আদর্শ আমলাতন্ত্রের প্রবক্তা কে?
A
ম্যাক্স ওয়েবার
B
গ্যাবিয়েল অ্যালমন্ড
C
জোনাথান হেইট
D
অধ্যাপক এস ই ফাইনার
উত্তরের বিবরণ
আমলাতন্ত্র (Bureaucracy)
-
সংজ্ঞা ও উৎস:
আমলাতন্ত্রের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Bureaucracy, যা ফরাসি ‘Bureau’ এবং গ্রিক ‘Kratos’ শব্দের সমন্বয়ে গঠিত।-
Bureau অর্থ ডেস্ক বা অফিস
-
Kratos অর্থ শাসন বা রাজনৈতিক ক্ষমতা
সুতরাং আক্ষরিক অর্থে আমলাতন্ত্র হলো ‘Desk Government’ বা ‘দাপ্তরিক সরকার’।
-
-
প্রকৃতি ও কার্যক্রম:
-
এটি বোঝায় প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দ্বারা পরিচালিত শাসন।
-
আমলারা পরস্পর সুশৃঙ্খলভাবে সংযুক্ত ও রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ থেকে দায়িত্ব পালন করেন।
-
এটি স্থায়ী, বেতনভুক্ত, দক্ষ, পেশাদারী এবং সরকারের নীতি ও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে।
-
-
ইতিহাস ও তাত্ত্বিক দিক:
-
জার্মান সমাজবিজ্ঞানী ম্যাক্স ওয়েবার সর্বপ্রথম Legal and Rational Model এর মাধ্যমে আমলাতন্ত্রকে উপস্থাপন করেন।
-
ম্যাক্স ওয়েবারকে বলা হয় আদর্শ আমলাতন্ত্রের উদ্ভাবক।
-

0
Updated: 19 hours ago
মূল্যবোধের......হলো সংস্কৃতি।
Created: 5 days ago
A
প্রাণ
B
সোপান
C
চালিকাশক্তি
D
কোনটিই নয়
মূল্যবোধ হলো সেই মৌলিক নীতি, ধারণা ও বিশ্বাস যা মানুষের আচরণ, কর্মকাণ্ড ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দিকনির্দেশনা দেয়। সমাজজীবনে একজন ব্যক্তি কিভাবে চলবে, অন্যদের সাথে কিভাবে আচরণ করবে, কোন কাজ ভালো এবং কোন কাজ মন্দ তা নির্ধারণ করে মূল্যবোধ। এগুলো সমাজ ও সংস্কৃতির সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত।
-
ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত জীবনে প্রভাব: সমাজে মানুষের ব্যক্তিগত জীবন যেমন—আচার-আচরণ, পারিবারিক সম্পর্ক, সামাজিক যোগাযোগ—সবকিছুই মূল্যবোধ দ্বারা প্রভাবিত হয়। একইভাবে সমষ্টিগতভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা, শিক্ষা, অর্থনীতি, সংস্কৃতি ইত্যাদি ক্ষেত্রেও মূল্যবোধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
সংস্কৃতির ভূমিকা: মানুষের আচরণ ও মূল্যবোধ গঠনে সংস্কৃতি প্রধান ভূমিকা পালন করে। সংস্কৃতির মাধ্যমে মানুষ শিখে কীভাবে আচরণ করতে হবে এবং কোন কাজ সমাজে গ্রহণযোগ্য বা অগ্রহণযোগ্য।
-
আচরণের ভিন্নতা: বিভিন্ন সমাজে ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি প্রচলিত থাকার কারণে মানুষের আচরণেও পার্থক্য দেখা যায়। যেমন, একটি সমাজে যে কাজকে নৈতিক বা গ্রহণযোগ্য মনে করা হয়, অন্য সমাজে সেটিকে অগ্রহণযোগ্য মনে হতে পারে। এই ভিন্নতার পেছনে মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির পার্থক্য কাজ করে।
-
সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের সম্পর্ক: সংস্কৃতিকে মূল্যবোধের চালিকাশক্তি বলা হয়, কারণ সংস্কৃতি মানুষকে কাঙ্ক্ষিত আচরণের দিকনির্দেশনা দেয় এবং মূল্যবোধকে জীবন্ত রাখে।
⇒ অর্থাৎ, মূল্যবোধ সমাজে শৃঙ্খলা, সহযোগিতা, ন্যায়পরায়ণতা, সততা, দায়িত্বশীলতা ইত্যাদি গুণাবলী প্রতিষ্ঠা করে এবং একটি উন্নত ও মানবিক সমাজ গঠনে সহায়তা করে।

0
Updated: 5 days ago
কোনটিকে সুশাসনের প্রাণ বলা হয়?
Created: 5 days ago
A
স্বচ্ছতা
B
দায়িত্বশীলতা
C
দক্ষতা
D
গণতন্ত্র
গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা, দায়িত্বশীলতা ও দক্ষতা সুশাসনের মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত। এগুলোই একটি কার্যকর ও জনগণমুখী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মূল চাবিকাঠি।
-
গণতন্ত্র (Democracy): গণতন্ত্র হলো সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রাণ। সুশাসন নিশ্চিত করতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিকল্প নেই। এটি জনগণের অংশগ্রহণ, মতপ্রকাশ ও সমানাধিকার নিশ্চিত করে।
-
স্বচ্ছতা (Transparency): স্বচ্ছতার অর্থ হলো পরিষ্কার, স্পষ্ট ও নির্ভুল ব্যবস্থা। দ্ব্যর্থহীনতা স্বচ্ছতার প্রধান লক্ষণ। যখন শাসন ব্যবস্থার আইন, নীতি বা সিদ্ধান্ত স্পষ্ট ও পরিস্কার হয় এবং এর একাধিক ব্যাখ্যার সুযোগ থাকে না, তখন তা জনগণের জন্য সহজবোধ্য হয়। স্বচ্ছ নীতি ও সিদ্ধান্ত সুশাসন প্রতিষ্ঠার পথে সহায়ক।
-
দায়িত্বশীলতা (Responsibility): সুশাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো দায়িত্বশীলতা। এর অর্থ হলো সরকার ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার কর্মকাণ্ডের প্রতি দায়বদ্ধ থাকা। সরকারের শাসন বিভাগের নীতি-সিদ্ধান্ত ও কার্যক্রমের জন্য আইন বিভাগের কাছে দায়বদ্ধ থাকা এবং পরোক্ষভাবে জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থাকা দায়িত্বশীলতার অংশ।
-
দক্ষতা (Efficiency): দক্ষতা বলতে প্রাপ্ত সম্পদ ও উপকরণের সুষ্ঠু ব্যবহার করে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জনকে বোঝায়। অবাধ তথ্য সরবরাহ, প্রশিক্ষণ, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জ্ঞান, দুর্নীতি বিরোধী মনোভাব, কর্তব্যনিষ্ঠা, নিয়ম মেনে চলা, সততা ও কাজে আগ্রহ দক্ষতা বৃদ্ধির মূল উপাদান। এই সব নিশ্চিত করলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সহজ হয়।

0
Updated: 5 days ago
'পরমতসহিষ্ণুতা' কোন ধরনের মূল্যবোধ?
Created: 5 days ago
A
নৈতিক মূল্যবোধ
B
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ
C
আধুনিক মূল্যবোধ
D
কোনটি নয়
পরমতসহিষ্ণুতা (Tolerance) নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
-
সংজ্ঞা ও অর্থ:
-
পরমতসহিষ্ণুতা বলতে বোঝায় অন্যের মতাদর্শ, বিশ্বাস, ধর্ম, মত বা রাজনৈতিক অবস্থানকে সম্মান এবং গ্রহণ করার ক্ষমতা।
-
এটি শুধুমাত্র সহনশীলতা নয়, বরং অন্যের ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি ও চিন্তাভাবনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল আচরণ।
-
-
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে গুরুত্ব:
-
গণতান্ত্রিক সমাজে মানুষ বিভিন্ন মত, ধর্ম, ও সাংস্কৃতিক পটভূমি থেকে আসে।
-
এসব ভিন্নতার মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহঅবস্থান নিশ্চিত করতে পরমতসহিষ্ণুতা অপরিহার্য।
-
এটি সমাজে দূর্বলতা, সংঘাত ও হিংসা প্রতিরোধ করে।
-
-
গণতান্ত্রিক আচরণ ও সামাজিক সম্পর্ক:
-
পরমতসহিষ্ণু ব্যক্তি নিরপেক্ষভাবে, সহমর্মিতার সাথে অন্যের দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে।
-
এতে সমঝোতা, সহযোগিতা ও সামাজিক ঐক্য বৃদ্ধি পায়।
-
-
শিক্ষা ও সামাজিকীকরণে ভূমিকা:
-
পরিবার, স্কুল ও সমাজে সহিষ্ণুতার শিক্ষা দিলে মানুষ ন্যায়পরায়ণ, সংবেদনশীল এবং গণতান্ত্রিক নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে।
-
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে বৈচিত্র্যকে মূল্যায়ন করা গুরুত্বপূর্ণ।
-
-
আধুনিক সমাজে প্রয়োগ:
-
রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ভিন্নতার ক্ষেত্রে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা।
-
সামাজিক মিডিয়া, গণমাধ্যম ও বিভিন্ন জনসভায় ভিন্ন মতামতকে সম্মান করা।
-
আন্তর্জাতিক স্তরে মানুষের অধিকার ও মানবিক নীতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন।
-
উপসংহার:
পরমতসহিষ্ণুতা কেবল গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের এক উপাদান নয়, এটি সুশাসন, সামাজিক শান্তি ও সাম্য প্রতিষ্ঠার মূল ভিত্তি। এটি ব্যক্তি ও রাষ্ট্রের মধ্যে সুশৃঙ্খল ও সমন্বিত সম্পর্ক নিশ্চিত করে।

0
Updated: 5 days ago