বাংলাদেশের প্রথম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান কোনটি?
A
আমির গার্মেন্টস লিমিটেড
B
রিয়াজ গার্মেন্টস লিমিটেড
C
বৈশাখী গার্মেন্টস লিমিটেড
D
বন্ড গার্মেন্টস লিমিটেড
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের প্রথম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক
-
বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল শিল্প খাত হলো তৈরি পোশাক খাত, যা বর্তমানে মোট রপ্তানির ৮০% এর বেশি প্রদান করে।
-
স্বাধীনতার পর ব্যবসা শুরু করেন রিয়াজউদ্দিন, ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠা করেন রিয়াজ গার্মেন্টস লিমিটেড, যা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম তৈরি পোশাক কারখানা হিসেবে স্বীকৃত।
-
২৮ জুলাই ১৯৭৮ তারিখে রিয়াজউদ্দিন ১০ হাজার শার্ট রপ্তানি করেন ফরাসি ক্রেতা হল্যান্ডার ফ্রঁস এর কাছে।
-
ওই চালানের ফরাসী মুদ্রায় দাম ছিল ১৩ মিলিয়ন ফ্রা, যা বাংলাদেশী টাকায় ছিল ৪ লাখ ২৭ হাজার টাকা।
-
১৯৯৮ সালে গাজীপুরের বোর্ডবাজারে তৈরি হয় রিয়াজ এক্সপোর্ট অ্যাপারেল, যার ক্ষমতা ছিল পাঁচ হাজার শার্ট উৎপাদন।

0
Updated: 21 hours ago
মুক্তিযুদ্ধের সময় ১ম, ৩য় ও ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট নিয়ে কোন বাহিনী গঠিত হয়েছিল?
Created: 1 week ago
A
জেড ফোর্স
B
কে ফোর্স
C
এস ফোর্স
D
যৌথ কমান্ড
মুক্তিযুদ্ধে নিয়মিত ব্রিগেড ফোর্সসমূহ
মুক্তিযুদ্ধের সময় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বিভিন্ন ব্যাটালিয়ন নিয়ে তিনটি নিয়মিত ব্রিগেড ফোর্স গঠন করা হয়: জেড ফোর্স, কে ফোর্স, এস ফোর্স।
১. জেড ফোর্স (Z Force)
-
নেতৃত্ব: মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান
-
গঠনকাল: জুলাই ১৯৭১
-
উপাদান: ১ম, ৩য় ও ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট
-
বিশেষত্ব: নিয়মিত বাহিনীর প্রথম ব্রিগেড; মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধে সক্রিয়
২. এস ফোর্স (S Force)
-
নেতৃত্ব: কে.এম. সফিউল্লাহ
-
গঠনকাল: অক্টোবর ১৯৭১
-
উপাদান: ২য় ও ১১তম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট
-
বিশেষত্ব: দ্বিতীয় নিয়মিত ব্রিগেড; কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ অভিযানে অংশগ্রহণ
৩. কে ফোর্স (K Force)
-
নেতৃত্ব: কর্ণেল খালেদ মোশারফ
-
গঠনকাল: অক্টোবর ১৯৭১
-
উপাদান: ৪র্থ, ৯ম ও ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট
-
বিশেষত্ব: মুক্তিযুদ্ধের তৃতীয় নিয়মিত ব্রিগেড; সেক্টরভিত্তিক কার্যক্রমে সক্রিয়
উপসংহার:
মুক্তিযুদ্ধকালে এই তিনটি নিয়মিত ব্রিগেড—জেড, কে ও এস ফোর্স—ই মুক্তিকামী বাহিনীর নিয়মিত অংশ হিসেবে পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ সশস্ত্র অভিযান পরিচালনা করেছিল।

0
Updated: 6 days ago
জেনারেল এরশাদের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন কে?
Created: 2 weeks ago
A
বিচারপতি শাহাবুদ্দীন আহমদ
B
বিচারপতি হাবিবুর রহমান
C
বিচারপতি আবু সাইদ চৌধুরী
D
বিচারপতি লতিফুর রহমান
জেনারেল এরশাদের শাসনের অবসান ও গণতান্ত্রিক শক্তির পুনঃপ্রতিষ্ঠার ইতিহাসে ১৯৯০ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এটি দেশের প্রথম অসামরিক উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তরের উদাহরণ হিসেবে পরিচিত।
-
জেনারেল এরশাদের বিরোধী আন্দোলন প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ ঘোষণার মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়।
-
সারাদেশে আন্দোলন ব্যাপক আকার ধারণ করলে সরকার ২৭ নভেম্বর ১৯৯০ জরুরি অবস্থা জারি ও রাজনৈতিক তৎপরতা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
-
জনগণ জরুরি অবস্থা উপেক্ষা করে রাস্তা আন্দোলনের মাধ্যমে এরশাদের পদত্যাগ দাবি করে।
-
সামরিক বাহিনী এরশাদকে সমর্থন প্রত্যাহার করলে তিনি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি মেনে নেন।
-
১৯৯০ সালের ৪ ডিসেম্বর এরশাদ পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।
-
৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ উপ-রাষ্ট্রপতি মওদুদ আহমেদ পদত্যাগ করেন।
-
তিন-জোটের মনোনীত প্রার্থী, প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দীন আহমেদকে উপ-রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
-
এরশাদ পদত্যাগ করে শাহাবুদ্দীনের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
-
এর মাধ্যমে এরশাদের শাসনের অবসান ঘটে এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
এটি দেশের প্রথম অসামরিক উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তরের উদাহরণ।

0
Updated: 2 weeks ago
ষষ্ঠ জনশুমারিতে কোন পদ্ধতি অনুসরণ করে তথ্য সংগ্রহ করা হয়?
Created: 2 weeks ago
A
ICPI
B
PICI
C
CAPI
D
CIPI
ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ বাংলাদেশের জনসংখ্যা ও সামাজিক তথ্যাবলির একটি গুরুত্বপূর্ণ চিত্র প্রদান করে। এটি দেশের জনসংখ্যার পরিমাণ, ঘনত্ব এবং শিক্ষার অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
নির্বাচিত সময়কাল: ১৫-২১ জুন ২০২২।
-
মোট জনসংখ্যা: ১৬,৯৮,২৮,৯১১ জন।
-
সাক্ষরতার হার: ৭৪.৮০%।
-
তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতি: CAPI পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, গণনার জন্য Modified De-fecto পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়।
-
জনবহুল এলাকা: ঢাকা বিভাগ।
-
সবচেয়ে কম জনসংখ্যা: বরিশাল বিভাগ।
-
জেলা পর্যায়ে সর্বনিম্ন জনঘনত্ব: রাঙ্গামাটি জেলা।

0
Updated: 2 weeks ago