মানুষের হৃৎপিণ্ডে কতটি প্রকোষ্ঠ থাকে?
A
দুইটি
B
চারটি
C
ছয়টি
D
আটটি
উত্তরের বিবরণ
হৃৎপিণ্ড
-
হৃৎপিণ্ড রক্ত সঞ্চালনের একটি পাম্প হিসেবে কাজ করে, যা রক্তবাহক ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।
-
এটি ক্রমাগত সংকোচন এবং প্রসারণের মাধ্যমে দেহের বিভিন্ন অংশে রক্ত প্রবাহিত করে।
-
মানুষের হৃৎপিণ্ড বক্ষগহ্বরের মধ্যে অবস্থিত, ফুসফুসের মাঝে এবং মধ্যচ্ছদার উপরে।
-
হৃৎপিণ্ডের প্রশস্ত অংশটি উপরের দিকে থাকে এবং নীচে অংশটি তির্যক বা ছুরির মতো আকৃতির।
-
এটি একটি দ্বিস্তরীয় পেরিকার্ডিয়াম নামক আবরণের দ্বারা আবৃত, যার স্তরগুলোর মধ্যে পেরিকার্ডিয়াল ফ্লুইড থাকে, যা সংকোচনের সময় ঘর্ষণ কমাতে সাহায্য করে।
-
মানুষের হৃৎপিণ্ড চারটি কক্ষ নিয়ে গঠিত।
-
উপরের দুটি কক্ষকে ডান এবং বাম অলিন্দ (Atrium) বলা হয়, এবং নিচের দুটি কক্ষকে ডান ও বাম নিলয় (Ventricles) বলা হয়।
-
অলিন্দের প্রাচীর তুলনামূলক পাতলা হলেও, নিলয় দুটির প্রাচীর পুরু ও পেশিসমৃদ্ধ।
-
ডান অলিন্দে দুটি প্রধান শিরা যুক্ত — একটি ঊর্ধ্ব মহাশিরা (Superior Vena Cava) এবং একটি নিম্ন মহাশিরা (Inferior Vena Cava)।
-
বাম নিলয়ের সাথে চারটি পালমোনারি শিরা সংযুক্ত থাকে।
-
ফুসফুসীয় ধমনি ডান নিলয় থেকে এবং মহাধমনি (Aorta) বাম নিলয় থেকে উৎপন্ন হয়।
উৎস: বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।
0
Updated: 3 months ago
মানুষের গায়ের রং কোন উপাদানের উপর নির্ভর করে?
Created: 3 months ago
A
মেলানিন
B
থায়ামিন
C
ক্যারোটিন
D
হিমোগ্লোবিন
মানবদেহের ত্বকে থাকা বিশেষ ধরনের কোষ, যাদের বলা হয় মেলানোসাইট, তারা মেলানিন নামের এক ধরনের রঞ্জক উৎপন্ন করে। এই মেলানিনের পরিমাণ ও বিস্তারের উপরই মানুষের গায়ের রঙ গাঢ় বা ফর্সা হয়।
অন্যদিকে, মস্তিষ্কে অবস্থিত পিনিয়াল গ্রন্থি মেলাটোনিন নামক একটি হরমোন নিঃসরণ করে, যা ঘুম ও জাগরণের সময়চক্র নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
যখন মেলানিন একেবারেই অনুপস্থিত থাকে, তখন ত্বকে কোনো রঙ থাকে না — ত্বক সাদাটে হয়ে যায়। এই অবস্থাকেই বিজ্ঞানের ভাষায় অ্যালবিনিজম বলা হয়, যা একটি বংশগত বৈশিষ্ট্যজনিত অবস্থা।
উৎস: প্রাণিবিজ্ঞান (একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি), ব্রিটানিকা ওয়েবসাইট।
0
Updated: 3 months ago
নিচের কোনটি DNA-এর নাইট্রোজেন বেস?
Created: 3 months ago
A
ইউরাসিল
B
গোয়ানিন
C
পিরিডক্সিন
D
অ্যাসপারাজিন
ডিএনএ (DNA)
-
Deoxyribo Nucleic Acid (DNA) হলো ক্রোমোসোমের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও স্থায়ী উপাদান।
-
ক্রোমোসোমে থাকা বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে DNA প্রায় ৪৫% অংশ জুড়ে থাকে।
-
এটি ৯০% ক্রোমোসোমে বিদ্যমান থাকে, যা তার বিস্তৃত উপস্থিতিকে নির্দেশ করে।
-
DNA একটি পলিমারিক যৌগ, যার গঠনের একক একককে নিউক্লিয়োটাইড বলা হয়।
-
প্রতিটি নিউক্লিয়োটাইড গঠিত তিনটি মূল অংশ নিয়ে:
-
পাঁচ-কার্বনবিশিষ্ট ডিঅক্সিরাইবোজ চিনির অণু,
-
নাইট্রোজেনযুক্ত একটি ক্ষারক (যথা: অ্যাডেনিন, গুয়ানিন, থায়ামিন, সাইটোসিন),
-
এবং একটি ফসফরিক অ্যাসিড।
-
আরএনএ (RNA)
-
RNA এর পূর্ণরূপ হলো Ribo Nucleic Acid।
-
এটি DNA এর মতো স্থায়ী উপাদান নয়, বরং সাময়িকভাবে কার্য সম্পাদনে অংশগ্রহণ করে।
-
ক্রোমোসোমে RNA এর পরিমাণ তুলনামূলকভাবে অনেক কম, যা ০.২% থেকে ১.৪% পর্যন্ত হয়ে থাকে।
-
প্রতিটি RNA অণু একসূত্র বিশিষ্ট (single-stranded)।
-
এর গঠন উপাদান তিনটি:
-
রাইবোজ শর্করা, যার ২ নম্বর কার্বনে একটি অক্সিজেন অণু উপস্থিত থাকে,
-
একটি অজৈব ফসফেট,
-
এবং নাইট্রোজেনযুক্ত ক্ষারক (যেমন: অ্যাডেনিন, গুয়ানিন, সাইটোসিন ও ইউরাসিল)।
-
-
RNA-তে থায়ামিন অনুপস্থিত; তার পরিবর্তে ইউরাসিল ক্ষারক থাকে।
-
এটি সাধারণত ১০% ক্রোমোসোমে পাওয়া যায়।
-
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, ভাইরাসের ক্ষেত্রে RNA অনেক সময় স্থায়ী জিনগত উপাদান হিসেবে কাজ করে।
তথ্যসূত্র: জীববিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 3 months ago
কোন ইঞ্জিনে কার্বুরেটর থাকে?
Created: 3 months ago
A
পেট্রোল ইঞ্জিনে
B
ডিজেল ইঞ্জিনে
C
রকেট ইঞ্জিনে
D
বিমান ইঞ্জিনে
মোটরগাড়ির ইঞ্জিনে যেখানে বায়ু এবং পেট্রোলের সঠিক অনুপাতে মিশ্রণ তৈরির কাজ হয়, সেই অংশটিকে কার্বুরেটর বলা হয়। এই মিশ্রিত বায়ু-পেট্রোল কম্বো দহন কক্ষে পাঠানো হয় যাতে ইঞ্জিনের ভিতরে সমন্বিত ও সুষ্ঠুভাবে জ্বালানি জ্বালাতে পারে।
সকল ধরণের ইঞ্জিনেই কার্বুরেটর থাকে না, বিশেষ করে পেট্রোল চালিত ইঞ্জিনে তিনটি কার্বুরেটর ব্যবহৃত হয়।
কার্বুরেটর স্পার্ক ইগনিশন ইঞ্জিনের জন্য বায়ু এবং জ্বালানির এমন এক মিশ্রণ তৈরি করে যা সহজেই দহনযোগ্য। এছাড়াও এটি গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের কাজও করে থাকে। পেট্রোলকে সূক্ষ্ম কণা হিসেবে রূপান্তরিত করে বাতাসের সঙ্গে মিশিয়ে দেয়, যাতে ইঞ্জিনে জ্বালানি নির্বিঘ্নে এবং কার্যকরভাবে জ্বলে।
উৎস: ব্রিটানিকা বিশ্বকোষ।
0
Updated: 3 months ago