ভূ-ত্বক সৃষ্টির প্রথম পর্যায়ের ভূমিরূপের মধ্যে কোনটি অন্তর্ভুক্ত?
A
পর্বতশ্রেণি
B
মালভূমি
C
মহাদেশ ও মহাসাগর
D
মহীসোপান ও মহীঢাল
উত্তরের বিবরণ
পৃথিবীর প্রধান ভূমিরূপসমূহ পৃথিবীর ভূ-পৃষ্ঠের ভিন্নতাকে প্রতিফলিত করে। স্থলভাগে কোথাও সুউচ্চ পাহাড় ও পর্বত, কোথাও মালভূমি, কোথাও সুবিস্তৃত সমভূমি দেখা যায়।
প্রধান তথ্য:
-
পৃথিবীর ভূ-ভাগের শতকরা ৫৮% সমভূমি, ১৮% পার্বত্যময়, এবং অবশিষ্ট ২৪% মালভূমি ও পাহাড় দ্বারা বিস্তৃত।
-
ভূগোলবিদরা ভূমিরূপকে তিনটি পর্যায়ে ভাগ করেছেন:
১. প্রথম পর্যায়ের ভূমিরূপ
২. দ্বিতীয় পর্যায়ের ভূমিরূপ
৩. তৃতীয় পর্যায়ের ভূমিরূপ
প্রথম পর্যায়ের ভূমিরূপ:
-
ভূ-ত্বক সৃষ্টির প্রথম পর্যায়ে মহাদেশ ও মহাসাগর তৈরি হয়।
-
উপরের অংশগুলো মহাদেশীয় ভূ-ভাগ এবং নিচু অংশগুলো মহাসাগরীয় অঞ্চল গঠন করে।
-
এ প্রধান দুই ভূমিরূপকে প্রথম পর্যায়ের ভূমিরূপ বলা হয়।
দ্বিতীয় পর্যায়ের ভূমিরূপ:
-
মহাদেশীয় ভূ-ভাগ ও মহাসাগরের তলদেশে পরবর্তী পর্যায়ে যে ভূমিরূপ তৈরি হয় তা দ্বিতীয় পর্যায়ের ভূমিরূপ।
-
উদাহরণ: পর্বত, মালভূমি, সমভূমি, মহীসোপান, মহীঢাল, গভীর সমুদ্রের সমভূমি, গভীর সমুদ্রখাত।
তৃতীয় পর্যায়ের ভূমিরূপ:
-
ভূ-পৃষ্ঠের উপরিভাগে ক্ষয় ও রূপান্তরের ফলে যে ভূমিরূপ সৃষ্টি হয় তা তৃতীয় পর্যায়ের ভূমিরূপ।
-
এগুলো বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক প্রক্রিয়া দ্বারা তৈরি হয়।
-
উদাহরণ: নদী, হিমবাহ, বায়ুপ্রবাহ, সমুদ্রতরঙ্গ, ভূ-গর্ভস্থ জলধারা এবং জৈবিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভূমি ক্ষয় ও পুনঃঅবক্ষেপণ ঘটে। এর ফলে উপত্যকা, গিরিখাত প্রভৃতি ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়।

0
Updated: 20 hours ago
পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা বেশি টনের্ডো কোথায় হয়?
Created: 20 hours ago
A
দক্ষিণ এশিয়া ও ইউরোপ
B
আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকা
C
উত্তর আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া
D
পূর্ব এশিয়া ও আর্কটিক অঞ্চল
টর্নেডো হলো একটি অতি দ্রুত আবর্তনশীল, ক্ষুদ্রাকৃতির কিন্তু প্রলয়ঙ্কারী বজ্রঝড়, যা প্রায়শই চোঙের আকার ধারণ করে। এর মধ্যভাগে বায়ু অত্যন্ত দ্রুত উপরের দিকে উঠতে থাকে এবং যদি এই চোঙ ভূমি স্পর্শ করে, তবে ভয়াবহ ধ্বংস সৃষ্টি করে। টর্নেডোর ব্যাস ১০০–৫০০ গজ পর্যন্ত হতে পারে এবং এর ভিতরে ও বাইরের বায়ু চাপের গড় পার্থক্য প্রায় ২ ইঞ্চি।
টর্নেডোর বৈশিষ্ট্য:
-
সবচেয়ে বেশি টর্নেডোপ্রবণ এলাকা: উত্তর আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া
-
প্রথমে আকস্মিকভাবে বায়ু চাপ হ্রাস পায়, যার ফলে বড় বড় ইমারতে ফাটল ধরে
-
বায়ুর আবর্তন অত্যন্ত দ্রুত, ফলে বায়ুপ্রবাহের সম্মুখে প্রতি বর্গফুটে চাপ থাকে ১৬০–১০০০ পাউন্ড
-
টর্নেডোর গতিপথ অর্ধবৃত্তাকার হতে পারে; উত্তর গোলার্ধে এটি সাধারণত ডানদিকে আবর্তিত হয়
-
গতিবেগ: সাধারণত ঘন্টায় ৫–৬৫ মাইল, মাঝে মাঝে গড় গতিবেগ ৩৫–৪৫ মাইল
-
সমুদ্রের উপরও সৃষ্টি হতে পারে; যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূল, মেক্সিকো উপসাগর, চীন ও জাপানের নিকটস্থ সমুদ্রে গ্রীষ্মকালে টর্নেডোর প্রকোপ দেখা যায়

0
Updated: 20 hours ago
ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে যে বায়ুপ্রবাহের দিক পরিবর্তিত হয় তাকে বলা হয়-
Created: 2 weeks ago
A
মৌসুমি বায়ু
B
অয়ন বায়ু
C
নিয়ত বায়ু
D
স্থলবায়ু
মৌসুমি বায়ু হলো ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বায়ুপ্রবাহের দিক পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট আঞ্চলিক বায়ু, যা বর্ষাকালে বিশেষভাবে বাংলাদেশে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়।
-
মৌসুমি শব্দটি এসেছে আরবি ভাষার “মত্তসুম”, যার অর্থ ঋতু।
-
সূর্যের উত্তরায়ণ ও দক্ষিণায়ন অনুযায়ী শীত ও গ্রীষ্মে স্থলভাগ ও জলভাগের তাপমাত্রার তারতম্য মৌসুমি বায়ু সৃষ্টি করে।
-
মৌসুমি বায়ু প্রধানত দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় লক্ষ্য করা যায়, পাশাপাশি কর্কটক্রান্তি অঞ্চলের যুক্তরাষ্ট্র, উত্তর অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকার কিছু অংশ, মধ্য এশিয়া ও উত্তর-পশ্চিম ভারতেও দেখা যায়।
-
উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল:
-
সূর্যকিরণ লম্বভাবে পড়ায় কর্কটক্রান্তিতে বায়ুর চাপ কমে এবং নিম্নচাপ কেন্দ্র সৃষ্টি হয়।
-
দক্ষিণ গোলার্ধের ক্রান্তীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে আগত দক্ষিণ-পূর্ব অয়ন বায়ু নিরক্ষরেখা অতিক্রম করে।
-
এ বায়ু এশিয়া মহাদেশের নিম্নচাপ কেন্দ্রের দিকে প্রবলবেগে চলে আসে এবং চীন, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, জাপান, কম্বোডিয়া, লাওস-এ বৃষ্টিপাত ঘটায়।
-
বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মিয়ানমার, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও মেঘালয়েও বৃষ্টি হয়।
-
-
শীতকালে:
-
সূর্য দক্ষিণ গোলার্ধে অবস্থান করে এবং মকরক্রান্তিতে নিম্নচাপ কেন্দ্র সৃষ্টি হয়।
-
উত্তর গোলার্ধে স্থলভাগ শীতল হওয়ায় উচ্চচাপ বলয় সৃষ্টি হয়।
-
বায়ু উত্তর-পূর্ব দিক থেকে প্রবাহিত হয়, যাকে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু বলা হয় এবং এটি শুষ্ক থাকে।
-
মৌসুমি বায়ু যখন নিরক্ষরেখা অতিক্রম করে, ফেরেলের সূত্র অনুযায়ী বাম দিকে বেঁকে যায় এবং উত্তর-পশ্চিমে মৌসুমি বায়ুরূপে উত্তর অস্ট্রেলিয়ার দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায়।
-
তথ্যসূত্র:

0
Updated: 2 weeks ago
বাংলাদেশের সর্বপূর্বের উপজেলা কোনটি?
Created: 20 hours ago
A
থানচি
B
তেতুলিয়া
C
টেকনাফ
D
শিবগঞ্জ
বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী ও চূড়ান্ত স্থানসমূহ দেশের ভৌগোলিক অবস্থানকে তুলে ধরে।
সর্বপূর্ব:
-
স্থান: আখাইনঠং
-
উপজেলা: থানচি
-
জেলা: বান্দরবান
সর্বউত্তর:
-
স্থান: বাংলাবান্ধা
-
উপজেলা: তেঁতুলিয়া
-
জেলা: পঞ্চগড়
সর্বদক্ষিণ:
-
স্থান: ছেঁড়া দ্বীপ / সেন্টমার্টিন
-
উপজেলা: টেকনাফ
-
জেলা: কক্সবাজার
সর্বপশ্চিম:
-
স্থান: মনাকষা
-
উপজেলা: শিবগঞ্জ
-
জেলা: চাপাইনবাবগঞ্জ

0
Updated: 20 hours ago