লোকসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বের কততম স্থানে?
A
৫ম
B
৭ম
C
৮ম
D
১০ম
উত্তরের বিবরণ
২০২৪ সালে জনসংখ্যার ভিত্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান ও সার্বিক পরিচিতি
বিশ্বের সর্বাধিক জনসংখ্যাবিশিষ্ট দেশগুলোর মধ্যে ২০২৪ সালে বাংলাদেশ ৮ম স্থানে রয়েছে।
বাংলাদেশের মৌলিক পরিচিতি এক নজরে:
-
রাষ্ট্রীয় নাম: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ।
-
আন্তর্জাতিক কলিং কোড: +৮৮০
-
সময় অঞ্চল: বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টাইম (BST), যা GMT +৬ ঘন্টা।
-
মোট জনসংখ্যা: আনুমানিক ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন।
-
অবস্থান: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অবস্থিত একটি স্বাধীন রাষ্ট্র।
-
ভৌগোলিক পরিসর:
-
অক্ষাংশ: ২০°৩৪' উত্তর থেকে ২৬°৩৮' উত্তর।
-
দ্রাঘিমাংশ: ৮৮°০১' পূর্ব থেকে ৯২°৪১' পূর্ব।
-
ভূপ্রাকৃতিক ও প্রশাসনিক তথ্য:
-
মোট আয়তন: ১,৪৮,৪৬০ বর্গকিলোমিটার।
-
সমুদ্র উপকূলরেখার দৈর্ঘ্য: ৭১৬ কিলোমিটার।
-
রাজনৈতিক সমুদ্রসীমা: ১২ নটিক্যাল মাইল।
-
অর্থনৈতিক একচেটিয়া অঞ্চল: ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত।
-
সিটি কর্পোরেশন: ১২টি
-
জেলা: ৬৪টি
-
পৌরসভা: ৩৩০টি
-
উপজেলা: ৪৯৫টি
-
ইউনিয়ন পরিষদ: ৪৫৯৬টি
বিশেষ তথ্য:
-
জনসংখ্যার ভিত্তিতে বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের ৮ম বৃহত্তম দেশ।
-
অর্থনৈতিক দিক থেকে বাংলাদেশ বর্তমানে পৃথিবীর ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতি হিসেবে চিহ্নিত।
তথ্যসূত্র:
-
World Population Review
-
National Portal of Bangladesh (জাতীয় তথ্য বাতায়ন)
-
Worldometers.info

0
Updated: 1 month ago
(প্রশ্নটি তৎকালীন সাম্প্রতিক ছিলো) ২০০৪ সালে সর্বপ্রথম কোন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বাংলাদেশ সফর করেন?
Created: 1 month ago
A
থাইল্যান্ড
B
মিয়ানমার
C
ভিয়েতনাম
D
ভুটান
প্রশ্নটি তৎকালীন 'সাম্প্রতিক প্রশ্ন'। এটি এখন আর গুরুত্বপূর্ণ নয় তাই প্রশ্নটি বাতিল করা হলো।

0
Updated: 1 month ago
নিম্নলিখিত কোন দেশ থেকে বাংলাদেশ বর্তমানে সবচেয়ে বেশি সাহায্য পায়?
Created: 1 month ago
A
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
B
জাপান
C
দক্ষিণ কোরিয়া
D
জার্মানি
[এটি তৎকালীন সাম্প্রতিক প্রশ্ন যা পরিবর্তনশীল। পরিবর্তনশীল তথ্যগুলো অনুগ্রহ করে সাম্প্রতিক তথ্য থেকে দেখে নিন। সাম্প্রতিক আপডেট তথ্য জানার জন্য Live MCQ ডাইনামিক ইনফো প্যানেল, সাম্প্রতিক সমাচার বা অথেনটিক সংবাদপত্র দেখুন]
বৈদেশিক বিনিয়োগ
- মূলত বিদেশ থেকে যত বিনিয়োগ আসে এবং সেই সময়ে আগের বিনিয়োগের অর্থ পরিশোধ করার পর বিয়োজন করলে যা অবশিষ্ট থাকে সেটাই নিট বিনিয়োগ।
- বাংলাদেশ চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (২০২৪-২৫ অর্থবছর) ৮৪৬.১২ মিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক সহায়তা পেয়েছে।
- অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, গত অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে প্রাপ্ত ১.২৮ বিলিয়ন ডলার।
⇒ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে নেট বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে ১ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলার.
- বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সর্বাধিক ৪৩৬ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে টেক্সটাইল ও পোশাক খাতে।
- তারপর, ব্যাংকিং খাতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে।
- অন্যান্য খাতের মধ্যে ওষুধ ও রাসায়নিক, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পেট্রোলিয়াম এবং খাদ্য খাতেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিনিয়োগ দেখা গেছে।
⇒ বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বিদেশী সাহায্য আসে জাপান থেকে। [নভেম্বর, ২০২৪]
- বৈদেশিক সংস্থা সমূহের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাহায্য আসে বিশ্বব্যাংক ও এডিবি থেকে।
অন্যদিকে,
- ২০২৩ সালে বংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বিদেশি বিনিয়োগ আসে যুক্তরাজ্য থেকে।
উৎস: অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে প্রবাসী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী সচিবালয় (সদর দপ্তর) কোথায় ছিল?
Created: 1 month ago
A
মুজিবনগর
B
থিয়েটার রোড, কলকাতা
C
কমিরগঞ্জ
D
বেনাপোল
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে প্রবাসী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী সচিবালয় (সদর দপ্তর) ছিল থিয়েটার রোড, কলকাতায়।
বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার
- মুজিবনগর সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে এক উজ্জ্বল অধ্যায়।
- মুক্তিযুদ্ধকালীন গঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অর্থাৎ স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার মুজিবনগর সরকার নামে পরিচিত।
- মুক্তিযুদ্ধ শুরুর এক মাসের মধ্যেই ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠন করা হয় বাংলাদেশের প্রথম সরকার।
- মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করেছিল ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল বর্তমান মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলা গ্রামে।
- বাংলার শোষিত, নিপীড়িত ও নির্যাতিত জনতার মুক্তির বাসনাকে সঠিক খাতে প্রবাহিত করে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক সমর্থনের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করা ছিল মুজিবনগর সরকারের স্মরণীয় সাফল্য ও কৃতিত্ব।
- স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে মুজিবনগর ছিলো স্বাধীন দেশের অস্থায়ী রাজধানী এবং সচিবালয়/সদরদপ্তর ছিলো কলকাতার ৮ নং থিয়েটার রোড।
⇒ মুজিবনগর সরকারের সদর দপ্তর প্রথম স্থাপিত হয় মুজিবনগরে (মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলা)। পরবর্তীকালে স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে প্রধানত নিরাপত্তা এবং মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানের সুবিধার্থে এ সরকারের প্রধান কার্যালয় কলকাতায় স্থানান্তর হয়। কারণ মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণের মাত্র ২ ঘন্টা পর পাকিস্তানি বাহিনীর বিমান মুজিবনগরে বোমা বর্ষণ করে এবং মেহেরপুর দখল করে নেয়।
মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রীসভা:
- রাষ্ট্রপতি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,
- উপ-রাষ্ট্রপতি: সৈয়দ নজরুল ইসলাম,
- প্রধানমন্ত্রী: তাজউদ্দিন আহমদ,
- পররাষ্ট্র, আইন ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়: খন্দকার মোশতাক আহমেদ,
- অর্থ ও বাণিজ্যমন্ত্রী: ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী,
- স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়: এ এইচ এম কামরুজ্জামান,
- প্রধান সেনাপতি: কর্নেল (অব.) এম. এ. জি. ওসমানী,
- চিফ অব স্টাফ: লে. কর্নেল (অব.) আবদুর রব,
- ডেপুটি চিফ অব স্টাফ: গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার।
⇒ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মুজিবনগর সরকারের গুরুত্ব:
- মুজিবনগর সরকার শাসনব্যবস্থা পরিচালনার জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয় গঠন করে।
- মুজিবনগর সরকার মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য বাংলাদেশকে ১১টি প্রশাসনিক অঞ্চলে বিভক্ত করে।
- মুজিবনগর সরকার মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য মুক্তিবাহিনী গঠন করে।
- এই সরকার গঠনের পর থেকে অগণিত মানুষ দেশকে মুক্ত করার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
- মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা এবং দেশে ও বিদেশে এই যুদ্ধের জনমত গড়ে তোলা ও সমর্থন আদায় করার ক্ষেত্রে এই সরকার বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
উৎস: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 month ago