কোনটি নৈতিক অধিকারের বৈশিষ্ট্য?
A
সার্বভৌম কর্তৃত্ব দ্বারা নির্ধারিত
B
রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত
C
আইনগত ভিত্তি নেই
D
ভঙ্গ করলে শাস্তির বিধান আছে
উত্তরের বিবরণ
অধিকার ও তার শ্রেণিবিভাগ
অধিকার প্রধানত দুই প্রকার:
-
নৈতিক অধিকার (Moral Rights)
-
আইনগত অধিকার (Legal Rights)
১. নৈতিক অধিকার (Moral Rights):
-
নীতি এবং বিবেক দ্বারা জাগ্রত।
-
ন্যায়বোধ থেকে উদ্ভূত।
-
এর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই।
-
উদাহরণ: ভিখারির ভিক্ষা পাওয়ার অধিকার।
২. আইনগত অধিকার (Legal Rights):
-
নাগরিকের জীবনধারণ ও বিকাশের জন্য অপরিহার্য।
-
রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত ও অনুমোদিত।
-
রাষ্ট্রের সার্বভৌম কর্তৃত্ব এবং সংবিধান দ্বারা নির্ধারিত।
-
এই অধিকার লঙ্ঘন করলে রাষ্ট্র শাস্তি প্রদান করে।
-
উদাহরণ: জীবনধারণের অধিকার, খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থানের অধিকার।
-
সমাজ বা রাষ্ট্রভেদে এ অধিকারের তারতম্য ঘটে না।

0
Updated: 19 hours ago
United Nations Human Rights Council (UNHRC)-এর মতে, সুশাসনের মূল উপাদান কয়টি?
Created: 5 days ago
A
৪টি
B
৫টি
C
৬টি
D
৮টি
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন বা United Nations Human Rights Council (UNHRC)-এর মতে, সুশাসনের জন্য কিছু মৌলিক উপাদান অপরিহার্য। এ উপাদানগুলো রাষ্ট্র ও সমাজে ন্যায়সঙ্গত, স্বচ্ছ ও জনগণমুখী শাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
সুশাসনের মূল উপাদান (UNHRC অনুযায়ী):
-
স্বচ্ছতা (Transparency)
-
দায়বদ্ধতা (Responsibility)
-
জবাবদিহিতা (Accountability)
-
অংশগ্রহণ (Participation)
-
সংবেদনশীলতা (Responsiveness)
-

0
Updated: 5 days ago
মূল্যবোধের......হলো সংস্কৃতি।
Created: 5 days ago
A
প্রাণ
B
সোপান
C
চালিকাশক্তি
D
কোনটিই নয়
মূল্যবোধ হলো সেই মৌলিক নীতি, ধারণা ও বিশ্বাস যা মানুষের আচরণ, কর্মকাণ্ড ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দিকনির্দেশনা দেয়। সমাজজীবনে একজন ব্যক্তি কিভাবে চলবে, অন্যদের সাথে কিভাবে আচরণ করবে, কোন কাজ ভালো এবং কোন কাজ মন্দ তা নির্ধারণ করে মূল্যবোধ। এগুলো সমাজ ও সংস্কৃতির সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত।
-
ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত জীবনে প্রভাব: সমাজে মানুষের ব্যক্তিগত জীবন যেমন—আচার-আচরণ, পারিবারিক সম্পর্ক, সামাজিক যোগাযোগ—সবকিছুই মূল্যবোধ দ্বারা প্রভাবিত হয়। একইভাবে সমষ্টিগতভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা, শিক্ষা, অর্থনীতি, সংস্কৃতি ইত্যাদি ক্ষেত্রেও মূল্যবোধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
সংস্কৃতির ভূমিকা: মানুষের আচরণ ও মূল্যবোধ গঠনে সংস্কৃতি প্রধান ভূমিকা পালন করে। সংস্কৃতির মাধ্যমে মানুষ শিখে কীভাবে আচরণ করতে হবে এবং কোন কাজ সমাজে গ্রহণযোগ্য বা অগ্রহণযোগ্য।
-
আচরণের ভিন্নতা: বিভিন্ন সমাজে ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি প্রচলিত থাকার কারণে মানুষের আচরণেও পার্থক্য দেখা যায়। যেমন, একটি সমাজে যে কাজকে নৈতিক বা গ্রহণযোগ্য মনে করা হয়, অন্য সমাজে সেটিকে অগ্রহণযোগ্য মনে হতে পারে। এই ভিন্নতার পেছনে মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির পার্থক্য কাজ করে।
-
সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের সম্পর্ক: সংস্কৃতিকে মূল্যবোধের চালিকাশক্তি বলা হয়, কারণ সংস্কৃতি মানুষকে কাঙ্ক্ষিত আচরণের দিকনির্দেশনা দেয় এবং মূল্যবোধকে জীবন্ত রাখে।
⇒ অর্থাৎ, মূল্যবোধ সমাজে শৃঙ্খলা, সহযোগিতা, ন্যায়পরায়ণতা, সততা, দায়িত্বশীলতা ইত্যাদি গুণাবলী প্রতিষ্ঠা করে এবং একটি উন্নত ও মানবিক সমাজ গঠনে সহায়তা করে।

0
Updated: 5 days ago
জাতীয় উন্নতির চাবিকাঠি -
Created: 5 days ago
A
সামাজিক মূল্যবোধ
B
নৈতিক মূল্যবোধ
C
রাজনৈতিক মূল্যবোধ
D
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে সমাজ ও রাষ্ট্রে এই মূল্যবোধের ধারণা বেশি উন্নত, সেই সমাজ ও রাষ্ট্র তত উন্নত ও প্রগতিশীল হয়।
-
জাতীয় সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ভিত্তি: গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ একটি জাতির রাজনৈতিক সম্পদ হিসেবে বিবেচিত। এর ওপর ভিত্তি করে জাতির সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য গড়ে ওঠে।
-
জাতীয় উন্নতির চাবিকাঠি: গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ জাতিকে কর্মঠ ও পরিশ্রমী করে এবং দ্রুত উন্নতি অর্জনের পথ সুগম করে।
-
দেশাত্মবোধ জাগ্রত করে: এটি নাগরিকদের মধ্যে নিজের প্রতি ও দেশের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি করে এবং দেশের মঙ্গলের জন্য কর্তব্য পালন করার মনোভাব জাগ্রত করে।
-
সামাজিক বন্ধন ও জাতীয় ঐক্য সুদৃঢ় করে: গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রত্যেকের মধ্যে সৌভ্রাতৃত্ববোধ, সহানুভূতি ও সহমর্মিতা তৈরি করে, যার ফলে সামাজিক বন্ধন ও জাতীয় ঐক্য দৃঢ় হয়।
-
নাগরিকের ব্যক্তিত্ব বিকাশে সাহায্য করে: এটি নাগরিকের ব্যক্তিত্বের পূর্ণ বিকাশ ও পরিপূর্ণতা নিশ্চিত করে।
-
উদারতা ও সহনশীলতার শিক্ষা দেয়: গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ফলে রাজনৈতিক সততা, শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধ, সহিষ্ণুতা, সংখ্যাগরিষ্ঠ ও সংখ্যালঘিষ্ঠের প্রতি শ্রদ্ধা, বিরোধী মত প্রচার ও নির্বাচনে জয়-পরাজয় মেনে নেওয়ার মনোভাব তৈরি হয়। এর ফলে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে উত্তেজনা প্রশমিত হয়।
-
জবাবদিহিতার মানসিকতা ও দায়িত্বশীল আচরণ: নাগরিক ও সরকার উভয়েই দায়িত্বশীল হয়ে ওঠে। সরকার তাদের কাজের জন্য জনগণের নিকট জবাবদিহি করে এবং আইনসভায় জনপ্রতিনিধিদের প্রশ্নের উত্তর বা কৈফিয়ত প্রদান করে।
-
শৃঙ্খলাবোধ জাগ্রত করে: গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ জাতিকে শৃঙ্খলাবদ্ধ হতে উদ্বুদ্ধ করে, যা রাষ্ট্রের অগ্রগতি ও উন্নতি ত্বরান্বিত করে।
-
নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে সরকার পরিবর্তন: এটি নির্বাচনি রায় ও জনগণের ম্যান্ডেট মেনে সরকারকে নির্দিষ্ট মেয়াদে কাজ করতে দেয় এবং শান্তিপূর্ণভাবে সরকার গঠন ও পরিবর্তনের মানসিকতা তৈরি করে।

0
Updated: 5 days ago