মূল্যবোধের অপরিহার্য উপাদান কোনটি?
A
শৃঙ্খলা
B
শিক্ষাগত যোগ্যতা
C
স্বাধীনতা
D
শ্রমের মর্যাদা
উত্তরের বিবরণ
মূল্যবোধের উপাদান
মূল্যবোধ হলো একজন ব্যক্তির আচরণ ও নৈতিকতার মানদণ্ড, যা সমাজে দীর্ঘকাল বসবাস ও সামাজিক পরিবেশের প্রভাবের মাধ্যমে গড়ে ওঠে। এটি ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব ও সামাজিক সম্পর্ককে প্রভাবিত করে। মূলত নিম্নলিখিত উপাদানগুলো মূল্যবোধের ভিত্তি গঠন করে:
ক. নীতিবোধ:
-
নীতিবোধ হলো নৈতিকতার মূল উপাদান।
-
কোন কাজ করার সময় নিজের বিবেক, নীতি ও যুক্তি প্রয়োগ করা উচিত।
-
যৌক্তিকতা ও নৈতিকতা সংযুক্ত থাকলে নীতিবোধ পরিপূর্ণ হয়।
খ. শৃঙ্খলা:
-
শৃঙ্খলা হলো উচ্চমানের মূল্যবোধের অপরিহার্য অংশ।
-
এটি ব্যক্তি ও সমাজে নিয়ম ও সংহতির ধারণা তৈরি করে।
গ. সহমর্মিতা:
-
সহমর্মিতা বা দয়া নৈতিকতা ও সামাজিক মূল্যবোধের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত।
-
সহমর্মিতা ছাড়া একজন ব্যক্তি সম্পূর্ণ মূল্যবোধসম্পন্ন হতে পারে না।
ঘ. সৌজন্যবোধ:
-
ব্যক্তি ও সমাজের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে সৌজন্যবোধ প্রকাশ পায়।
-
এটি তার আচরণ, শালীনতা ও শিষ্টাচারের মাধ্যমে প্রকট হয়।
চ. মানবিকতা:
-
মানবিকতা হলো মানুষের শ্রেষ্ঠ গুণ।
-
এটি ছাড়া একজনকে সত্যিকার অর্থে মূল্যবোধসম্পন্ন বলা যায় না।
ছ. শ্রমের মর্যাদা:
-
শ্রমের মর্যাদা দেওয়া প্রত্যেকের দায়িত্ব।
-
এটি অনুশীলনের মাধ্যমে ব্যক্তির দৃষ্টিভঙ্গি ও অন্যের প্রতি সম্মান বৃদ্ধি পায়।

0
Updated: 19 hours ago
নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী গণমাধ্যমের অনুপস্থিতি কিসের অন্তরায়?
Created: 1 month ago
A
সামাজিক অবক্ষয়ের
B
মূল্যবোধ অবক্ষয়ের
C
সুশাসনের
D
শিক্ষার গুণগতমানের
নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী গণমাধ্যমের অনুপস্থিতি সুশাসনের অন্তরায়।
--------------
সুশাসন ও গণমাধ্যম
- গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে ধরা হয়।
- শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ গণমাধ্যমে অনুপস্থিতি সুশাসনের অন্তরায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
- গণমাধ্যমে একমাত্র ব্যবস্থা যা সুশাসনের নিয়ামকগুলোকে জনমত সৃষ্টির মাধ্যমে সুসংহত করতে পারে।
- স্বাধীন সংবাদ মাধ্যম আর স্বাধীন বিচার বিভাগ ছাড়া সুশাসন প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার রক্ষা ও প্রশাসনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
- বর্তমানে ‘সুশাসন’ ও ‘গণমাধ্যম’ এ দুটি বিষয় পরস্পর গভীরভাবে সম্পৃক্ত।
- গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও আইনের শাসনকে কেউ কেউ বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে থাকে যা গনমাধ্যমের জোরালো ভূমিকার মাধ্যমে তা প্রতিহত করা যায়।
উৎস: উচ্চ মাধ্যমিক পৌরনীতি ও সুশাসন (প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 1 month ago
"আইনের চোখে সব নাগরিক সমান।"- বাংলাদেশের সংবিধানের কত নম্বর ধারায় এ নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
ধারা ০৭
B
ধারা ২৭
C
ধারা ৩৭
D
ধারা ৪৭
সংবিধান সম্পর্কিত তথ্য
মৌলিক অধিকার ও সমতার নীতি:
বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় অধ্যায়ে মৌলিক অধিকারগুলো বর্ণিত হয়েছে। এর মধ্যে ২৭ নং অনুচ্ছেদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী:
-
সব নাগরিক আইনসম্মতভাবে সমান।
-
আইনের রক্ষাকবচ প্রত্যেক নাগরিকের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য।
অর্থাৎ, কোনও নাগরিককে আইন অনুসারে অন্যের তুলনায় বৈষম্যের শিকার হতে হবে না এবং সবাই সমান অধিকার ভোগ করবে।
(উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান, অনুচ্ছেদ ২৭)
বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদসমূহ
অনুচ্ছেদ | বিষয়বস্তু (সহজ ভাষায়) |
---|---|
১৩ | ব্যক্তিগত ও রাষ্ট্রের মালিকানার নীতি নির্ধারণ |
১৯ | সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করা |
২২ | বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করা |
২৮ | ধর্ম বা অন্যান্য কারণে বৈষম্য নিষিদ্ধ |
২৯ | সরকারি নিয়োগ ও সুযোগে সমতার নীতি |
৩১ | আইনের আশ্রয় ও সুরক্ষা লাভের অধিকার |
৩৩ | গ্রেপ্তার ও আটক সংক্রান্ত নাগরিক সুরক্ষা |
উৎস: বাংলাদেশ সংবিধান

0
Updated: 1 month ago
রাষ্ট্র ও সমাজে দুর্নীতিপ্রবণতার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী-
Created: 5 days ago
A
আইনের প্রয়ােগের অভাব
B
নৈতিকতা ও মূল্যবােধের অভাব
C
দুর্বল পরিবীক্ষণ ব্যবস্থা
D
অসৎ নেতৃত্ব
দুর্নীতির সংজ্ঞা নির্ধারণ করা সহজ কাজ নয়, কারণ এটি সমাজভেদে এবং একই সমাজের বিভিন্ন যুগে ভিন্নভাবে দেখা যায়। নীতি, আদর্শ ও মূল্যবোধের পার্থক্য অনুযায়ী কোনো কাজকে দুর্নীতি হিসেবে ধরা বা না ধরা যায়।
-
দুর্নীতি হলো নীতি, আদর্শ ও মূল্যবোধের পরিপন্থী কাজ, তাই কোন কাজকে দুর্নীতিমূলক বলার ক্ষেত্রে স্থান, কাল, পাত্র ও আদর্শ বিবেচনা করা জরুরি।
-
সাধারণভাবে বলতে গেলে, দুর্নীতি হলো আইন ও নীতির বিরুদ্ধে সংঘটিত কার্যকলাপ।
-
দুর্নীতির সঙ্গে পেশা, ক্ষমতা, সুযোগ-সুবিধা, পদবি, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অবস্থান ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত থাকে।
সুতরাং, “নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অভাব” রাষ্ট্র ও সমাজে দুর্নীতিপ্রবণতার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী।

0
Updated: 5 days ago