কোন ইঞ্জিনে কার্বুরেটর থাকে?
A
পেট্রোল ইঞ্জিনে
B
ডিজেল ইঞ্জিনে
C
রকেট ইঞ্জিনে
D
বিমান ইঞ্জিনে
উত্তরের বিবরণ
মোটরগাড়ির ইঞ্জিনে যেখানে বায়ু এবং পেট্রোলের সঠিক অনুপাতে মিশ্রণ তৈরির কাজ হয়, সেই অংশটিকে কার্বুরেটর বলা হয়। এই মিশ্রিত বায়ু-পেট্রোল কম্বো দহন কক্ষে পাঠানো হয় যাতে ইঞ্জিনের ভিতরে সমন্বিত ও সুষ্ঠুভাবে জ্বালানি জ্বালাতে পারে।
সকল ধরণের ইঞ্জিনেই কার্বুরেটর থাকে না, বিশেষ করে পেট্রোল চালিত ইঞ্জিনে তিনটি কার্বুরেটর ব্যবহৃত হয়।
কার্বুরেটর স্পার্ক ইগনিশন ইঞ্জিনের জন্য বায়ু এবং জ্বালানির এমন এক মিশ্রণ তৈরি করে যা সহজেই দহনযোগ্য। এছাড়াও এটি গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের কাজও করে থাকে। পেট্রোলকে সূক্ষ্ম কণা হিসেবে রূপান্তরিত করে বাতাসের সঙ্গে মিশিয়ে দেয়, যাতে ইঞ্জিনে জ্বালানি নির্বিঘ্নে এবং কার্যকরভাবে জ্বলে।
উৎস: ব্রিটানিকা বিশ্বকোষ।

0
Updated: 1 month ago
সমুদ্রে দ্রাঘিমাংশ নির্ণয়ের যন্ত্রের নাম-
Created: 1 month ago
A
ক্রোনোমিটার
B
কম্পাস
C
সিসমোগ্রাফ
D
সেক্সট্যান্ট
পরিমাপের যন্ত্রসমূহ:
-
অ্যানিমোমিটার – বায়ুর গতি বা বাতাসের প্রবাহের শক্তি পরিমাপের যন্ত্র।
-
ব্যারোমিটার – বায়ুমন্ডলের চাপ মাপার যন্ত্র।
-
সেক্সট্যান্ট – সূর্য ও অন্যান্য গ্রহের উচ্চতা বা কোণ পরিমাপের যন্ত্র।
-
সিসমোগ্রাফ – ভূমিকম্পের কম্পন বা লহর রেকর্ড করার যন্ত্র।
-
ম্যানোমিটার – গ্যাসের চাপ নির্ণয়ের যন্ত্র।
-
ফ্যাডোমিটার – সমুদ্রের গভীরতা মাপার যন্ত্র।
-
জায়রো কম্পাস – জাহাজের চলার দিক নির্ধারণের যন্ত্র।
-
ক্রোনোমিটার – সময় খুব সূক্ষ্মভাবে মাপার জন্য বা সমুদ্রযাত্রায় দ্রাঘিমা নির্ধারণের যন্ত্র।
উৎস: ব্রিটানিকা এবং উচ্চ-মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান।

0
Updated: 1 month ago
কোন আলোক তরঙ্গ মানব চোখে দেখতে পাওয়া যায়?
Created: 1 month ago
A
১০ থেকে ৪০০ নেমি (nm)
B
৪০০ থেকে ৭০০ নেমি (nm)
C
১০০ মাইক্রোমিটার (um) থেকে ১ মি(m)
D
১ মি(m) - এর ঊধবে
আলো হলো একটি বিদ্যুৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ।
-
আমরা সব ধরনের আলো দেখতে পাই না।
-
যে আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য ৪০০ ন্যানোমিটার থেকে ৭০০ ন্যানোমিটার পর্যন্ত, সেই আলোই আমরা দেখতে পাই।
-
ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো বেগুনি রঙের হয়। তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত বাড়ে, আলো তার রঙ পরিবর্তন করে।
-
এই ধরনের আলোকে আমরা দৃশ্যমান আলো বা আই-লাইট বলি।
-
আলোর তরঙ্গ একটি অনুপ্রস্থ তরঙ্গ।
বিভিন্ন বিদ্যুৎ-চুম্বকীয় বিকিরণের তরঙ্গদৈর্ঘ্য (nm = 10⁻⁹ m):
-
মহাজাগতিক রশ্মি: <0.00005 nm
-
গামা রশ্মি: 0.0005 – 0.15 nm
-
এক্স-রে (রঞ্জন রশ্মি): 0.01 – 10 nm
-
অতিবেগুনি রশ্মি: <380 nm
-
দৃশ্যমান আলো: 400 – 700 nm
-
ইনফ্রারেড (অবলোহিত) আলো: >700 nm
-
রেডিও ও টেলিভিশন তরঙ্গ: >2.2 × 10⁵ nm
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
কোনটি অর্ধ-পরিবাহী (Semi-conductor) নয়?
Created: 1 month ago
A
লোহা
B
সিলিকন
C
জার্মেনিয়াম
D
গ্যালিয়াম
পরিবাহী (Conductor)
-
যেসব পদার্থের ভেতর দিয়ে খুব সহজে বিদ্যুৎ চলাচল করতে পারে, তাদের বলা হয় পরিবাহী।
-
সাধারণত ধাতব পদার্থ বিদ্যুতের ভালো পরিবাহক হয়। যেমন— তামা, রূপা, লোহা, অ্যালুমিনিয়াম ইত্যাদি।
-
পরিবাহীর বিদ্যুৎ প্রতিরোধ (রোধ) খুবই কম, প্রায় মাত্রার।
-
সব ধাতুর মধ্যে রূপা সবচেয়ে ভালো পরিবাহক।
অপরিবাহী (Insulator)
-
যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হতে পারে না, তাদেরকে অপরিবাহী বা অন্তরক বলে।
-
উদাহরণ: কাচ, কাঠ, রাবার, প্লাস্টিক ইত্যাদি।
-
এ ধরনের পদার্থ বিদ্যুৎ খুব কম পরিবাহন করে এবং এদের রোধের মান অত্যন্ত বেশি।
অর্ধপরিবাহী (Semiconductor)
-
যেসব পদার্থের বিদ্যুৎ পরিবাহিতা পরিবাহী ও অপরিবাহীর মাঝামাঝি, তাদেরকে অর্ধপরিবাহী বলে।
-
উদাহরণ: সিলিকন, জার্মেনিয়াম, গেলিয়াম ইত্যাদি।
-
অর্ধপরিবাহীর রোধ মাঝারি মানের হয়, যা প্রায় থেকে পর্যন্ত হতে পারে।
সহজভাবে বললে—
-
পরিবাহী বিদ্যুৎ সহজে চালায়।
-
অপরিবাহী বিদ্যুৎ একদমই চালায় না।
-
আর অর্ধপরিবাহী মাঝামাঝি, কখনো বিদ্যুৎ চালায় আবার কখনো চালায় না, তাই প্রযুক্তিতে এগুলো বেশি ব্যবহৃত হয়।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র, এইচএসসি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago