সুশাসনের জন্য সরকারি খাতের ব্যবস্থাপনার কথা বলেছে-
A
জাতিসংঘ
B
বিশ্বব্যাংক
C
আইএমএফ
D
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক
উত্তরের বিবরণ
সুশাসন (Good Governance)
উদ্ভব ও সংজ্ঞা:
-
সুশাসনের ধারণা মূলত ১৯৮৯ সালে উদ্ভূত হয়।
-
বিশ্বব্যাংক প্রথম এই ধারণা উপস্থাপন করে।
-
বিশ্বব্যাংকের দৃষ্টিকোণ অনুযায়ী, সুশাসন হল এমন এক প্রক্রিয়া যেখানে রাজনৈতিক কর্তৃত্ব ও প্রাতিষ্ঠানিক সম্পদ সমাজের সমস্যা ও চাহিদা পূরণে ব্যবহৃত হয়।
-
১৯৯৪ সালে বিশ্বব্যাংক ‘শাসন: বিশ্বব্যাংকের অভিজ্ঞতা’ শীর্ষক রিপোর্টে সুশাসনকে চারটি কার্যক্রমের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করে:
১. সরকারি খাতের কার্যকর ব্যবস্থাপনা
২. জবাবদিহিতা
৩. উন্নয়নের জন্য আইনী কাঠামো
৪. স্বচ্ছতা ও তথ্য
সুশাসনের প্রামাণ্য সংজ্ঞা:
-
মিশেল ক্যামডেসাস: "রাষ্ট্রের সব ধরনের উন্নয়নের জন্য সুশাসন অত্যাবশ্যক।"
-
ম্যাককরনি: "সুশাসন বলতে রাষ্ট্রের সাথে সুশীল সমাজের, সরকারের সাথে শাসিত জনগণের, শাসকের সাথে শাসিতের সম্পর্ককে বোঝায়।"
-
কফি আনান: "সুশাসন মানবাধিকার, আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করা, জনপ্রশাসনের স্বচ্ছতা এবং সক্ষমতাকে নিশ্চিত করে।"
-
মারটিন মিনোগ: "ব্যাপক অর্থে সুশাসন হলো উদ্যোগ ও সংস্কার কৌশলের সমষ্টি যা সরকারকে আরও গণতান্ত্রিক, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক করতে সুশীল সমাজের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে কার্যকর করে।"

0
Updated: 19 hours ago
মূল্যবোধ পরীক্ষা করে কোনটি?
Created: 5 days ago
A
ন্যায় ও অন্যায়
B
ভালো ও মন্দ
C
নৈতিকতা ও অনৈতিকতা
D
উপরের সবগুলো
মূল্যবোধ
সংজ্ঞা:
মূল্যবোধ হলো একটি মানদণ্ড, যার মাধ্যমে কোনো কাজ বা আচরণের ন্যায়-অন্যায়, ভালো-মন্দ, নৈতিক-অনৈতিক দিক বিচার করা হয়।
বৈশিষ্ট্য ও ব্যাখ্যা:
-
মূল্যবোধ একটি মানবিক গুণাবলী, যা মানুষের নীতি-নৈতিকতা ও বিবেকের উপর নির্ভরশীল।
-
এটি সামাজিক আচার-ব্যবহার, সংস্কৃতি চর্চা এবং পরিবেশে বসবাসের মাধ্যমে বিকশিত হয়।
-
মূল্যবোধ ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, নৈতিক-অনৈতিক বিচার করতে সহায়তা করে।
-
এটি আপেক্ষিক এবং সম্পর্কের ভিত্তিতে পরিবর্তনশীল হতে পারে।
-
মূল্যবোধের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত উপাদানসমূহ:
-
নীতিবোধ
-
শৃঙ্খলা
-
মানবিকতা
-
সহমর্মিতা
-
সৌজন্যবোধ
-
আইনের প্রতি শ্রদ্ধা
-

0
Updated: 5 days ago
সুশাসনের অভাবে নিম্নের কোনটি পরিলক্ষিত হয়?
Created: 5 days ago
A
অর্থনৈতিক অগ্রগতি ব্যাহত
B
সামাজিক অসন্তোষ বৃদ্ধি
C
দুর্নীতি বৃদ্ধি
D
বর্ণিত সবগুলো
সুশাসন একটি দেশের কার্যকর ও স্থায়ী পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। সুশাসনের অভাব দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করে, যা সমাজ, অর্থনীতি ও প্রশাসনের স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করে।
-
দুর্নীতি বৃদ্ধি:
-
সুশাসনের অভাবে দুর্নীতি বৃদ্ধি পায়।
-
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাবের কারণে সরকারি কর্মকর্তা ও নীতি নির্ধারকরা অবৈধ সুবিধা নেওয়ার সুযোগ পায়।
-
-
অর্থনৈতিক অগ্রগতি ব্যাহত হওয়া:
-
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়।
-
অদক্ষ নীতি, দুর্নীতি এবং সম্পদের অপব্যবহারের কারণে সম্পদের সঠিক ব্যবহার সম্ভব হয় না।
-
-
সামাজিক অসন্তোষ বৃদ্ধি:
-
জনগণের অধিকার লঙ্ঘিত হয়।
-
জনগণ যখন অনুভব করে যে তাদের অধিকার রক্ষা হচ্ছে না এবং সরকার তাদের প্রয়োজন মেটাতে ব্যর্থ, তখন সামাজিক অসন্তোষ বৃদ্ধি পায়।
-

0
Updated: 5 days ago
মূল্যবোধের......হলো সংস্কৃতি।
Created: 5 days ago
A
প্রাণ
B
সোপান
C
চালিকাশক্তি
D
কোনটিই নয়
মূল্যবোধ হলো সেই মৌলিক নীতি, ধারণা ও বিশ্বাস যা মানুষের আচরণ, কর্মকাণ্ড ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দিকনির্দেশনা দেয়। সমাজজীবনে একজন ব্যক্তি কিভাবে চলবে, অন্যদের সাথে কিভাবে আচরণ করবে, কোন কাজ ভালো এবং কোন কাজ মন্দ তা নির্ধারণ করে মূল্যবোধ। এগুলো সমাজ ও সংস্কৃতির সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত।
-
ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত জীবনে প্রভাব: সমাজে মানুষের ব্যক্তিগত জীবন যেমন—আচার-আচরণ, পারিবারিক সম্পর্ক, সামাজিক যোগাযোগ—সবকিছুই মূল্যবোধ দ্বারা প্রভাবিত হয়। একইভাবে সমষ্টিগতভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা, শিক্ষা, অর্থনীতি, সংস্কৃতি ইত্যাদি ক্ষেত্রেও মূল্যবোধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
সংস্কৃতির ভূমিকা: মানুষের আচরণ ও মূল্যবোধ গঠনে সংস্কৃতি প্রধান ভূমিকা পালন করে। সংস্কৃতির মাধ্যমে মানুষ শিখে কীভাবে আচরণ করতে হবে এবং কোন কাজ সমাজে গ্রহণযোগ্য বা অগ্রহণযোগ্য।
-
আচরণের ভিন্নতা: বিভিন্ন সমাজে ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি প্রচলিত থাকার কারণে মানুষের আচরণেও পার্থক্য দেখা যায়। যেমন, একটি সমাজে যে কাজকে নৈতিক বা গ্রহণযোগ্য মনে করা হয়, অন্য সমাজে সেটিকে অগ্রহণযোগ্য মনে হতে পারে। এই ভিন্নতার পেছনে মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির পার্থক্য কাজ করে।
-
সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের সম্পর্ক: সংস্কৃতিকে মূল্যবোধের চালিকাশক্তি বলা হয়, কারণ সংস্কৃতি মানুষকে কাঙ্ক্ষিত আচরণের দিকনির্দেশনা দেয় এবং মূল্যবোধকে জীবন্ত রাখে।
⇒ অর্থাৎ, মূল্যবোধ সমাজে শৃঙ্খলা, সহযোগিতা, ন্যায়পরায়ণতা, সততা, দায়িত্বশীলতা ইত্যাদি গুণাবলী প্রতিষ্ঠা করে এবং একটি উন্নত ও মানবিক সমাজ গঠনে সহায়তা করে।

0
Updated: 5 days ago