পদ্মা নদীর উৎপত্তিস্থল কোথায়?
A
আসামের লুসাই পাহাড়
B
কৈলাশ শৃঙ্গের মানস সরোবর হ্রদ
C
হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ
D
সিকিমের পার্বত্য অঞ্চল
উত্তরের বিবরণ
পদ্মা নদী:
- বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান নদী পদ্মা।
- এ নদী গঙ্গা নামে মধ্য হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে উৎপন্ন হয়েছে।
- এরপর প্রথমে দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পরে দক্ষিণ-পূর্ব দিক দিয়ে অগ্রসর হয়ে ভারতের হরিদ্বারের নিকট গঙ্গা নামে সমভূমিতে প্রবেশ করেছে।
- গঙ্গা নদীর মূল প্রবাহ রাজশাহী জেলার দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের সীমানা বরাবর এসে কুষ্টিয়ার উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
- এরপর রাজবাড়ি জেলার গোয়ালন্দের নিকট যমুনার সাথে মিলিত হয়েছে।
- এই মিলিত ধারা পদ্মা নামে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে চাঁদপুরে মেঘনার সাথে মিশেছে।
- অত:পর তিন নদীর মিলিত স্রোত মেঘনা নামে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।
- পদ্মার শাখানদীগুলোর মধ্যে কুমার, ভৈরব, গড়াই, মাথাভাঙ্গা, ইছামতি, আড়িয়াল খাঁ উল্লেখযোগ্য।
ভূগোল ও পরিবেশ, এস এস সি প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 20 hours ago
পৃথিবীর আহ্নিক গতি বলতে কী বোঝায়?
Created: 20 hours ago
A
সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর আবর্তন
B
পৃথিবীর নিজ অক্ষে আবর্তন
C
চাঁদের চারপাশে পৃথিবীর আবর্তন
D
পৃথিবীর কক্ষপথ পরিবর্তন
পৃথিবীর আহ্নিক গতি বলতে বোঝায় পৃথিবীর নিজ অক্ষে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তন। পৃথিবী সূর্যকে কেন্দ্র করে প্রতি ২৩ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট ৪ সেকেন্ডে বা প্রায় ২৪ ঘণ্টায় একবার সম্পূর্ণ আবর্তন করে। এই সময়কে সৌরদিন বলা হয় এবং এই আবর্তনকেই আহ্নিক গতি বা দৈনিক গতি বলা হয়। আহ্নিক গতির মূল কারণ হলো পৃথিবীর আবর্তন ও পৃথিবীর আকৃতি।
আহ্নিক গতির ফলাফল:
১. দিবা-রাত্রির সংঘটন: পৃথিবীর নিজ অক্ষে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তনের কারণে, আবর্তনরত অংশ যেখানে সূর্যের আলো পড়ে তা দিন হয় এবং অপর অংশে অন্ধকার থাকে, অর্থাৎ রাত।
২. জোয়ার-ভাটা: আহ্নিক গতির কারণে সমুদ্রে প্রতিদিন দুইবার জোয়ার এবং দুইবার ভাটা সৃষ্টি হয়।
৩. বায়ুপ্রবাহ ও সমুদ্রস্রোতের সৃষ্টি: ফেরেলের কোরিওলিস সূত্র অনুযায়ী আহ্নিক গতির ফলে বায়ুপ্রবাহ ও সমুদ্রস্রোত উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বামদিকে বাঁকে প্রবাহিত হয়।

0
Updated: 20 hours ago
ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে যে বায়ুপ্রবাহের দিক পরিবর্তিত হয় তাকে বলা হয়-
Created: 2 weeks ago
A
মৌসুমি বায়ু
B
অয়ন বায়ু
C
নিয়ত বায়ু
D
স্থলবায়ু
মৌসুমি বায়ু হলো ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বায়ুপ্রবাহের দিক পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট আঞ্চলিক বায়ু, যা বর্ষাকালে বিশেষভাবে বাংলাদেশে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়।
-
মৌসুমি শব্দটি এসেছে আরবি ভাষার “মত্তসুম”, যার অর্থ ঋতু।
-
সূর্যের উত্তরায়ণ ও দক্ষিণায়ন অনুযায়ী শীত ও গ্রীষ্মে স্থলভাগ ও জলভাগের তাপমাত্রার তারতম্য মৌসুমি বায়ু সৃষ্টি করে।
-
মৌসুমি বায়ু প্রধানত দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় লক্ষ্য করা যায়, পাশাপাশি কর্কটক্রান্তি অঞ্চলের যুক্তরাষ্ট্র, উত্তর অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকার কিছু অংশ, মধ্য এশিয়া ও উত্তর-পশ্চিম ভারতেও দেখা যায়।
-
উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল:
-
সূর্যকিরণ লম্বভাবে পড়ায় কর্কটক্রান্তিতে বায়ুর চাপ কমে এবং নিম্নচাপ কেন্দ্র সৃষ্টি হয়।
-
দক্ষিণ গোলার্ধের ক্রান্তীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে আগত দক্ষিণ-পূর্ব অয়ন বায়ু নিরক্ষরেখা অতিক্রম করে।
-
এ বায়ু এশিয়া মহাদেশের নিম্নচাপ কেন্দ্রের দিকে প্রবলবেগে চলে আসে এবং চীন, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, জাপান, কম্বোডিয়া, লাওস-এ বৃষ্টিপাত ঘটায়।
-
বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মিয়ানমার, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও মেঘালয়েও বৃষ্টি হয়।
-
-
শীতকালে:
-
সূর্য দক্ষিণ গোলার্ধে অবস্থান করে এবং মকরক্রান্তিতে নিম্নচাপ কেন্দ্র সৃষ্টি হয়।
-
উত্তর গোলার্ধে স্থলভাগ শীতল হওয়ায় উচ্চচাপ বলয় সৃষ্টি হয়।
-
বায়ু উত্তর-পূর্ব দিক থেকে প্রবাহিত হয়, যাকে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু বলা হয় এবং এটি শুষ্ক থাকে।
-
মৌসুমি বায়ু যখন নিরক্ষরেখা অতিক্রম করে, ফেরেলের সূত্র অনুযায়ী বাম দিকে বেঁকে যায় এবং উত্তর-পশ্চিমে মৌসুমি বায়ুরূপে উত্তর অস্ট্রেলিয়ার দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায়।
-
তথ্যসূত্র:

0
Updated: 2 weeks ago
মহীভাবক আলোড়নের ফলে নিম্নের কোনটি সৃষ্টি হয়?
Created: 1 week ago
A
মরুভূমি
B
সমুদ্র
C
মালভূমি
D
পাহাড়
মহীভাবক আন্দোলন (Epeirogenic Movement) হলো পৃথিবীর মহাদেশীয় ভূ-পৃষ্ঠে সৃষ্ট লম্বা ধরনের আন্দোলন, যা বিভিন্ন ভূমিরূপ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই আন্দোলনের ফলে মালভূমি, চ্যুতি, চ্যুতি ভৃগু তট, স্রস্ত উপত্যকা ও স্তূপ পর্বত ইত্যাদি সৃষ্টি হয়।
মহীভাবক আন্দোলনের উদাহরণসমূহ:
-
পূর্ব আফ্রিকা ও জর্ডানের স্রস্ত উপত্যকা
-
রাইন নদীর স্রস্ত উপত্যকা
-
উত্তর আমেরিকার হাডসন উপসাগরের দ্বীপসমূহ, যা মহীভাবক আন্দোলনের ফলে ভূ-ভাগ নিমজ্জিত হয়ে গঠিত হয়েছে।

0
Updated: 1 week ago