কোনটি চর্চা ব্যতীত সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়?
A
ধর্ম
B
সামাজিক প্রথা
C
মূল্যবোধ শিক্ষা
D
প্রযুক্তিগত দক্ষতা
উত্তরের বিবরণ
সুশাসন ও মূল্যবোধ শিক্ষা
-
মূল ধারণা: সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য স্বচ্ছতা, ন্যায়পরায়ণতা, জবাবদিহিতা, মানবিকতা ও নৈতিকতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
মূল্যবোধ শিক্ষার ভূমিকা: এই গুণাবলী অর্জন করা যায় মূল্যবোধ শিক্ষার মাধ্যমে। এটি ব্যক্তি ও সমাজকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে, ন্যায়পরায়ণ ও জবাবদিহিতামূলক শাসন প্রতিষ্ঠা করতে সহায়ক।
-
সুশাসন ও মূল্যবোধের সম্পর্ক: মূল্যবোধ শিক্ষা ছাড়া সুশাসন সম্ভব নয়।
উল্লেখযোগ্য বিষয়সমূহ:
-
ধর্ম মানুষের নৈতিকতা গঠনে সহায়তা করতে পারে, তবে এটি সুশাসনের একমাত্র পূর্বশর্ত নয়।
-
কিছু সামাজিক প্রথা সুশাসনের সহায়ক হলেও, অনেক ক্ষেত্রে এগুলো বৈষম্য সৃষ্টি করতে পারে।
-
প্রযুক্তিগত দক্ষতা প্রশাসনিক বা কার্যকরী দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারে, কিন্তু নৈতিকতা ও ন্যায়পরায়ণতা ব্যতীত সুশাসন নিশ্চিত করতে পারে না।

0
Updated: 19 hours ago
মূল্যবোধ কাকে বলা হয়?
Created: 2 weeks ago
A
অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যম
B
মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী নীতি ও মানদণ্ড
C
কেবল রাষ্ট্রীয় আইন
D
ব্যক্তিগত সম্পত্তি
আধুনিক মূল্যবোধ
সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্য:
-
সমাজ ক্রমশ পরিবর্তনশীল, তাই মূল্যবোধও সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়।
-
অতীতের অনেক মূল্যবোধ আজ অর্থহীন হয়ে গেছে। উদাহরণস্বরূপ, বাল্যবিবাহের প্রচলন অতীতে ছিল, কিন্তু বর্তমানে তা অগ্রহণযোগ্য।
-
রাষ্ট্র আইন প্রণয়ন করে বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছে।
উদাহরণ:
-
অতীতে হিন্দু সমাজে প্রচলিত সতীদাহ, সহমরণ, বিধবা বিবাহ নিষিদ্ধ প্রথা আজ নেই।
-
বর্তমান আধুনিক মূল্যবোধের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত:
-
বিধবা বিবাহ প্রথা চালু
-
নারী, পুরুষ ও তৃতীয় লিঙ্গের সমান সুযোগ
-
বাল্যবিবাহ বন্ধ
-
সতীদাহ প্রথা বন্ধ
-
বিশেষ মন্তব্য:
-
মূল্যবোধ নৈর্ব্যক্তিক।
-
বর্তমানের অনেক মূল্যবোধ ভবিষ্যতে থাকবে না, নতুন মূল্যবোধের উদ্ভব হবে।

0
Updated: 2 weeks ago
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকের কর্তব্য হলো -
Created: 3 weeks ago
A
সরকার পরিচালনায় সাহায্য করা
B
নিজের অধিকার ভোগ করা
C
সৎভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করা
D
নিয়মিত কর প্রদান করা
সুশাসন
একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নাগরিক শুধু অধিকার ভোগ করবে এমন নয়, বরং তার বিনিময়ে কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্যও পালন করতে হয়। সুশাসন প্রতিষ্ঠা কেবল সরকারের একার কাজ নয়, বরং জনগণেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
কারণ, যদি জাতি কর্তব্যবিমুখ হয় তবে তারা কখনোই উন্নতি করতে পারে না এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করাও সম্ভব হয় না।
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় প্রতিটি নাগরিকের কিছু মৌলিক কর্তব্য রয়েছে, যেমন:
-
সামাজিক দায়িত্ব পালন করা।
-
রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন।
-
আইন মেনে চলা।
-
সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব বেছে নেওয়া।
-
নিয়মিত কর পরিশোধ করা।
-
রাষ্ট্রের সেবা করা।
-
সন্তানদের সঠিক শিক্ষা প্রদান।
-
দেশের উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহণ করা।
-
জাতীয় সম্পদ রক্ষা করা।
-
আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহায়তা করা।
-
সর্বদা সচেতন ও সজাগ থাকা।
-
সংবিধান মেনে চলা।
-
সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আন্তরিক হওয়া।
-
উদার ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করা।
➡️ সারসংক্ষেপে বলা যায়: সুশাসন কেবল সরকারের প্রচেষ্টার মাধ্যমে সম্ভব নয়, বরং নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও কর্তব্য পালনের মাধ্যমেই এটি প্রতিষ্ঠা করা যায়।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন (প্রথম পত্র), একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি, মো: মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 3 weeks ago
সামাজিক মূল্যবোধ নয় কোনটি?
Created: 5 days ago
A
সততা
B
সহনশীলতা
C
ন্যায়পরায়ণতা
D
সাম্প্রদায়িকতা
সামাজিক মূল্যবোধ
সাম্প্রদায়িকতা কোনো সামাজিক মূল্যবোধ নয়। সামাজিক মূল্যবোধ হলো সেই নীতি ও মানদণ্ড যা মানুষের সামাজিক আচরণ ও কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত করে। এটি ব্যক্তি ও সমাজের সমষ্টিগত আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং সমাজে ন্যায়, শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
-
সামাজিক মূল্যবোধ হলো মানুষের চিন্তা-ভাবনা, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, যা সামাজিক আচার-আচরণ পরিচালিত করে।
-
এটি ব্যক্তিগত এবং সমষ্টিগত আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে।
-
সমাজবিজ্ঞানী ফ্রান্সিস ই. মেরিল (Francises E. Meril) এর মতে, "সামাজিক মূল্যবোধ হলো মানুষের দলীয় কল্যাণের জন্য আচরণ সংরক্ষণ করা, যা মানুষ গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করে।"
-
সামাজিক মূল্যবোধ ব্যক্তি ও সমাজের অভিন্ন ও অবিচ্ছেদ্য আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ।
-
সামাজিক মূল্যবোধের অন্তর্ভুক্ত:
-
শিষ্টাচার
-
সততা
-
ন্যায়পরায়ণতা ও ন্যায়বিচার
-
সহনশীলতা ও সহমর্মিতা
-
শ্রমের মর্যাদা
-
শৃঙ্খলাবোধ
-
সময়ানুবর্তিতা
-
দানশীলতা ও উদারতা
-
অন্যান্য মানবিক সুকুমার বৃত্তি
-

0
Updated: 5 days ago