A
আলফা রশ্মি
B
বিটা রশ্মি
C
গামা রশ্মি
D
রঞ্জন রশ্মি
উত্তরের বিবরণ
গামা রশ্মি
-
গামা রশ্মি জীবজগতের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর তেজস্ক্রিয় রশ্মি।
-
এর ভেদন ক্ষমতা আলফা ও বিটা রশ্মির তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী।
-
গামা রশ্মি প্রায় কয়েক সেন্টিমিটার পুরু সীসাও সহজেই ভেদ করতে পারে।
-
সূর্য থেকে আগত অতিবেগুনি বা আলট্রাভায়োলেট রশ্মির তুলনায় গামা রশ্মি ক্ষতির দিক থেকে অনেক বেশি মারাত্মক।
-
গামা রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে ক্ষুদ্র হওয়ায় এর ভেদন ক্ষমতাও সর্বোচ্চ।
-
পারমাণবিক বিস্ফোরণের সময় গামা রশ্মি প্রবাহিত হয়।
-
বিটা এবং আলফা রশ্মির তুলনায় গামা রশ্মির প্রভাব ও ক্ষতি অনেক বেশি।
উৎস: নাসা ও ব্রিটানিকা ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 week ago
বিলিরুবিন তৈরি হয়-
Created: 1 week ago
A
পিত্তথলিতে
B
কিডনীতে
C
প্লীহায়
D
যকৃতে
বিলিরুবিন একটি হলুদ বর্ণের বর্জ্য পদার্থ, যা মূলত যকৃত ও অস্থিমজ্জায় তৈরি হয় এবং পরবর্তীতে প্লীহাতে সঞ্চিত থাকে।
-
প্লীহা, যা যকৃতের অংশ হিসেবে বিবেচিত, বিলিরুবিন উৎপাদনের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র এবং এটি পরবর্তীতে যকৃতে স্থানান্তরিত হয়ে কনজুগেশনের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত হয়।
-
হিমোগ্লোবিনের লৌহধারী প্রস্থেটিক অংশ ভেঙে যে বর্জ্য পদার্থ তৈরি হয়, সেগুলোর মধ্যে বিলিরুবিন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ।
-
বিলিরুবিন রক্তের মাধ্যমে যকৃতে পৌঁছে গ্লুকো-ইউরোনিক অ্যাসিডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে জলীয় পরিবেশে দ্রবণযোগ্য হয়ে ওঠে এবং পরে পিত্তের মাধ্যমে ক্ষুদ্রান্ত্রে প্রবেশ করে।
-
ক্ষুদ্রান্ত্রে উপস্থিত জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে বিলিরুবিনের একটি অংশ ইউরোবিলিনোজেনে রূপান্তরিত হয়, যা রক্তে শোষিত হয়ে পরবর্তীতে ইউরোবিলিনে পরিণত হয় এবং মূত্রের মাধ্যমে নিঃসৃত হয়। এর ফলেই মূত্রের রং হলুদ দেখায়।
-
যদি শরীরে বিলিরুবিনের মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে যায়, তখন তা জন্ডিস নামে পরিচিত একটি রোগের কারণ হয়।
সূত্র: প্রাণীবিজ্ঞান, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago
নিচের কোনটি DNA-এর নাইট্রোজেন বেস?
Created: 1 week ago
A
ইউরাসিল
B
গোয়ানিন
C
পিরিডক্সিন
D
অ্যাসপারাজিন
ডিএনএ (DNA)
-
Deoxyribo Nucleic Acid (DNA) হলো ক্রোমোসোমের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও স্থায়ী উপাদান।
-
ক্রোমোসোমে থাকা বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে DNA প্রায় ৪৫% অংশ জুড়ে থাকে।
-
এটি ৯০% ক্রোমোসোমে বিদ্যমান থাকে, যা তার বিস্তৃত উপস্থিতিকে নির্দেশ করে।
-
DNA একটি পলিমারিক যৌগ, যার গঠনের একক একককে নিউক্লিয়োটাইড বলা হয়।
-
প্রতিটি নিউক্লিয়োটাইড গঠিত তিনটি মূল অংশ নিয়ে:
-
পাঁচ-কার্বনবিশিষ্ট ডিঅক্সিরাইবোজ চিনির অণু,
-
নাইট্রোজেনযুক্ত একটি ক্ষারক (যথা: অ্যাডেনিন, গুয়ানিন, থায়ামিন, সাইটোসিন),
-
এবং একটি ফসফরিক অ্যাসিড।
-
আরএনএ (RNA)
-
RNA এর পূর্ণরূপ হলো Ribo Nucleic Acid।
-
এটি DNA এর মতো স্থায়ী উপাদান নয়, বরং সাময়িকভাবে কার্য সম্পাদনে অংশগ্রহণ করে।
-
ক্রোমোসোমে RNA এর পরিমাণ তুলনামূলকভাবে অনেক কম, যা ০.২% থেকে ১.৪% পর্যন্ত হয়ে থাকে।
-
প্রতিটি RNA অণু একসূত্র বিশিষ্ট (single-stranded)।
-
এর গঠন উপাদান তিনটি:
-
রাইবোজ শর্করা, যার ২ নম্বর কার্বনে একটি অক্সিজেন অণু উপস্থিত থাকে,
-
একটি অজৈব ফসফেট,
-
এবং নাইট্রোজেনযুক্ত ক্ষারক (যেমন: অ্যাডেনিন, গুয়ানিন, সাইটোসিন ও ইউরাসিল)।
-
-
RNA-তে থায়ামিন অনুপস্থিত; তার পরিবর্তে ইউরাসিল ক্ষারক থাকে।
-
এটি সাধারণত ১০% ক্রোমোসোমে পাওয়া যায়।
-
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, ভাইরাসের ক্ষেত্রে RNA অনেক সময় স্থায়ী জিনগত উপাদান হিসেবে কাজ করে।
তথ্যসূত্র: জীববিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago
মানুষের গায়ের রং কোন উপাদানের উপর নির্ভর করে?
Created: 1 week ago
A
মেলানিন
B
থায়ামিন
C
ক্যারোটিন
D
হিমোগ্লোবিন
মানবদেহের ত্বকে থাকা বিশেষ ধরনের কোষ, যাদের বলা হয় মেলানোসাইট, তারা মেলানিন নামের এক ধরনের রঞ্জক উৎপন্ন করে। এই মেলানিনের পরিমাণ ও বিস্তারের উপরই মানুষের গায়ের রঙ গাঢ় বা ফর্সা হয়।
অন্যদিকে, মস্তিষ্কে অবস্থিত পিনিয়াল গ্রন্থি মেলাটোনিন নামক একটি হরমোন নিঃসরণ করে, যা ঘুম ও জাগরণের সময়চক্র নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
যখন মেলানিন একেবারেই অনুপস্থিত থাকে, তখন ত্বকে কোনো রঙ থাকে না — ত্বক সাদাটে হয়ে যায়। এই অবস্থাকেই বিজ্ঞানের ভাষায় অ্যালবিনিজম বলা হয়, যা একটি বংশগত বৈশিষ্ট্যজনিত অবস্থা।
উৎস: প্রাণিবিজ্ঞান (একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি), ব্রিটানিকা ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 week ago