাত সাহিত্যিক এবং চলিত গদ্যরীতির প্রবর্তক। তিনি ১৮৬৮ সালের ৭ আগস্ট যশোরে জন্মগ্রহণ করেন এবং সাহিত্যিক ছদ্মনাম ‘বীরবল’ ব্যবহার করতেন। তাঁর সাহিত্যকর্মে বিদ্যমান চিন্তা ও দর্শন তাঁর বিখ্যাত উক্তিগুলোতেও প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রমথ চৌধুরীর বিখ্যাত উক্তি:
-
সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।
-
ভাষা মানুষের মুখ থেকে কলমের মুখে আসে, উল্টোটা করতে গেলে মুখে শুধু কালিই পড়ে।
-
আনন্দের ধর্ম এই যে তা সংক্রামক।
-
সাহিত্যে মানবত্মা খেলা করে এবং সেই খেলার আনন্দ উপভোগ করে।
-
যে খেলার ভিতর আনন্দ নেই কিন্তু উপরি পাওনার আশা আছে, তার নাম খেলা নয়, জুয়াখেলা।
-
যে জাতি যত নিরানন্দ সে জাতি তত নির্জীব।
প্রমথ চৌধুরীর সাহিত্যকর্ম ও অবদান:
-
প্রথম চলিত রীতির প্রয়োগ করেছেন ‘বীরবলের হালখাতা’ (১৯০২, ভারতী পত্রিকা)
-
বাংলা কাব্য সাহিত্যে ইতালীয় সনেটের প্রবর্তক
-
সম্পাদনা করেছেন ‘সবুজপত্র’ পত্রিকা
রচিত কাব্যগ্রন্থ:
-
সনেট পঞ্চাশৎ
-
পদচারণ
রচিত প্রবন্ধগ্রন্থ:
-
তেল নুন লকড়ি
-
বীরবলের হালখাতা
-
নানাকথা
-
আমাদের শিক্ষা
-
রায়তের কথা
-
নানাচর্চা
-
আত্মকথা
-
প্রবন্ধসংগ্রহ ইত্যাদি
রচিত গল্পগ্রন্থ:
-
চার ইয়ারী কথা
-
আহুতি
-
নীললোহিত
উৎস:

0
Updated: 1 week ago