"সামাজিক মূল্যবোধ হলো ঐ সমস্ত রীতি-নীতির সমষ্টি যা ব্যক্তি সমাজের কাছ থেকে আশা করে এবং সমাজ ব্যক্তির নিকট থেকে লাভ করে।"- কার উক্তি?
A
এইচ, ডি, স্টেইন
B
স্টুয়ার্ট.সি.ডড
C
ম্যাকাইভার
D
এম, আর উইলিয়াম
উত্তরের বিবরণ
সামাজিক মূল্যবোধ
-
সংজ্ঞা: সামাজিক মূল্যবোধ হলো কিছু নীতি, আদর্শ ও আচরণবিধি যেগুলোকে একটি সমাজের মানুষ গ্রহণযোগ্য ও ভাল হিসেবে মেনে চলে।
-
এটি মানুষের ব্যক্তিগত ও সামাজিক আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে।
-
ব্যক্তি ও সমাজের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার প্রকাশই সামাজিক মূল্যবোধ।
বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা:
-
স্টুয়ার্ট.সি.ডড: "সামাজিক মূল্যবোধ হলো সেই সমস্ত রীতি-নীতির সমষ্টি যা ব্যক্তি সমাজের কাছ থেকে আশা করে এবং সমাজ ব্যক্তির নিকট থেকে লাভ করে।"
-
এম. আর. উইলিয়াম: "মূল্যবোধ মানুষের ইচ্ছার মানদণ্ড, যার আদর্শে মানুষের ব্যবহার ও রীতি-নীতি নিয়ন্ত্রিত হয় এবং সমাজে মানুষের কাজের ভাল-মন্দের বিচার করা হয়।"
-
এইচ. ডি. স্টেইন: "জনসাধারণ যার প্রতি আগ্রহশীল, যা তারা কামনা করে, যাকে অত্যাবশ্যক মনে করে, যার প্রতি সকলের শ্রদ্ধা আছে এবং যা সম্পাদনের মাধ্যমে তারা আনন্দ উপভোগ করে—তাকে সামাজিক মূল্যবোধ বলে।"

0
Updated: 19 hours ago
মানুষের কোন ক্রিয়া নীতিবিদ্যার আলোচ্য বিষয়?
Created: 1 month ago
A
ঐচ্ছিক ক্রিয়া
B
অনৈচ্ছিক ক্রিয়া
C
ইচ্ছা নিরপেক্ষ ক্রিয়া
D
ক ও গ নামক ক্রিয়া
নীতিবিদ্যা (Ethics)
নীতিবিদ্যা বা Ethics শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ Ethos থেকে, যার অর্থ “আচরণের ধরন” বা “ঐচ্ছিক আচরণ”। নীতিবিদ্যার মূল কাজ হলো মানুষের আচরণের নৈতিক মূল্যায়ন করা এবং তার আদর্শ নির্ধারণ করা। এটি মানুষের আচরণের নিয়ম-কানুন বা রীতিনীতি সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞান।
নীতিবিদ্যা মানুষের ঐচ্ছিক আচরণ নিয়ে আলোচনা করে। ঐচ্ছিক আচরণ বলতে সেই আচরণকে বোঝায়, যা মানুষ নিজের ইচ্ছায়, সচেতনভাবে করে থাকে।
উদাহরণস্বরূপ, উইলিয়াম লিলি তাঁর বই An Introduction to Ethics-এ নীতিবিদ্যার সংজ্ঞা দিয়েছেন:
“নীতিবিদ্যা হলো সমাজে বসবাসকারী মানুষের আচরণ সম্পর্কিত বিজ্ঞান, যেখানে আচরণের সঠিকতা বা অসঠিকতা, ভালো বা মন্দ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।”
সংক্ষেপে বলা যায়,
নীতিবিদ্যা হলো এমন একটি জ্ঞানশাখা যা মানুষের ঐচ্ছিক আচরণের ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, উচিত-অনুচিত, যথার্থতা-অযথার্থতা নির্ধারণ করে, আচরণের মানদণ্ড ও নিয়মাবলী নির্ধারণ করে এবং এগুলোর প্রয়োগ বিশ্লেষণ করে।
উৎস: নীতিবিদ্যা, এসএসএইচএল, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, Britannica.

0
Updated: 1 month ago
মূল্যবোধের অপরিহার্য উপাদান কোনটি?
Created: 19 hours ago
A
শৃঙ্খলা
B
শিক্ষাগত যোগ্যতা
C
স্বাধীনতা
D
শ্রমের মর্যাদা
মূল্যবোধের উপাদান
মূল্যবোধ হলো একজন ব্যক্তির আচরণ ও নৈতিকতার মানদণ্ড, যা সমাজে দীর্ঘকাল বসবাস ও সামাজিক পরিবেশের প্রভাবের মাধ্যমে গড়ে ওঠে। এটি ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব ও সামাজিক সম্পর্ককে প্রভাবিত করে। মূলত নিম্নলিখিত উপাদানগুলো মূল্যবোধের ভিত্তি গঠন করে:
ক. নীতিবোধ:
-
নীতিবোধ হলো নৈতিকতার মূল উপাদান।
-
কোন কাজ করার সময় নিজের বিবেক, নীতি ও যুক্তি প্রয়োগ করা উচিত।
-
যৌক্তিকতা ও নৈতিকতা সংযুক্ত থাকলে নীতিবোধ পরিপূর্ণ হয়।
খ. শৃঙ্খলা:
-
শৃঙ্খলা হলো উচ্চমানের মূল্যবোধের অপরিহার্য অংশ।
-
এটি ব্যক্তি ও সমাজে নিয়ম ও সংহতির ধারণা তৈরি করে।
গ. সহমর্মিতা:
-
সহমর্মিতা বা দয়া নৈতিকতা ও সামাজিক মূল্যবোধের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত।
-
সহমর্মিতা ছাড়া একজন ব্যক্তি সম্পূর্ণ মূল্যবোধসম্পন্ন হতে পারে না।
ঘ. সৌজন্যবোধ:
-
ব্যক্তি ও সমাজের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে সৌজন্যবোধ প্রকাশ পায়।
-
এটি তার আচরণ, শালীনতা ও শিষ্টাচারের মাধ্যমে প্রকট হয়।
চ. মানবিকতা:
-
মানবিকতা হলো মানুষের শ্রেষ্ঠ গুণ।
-
এটি ছাড়া একজনকে সত্যিকার অর্থে মূল্যবোধসম্পন্ন বলা যায় না।
ছ. শ্রমের মর্যাদা:
-
শ্রমের মর্যাদা দেওয়া প্রত্যেকের দায়িত্ব।
-
এটি অনুশীলনের মাধ্যমে ব্যক্তির দৃষ্টিভঙ্গি ও অন্যের প্রতি সম্মান বৃদ্ধি পায়।

0
Updated: 19 hours ago
আধুনিক মূল্যবোধ হচ্ছে -
Created: 5 days ago
A
আইন মেনে চলা
B
বাল্যবিবাহ বন্ধ করা
C
আইনসভাকে কার্যকর হতে সাহায্য করা
D
কোনটি নয়
আধুনিক মূল্যবোধ
-
সমাজ পরিবর্তনশীল, তাই মূল্যবোধও ক্রমশ পরিবর্তিত হয়।
-
অতীতের অনেক মূল্যবোধ বর্তমানে অর্থহীন হয়ে গেছে।
-
উদাহরণস্বরূপ, বাল্যবিবাহ অতীতে প্রচলিত ছিল, কিন্তু এখন অপছন্দনীয়। রাষ্ট্র আইন প্রণয়ন করে বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধ করেছে।
-
অতীতে হিন্দু সমাজে প্রচলিত ছিল সতীদাহ, সহমরণ প্রথা এবং বিধবা বিবাহ নিষিদ্ধ। বর্তমানে এসব প্রথা নেই।
-
মূল্যবোধের পরিবর্তন হওয়ায় তা নৈর্ব্যক্তিক, অর্থাৎ সমাজের সময় ও প্রয়োজন অনুযায়ী গড়ে ওঠে।
-
বর্তমানের কিছু মূল্যবোধ ভবিষ্যতে অপসারণযোগ্য, এবং নতুন মূল্যবোধ উদ্ভূত হতে পারে।

0
Updated: 5 days ago